ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি রিমোট কন্ট্রোল নেতৃত্বে চলছে : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি রিমোট কন্ট্রোল নেতৃত্বে চলছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোন্ট কন্ট্রোল নেতৃত্বে আর যাই হোক বাংলাদেশে আন্দোলনে জেতা যায় না। তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে এত নাটক করেন কেন?

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। তারেক জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেলেন লন্ডনে টেমস নদীর তীরে। সেই যে গেলেন আর তো ফিরে এলেন না। সৎ সাহস নাই রাজনীতি করার, জেলজুলুম সহ্য করার। তাহলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন, এটা মির্জা ফখরুল সাহেব আপনিই প্রশ্ন করুন।

তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) মিথ্যাচার করবেন না। বাংলার মানুষ সব জানে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার লোক নয়। গ্রেনেড হামলায় তার কানের শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিল, তাই চিকিৎসার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে আবার ফিরেও এসেছেন। তার দেশে ফেরা আটকাতে আপনারা কত আয়োজন করেছিলেন, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।

এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না। তাদের আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষের মনের জোর যখন কমে যায় তখন গলার জোর বেড়ে যায়। বিএনপি ও ফখরুলেরও গলার জোর বেড়ে গেছে। আগে সুর ছিল গরম এখন নরম কেনো। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ, তাই বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরো বলেন, ডোনাল্ড লু-এর (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ঢাকা সফর শেষে বিএনপি হতাশায় ডুবে গেছে। বিএনপি ভেবেছিলো ডোনাল্ড লু তাদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের আশা পূরণ হয়নি। হতাশায় ডুবতে ডুবতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে। শেখ হাসিনা সরকার পালায়নি, আওয়ামী লীগের নেতারা জেলে ছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলো।

এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি মান্নাফি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি) ভাই, হুমায়ুনকে (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) অনুরোধ করব আজকের পর আপনারা এলাকাভিত্তিক সভা দেন। প্রতিদিন এখানে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) মিটিং করার দরকার নেই।

তিনি বলেন, আমি আবারও অনুরোধ করব। কমিটিগুলো ছেড়ে দিন। এ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জায়গা হবে না। অনেকেরই পরিচয় নাই। বাড়িতে গেলে বউ জিজ্ঞেস করে কি পাইলা তুমি? রাজনীতি করে কিছুই তো পেলে না। অতএব, কর্মীদের একটা পরিচয় দরকার। এ অনুরোধ আমি দুজনকেই করব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি রিমোট কন্ট্রোল নেতৃত্বে চলছে : কাদের

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি রিমোট কন্ট্রোল নেতৃত্বে চলছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোন্ট কন্ট্রোল নেতৃত্বে আর যাই হোক বাংলাদেশে আন্দোলনে জেতা যায় না। তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে এত নাটক করেন কেন?

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। তারেক জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেলেন লন্ডনে টেমস নদীর তীরে। সেই যে গেলেন আর তো ফিরে এলেন না। সৎ সাহস নাই রাজনীতি করার, জেলজুলুম সহ্য করার। তাহলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন, এটা মির্জা ফখরুল সাহেব আপনিই প্রশ্ন করুন।

তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) মিথ্যাচার করবেন না। বাংলার মানুষ সব জানে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার লোক নয়। গ্রেনেড হামলায় তার কানের শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিল, তাই চিকিৎসার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে আবার ফিরেও এসেছেন। তার দেশে ফেরা আটকাতে আপনারা কত আয়োজন করেছিলেন, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।

এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না। তাদের আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষের মনের জোর যখন কমে যায় তখন গলার জোর বেড়ে যায়। বিএনপি ও ফখরুলেরও গলার জোর বেড়ে গেছে। আগে সুর ছিল গরম এখন নরম কেনো। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ, তাই বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরো বলেন, ডোনাল্ড লু-এর (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ঢাকা সফর শেষে বিএনপি হতাশায় ডুবে গেছে। বিএনপি ভেবেছিলো ডোনাল্ড লু তাদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের আশা পূরণ হয়নি। হতাশায় ডুবতে ডুবতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে। শেখ হাসিনা সরকার পালায়নি, আওয়ামী লীগের নেতারা জেলে ছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলো।

এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি মান্নাফি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি) ভাই, হুমায়ুনকে (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) অনুরোধ করব আজকের পর আপনারা এলাকাভিত্তিক সভা দেন। প্রতিদিন এখানে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) মিটিং করার দরকার নেই।

তিনি বলেন, আমি আবারও অনুরোধ করব। কমিটিগুলো ছেড়ে দিন। এ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জায়গা হবে না। অনেকেরই পরিচয় নাই। বাড়িতে গেলে বউ জিজ্ঞেস করে কি পাইলা তুমি? রাজনীতি করে কিছুই তো পেলে না। অতএব, কর্মীদের একটা পরিচয় দরকার। এ অনুরোধ আমি দুজনকেই করব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।