ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না, ওরা আওয়ামী লীগকে ভয় পায় এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে পথ হারিয়ে তারা এখন পদযাত্রায় মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনে তো জনগণ নেই। আর যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই সেটা কোনো আন্দোলনই নয়। বিএনপি জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে, তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় জেনে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে তাদের আন্দোলনে যায়নি। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় সমাদৃত। তিনি ধৈর্য, দক্ষতা ও সাহসের সঙ্গে বর্তমান সংকট সামাল দিয়ে আসছেন। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান মানুষের জন্য। তিনি বেশি টাকায় পণ্য আমদানি করে কম টাকায় জনগণকে দেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ জনগণ রয়েছে। জনগণ যাদের সঙ্গে থাকবে তারাই সফল হবে। আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জয়লাভ করবো। ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন রাজনীতির একটা অংশ। সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যারা খারাপ কাজ করে, আগুন-সন্ত্রাস করে তারা মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। যেখানে পাকিস্তানের দুই সপ্তাহের আমদানির অর্থ নাই, সেখানে বাংলাদেশের পাঁচ মাসের রিজার্ভ মজুত আছে। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হতে পারে, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা, সাহস ও ক্রাইসিস মুভমেন্ট অতিক্রমের প্রতীক হয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার কাছে চিরঋণী হয়ে গেছি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। আমি যখন অসুস্থ ছিলাম, তখন এক মাস আমার কোনো হুশ ছিল না। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছি। টানা ১৪ বছর ধরে মন্ত্রী, টানা তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যা চট্টগ্রাম বিভাগে আর কেউ হতে পারনি। আপনাদের দোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন।

এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনীতি নয়। রাজনীতি এখন ভালো মানুষের জন্য আদর্শ নয়। ভালো ও সৎ মানুষের রাজনীতিতে আনতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আসার সময় পথে পথে তাকিয়ে দেখি আমার কত ছবি! আমার আর ছবির দরকার নেই। আমাকে আর প্রদর্শন করবেন না।

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ পাকিস্তান সব দিক থেকে তলানিতে যাচ্ছে। তারা (বিএনপি) বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে! বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও সুদানকে ঋণ দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর নির্বাচনি ওয়াদা করতে চাই না। পূর্বের কাজগুলো শেষ করতে চাই। নতুন কাজ হাতে নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না।

কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সবাইকে ‘গ্রেট সারপ্রাইজ’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার আলাপ-আলোচনা, গুজব, গুঞ্জনকে পাশ কাটিয়ে মনোনয়নের ১০মিনিট আগে ক্লিন ইমেজধারী দক্ষ, সৎ, জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ রাহ্বার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

আপডেট সময় : ০২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না, ওরা আওয়ামী লীগকে ভয় পায় এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে পথ হারিয়ে তারা এখন পদযাত্রায় মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনে তো জনগণ নেই। আর যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই সেটা কোনো আন্দোলনই নয়। বিএনপি জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে, তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় জেনে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে তাদের আন্দোলনে যায়নি। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় সমাদৃত। তিনি ধৈর্য, দক্ষতা ও সাহসের সঙ্গে বর্তমান সংকট সামাল দিয়ে আসছেন। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান মানুষের জন্য। তিনি বেশি টাকায় পণ্য আমদানি করে কম টাকায় জনগণকে দেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ জনগণ রয়েছে। জনগণ যাদের সঙ্গে থাকবে তারাই সফল হবে। আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জয়লাভ করবো। ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন রাজনীতির একটা অংশ। সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যারা খারাপ কাজ করে, আগুন-সন্ত্রাস করে তারা মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। যেখানে পাকিস্তানের দুই সপ্তাহের আমদানির অর্থ নাই, সেখানে বাংলাদেশের পাঁচ মাসের রিজার্ভ মজুত আছে। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হতে পারে, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা, সাহস ও ক্রাইসিস মুভমেন্ট অতিক্রমের প্রতীক হয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার কাছে চিরঋণী হয়ে গেছি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। আমি যখন অসুস্থ ছিলাম, তখন এক মাস আমার কোনো হুশ ছিল না। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছি। টানা ১৪ বছর ধরে মন্ত্রী, টানা তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যা চট্টগ্রাম বিভাগে আর কেউ হতে পারনি। আপনাদের দোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন।

এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনীতি নয়। রাজনীতি এখন ভালো মানুষের জন্য আদর্শ নয়। ভালো ও সৎ মানুষের রাজনীতিতে আনতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আসার সময় পথে পথে তাকিয়ে দেখি আমার কত ছবি! আমার আর ছবির দরকার নেই। আমাকে আর প্রদর্শন করবেন না।

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ পাকিস্তান সব দিক থেকে তলানিতে যাচ্ছে। তারা (বিএনপি) বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে! বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও সুদানকে ঋণ দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর নির্বাচনি ওয়াদা করতে চাই না। পূর্বের কাজগুলো শেষ করতে চাই। নতুন কাজ হাতে নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না।

কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সবাইকে ‘গ্রেট সারপ্রাইজ’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার আলাপ-আলোচনা, গুজব, গুঞ্জনকে পাশ কাটিয়ে মনোনয়নের ১০মিনিট আগে ক্লিন ইমেজধারী দক্ষ, সৎ, জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ রাহ্বার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ অনেকে।