ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিচারব্যবস্থা নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক: কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক। তারা আজ দলের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাচানোর জন্য সংবিধান ও বিচার-অঙ্গন সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

শুক্রবার (চৌঠা আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং সংবিধানবিরোধী বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের নেতারা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। অথচ বিএনপির দুর্নীতিপরায়ণ শীর্ষ নেতৃত্বের অপরাধ দীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়া এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তাদের শাস্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাক্ষ্য প্রমাণ এবং যথাযথ আইনি প্রত্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আদালত আইনের বিধান অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা দেশকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের নামে পরিচালিত এসব মামলায় সরকারের কোনও যোগসূত্র নেই। ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এসব মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমান সরকার কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। সুদীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আইনের নিজস্ব গতিতে তা পরিচালিত হয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনও কিছুর প্রতি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির কোনও প্রকার আস্থা নেই। তাই তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। বিএনপি আজ তাদের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাচানোর জন্য সংবিধান ও বিচার-অঙ্গন সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আইনের বিবেচ্য বিষয় নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকাধিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারব্যবস্থা নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক: কাদের

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক। তারা আজ দলের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাচানোর জন্য সংবিধান ও বিচার-অঙ্গন সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

শুক্রবার (চৌঠা আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং সংবিধানবিরোধী বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের নেতারা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। অথচ বিএনপির দুর্নীতিপরায়ণ শীর্ষ নেতৃত্বের অপরাধ দীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়া এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তাদের শাস্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাক্ষ্য প্রমাণ এবং যথাযথ আইনি প্রত্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আদালত আইনের বিধান অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা দেশকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের নামে পরিচালিত এসব মামলায় সরকারের কোনও যোগসূত্র নেই। ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এসব মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমান সরকার কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। সুদীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আইনের নিজস্ব গতিতে তা পরিচালিত হয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনও কিছুর প্রতি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির কোনও প্রকার আস্থা নেই। তাই তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। বিএনপি আজ তাদের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাচানোর জন্য সংবিধান ও বিচার-অঙ্গন সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আইনের বিবেচ্য বিষয় নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকাধিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।