ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে ১০ ডিসেম্বর আ.লীগও প্রস্তুত থাকবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে আ. লীগও প্রস্তুত থাকবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি চাচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে এবং এ ব্যাপারে দলটি অনড়। তারা ডিএমপির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনি কী মনে করেন এই অনুমতি প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সব সময় বড় সমাবেশ খোলা মাঠে হয়। সারা বাংলাদেশে তারা খোলা মাঠে সমাবেশ করেছে। ঢাকা শহরে নয়াপল্টনের সামনে যেখানে ৩০ থেকে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষ ধরবে, সেখানে তারা যেভাবে বলছে আট-দশ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। সেটা কী সেখানে সম্ভব? সেটা কোনোভাবেই সম্ভব না এবং সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে।

বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড়। তারা ডিএমপির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনি কি মনে করেন এ অনুমতি প্রত্যাখ্যানের মধ্যদিয়ে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদেরকে (বিএনপি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে। যাতে তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে, সে জন্য ৮ ডিসেম্বরের ছাত্রলীগের সম্মেলন এগিয়ে এনে ৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তো একটি গণ্ডগোল লাগানো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত বিএনপির উদ্দেশ্য ভিন্ন, একটি গণ্ডগোল লাগানো। সরকার তো গণ্ডগোল লাগানোর জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য সারা দেশ থেকে অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে ঢাকা শহরে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অনুমতি দিতে পারে না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার স্বার্থে, শান্তি-স্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রেও তারা যদি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করে নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে, সেক্ষেত্রে সরকার এবং আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আগেই বলেছি আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমরা অনুরোধ জানিয়েছি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। আমরা আওয়ামী লীগও দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য সতর্ক পাহারায় থাকবো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে ১০ ডিসেম্বর আ.লীগও প্রস্তুত থাকবে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে আ. লীগও প্রস্তুত থাকবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি চাচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে এবং এ ব্যাপারে দলটি অনড়। তারা ডিএমপির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনি কী মনে করেন এই অনুমতি প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সব সময় বড় সমাবেশ খোলা মাঠে হয়। সারা বাংলাদেশে তারা খোলা মাঠে সমাবেশ করেছে। ঢাকা শহরে নয়াপল্টনের সামনে যেখানে ৩০ থেকে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষ ধরবে, সেখানে তারা যেভাবে বলছে আট-দশ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। সেটা কী সেখানে সম্ভব? সেটা কোনোভাবেই সম্ভব না এবং সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে।

বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড়। তারা ডিএমপির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনি কি মনে করেন এ অনুমতি প্রত্যাখ্যানের মধ্যদিয়ে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদেরকে (বিএনপি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে। যাতে তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে, সে জন্য ৮ ডিসেম্বরের ছাত্রলীগের সম্মেলন এগিয়ে এনে ৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তো একটি গণ্ডগোল লাগানো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত বিএনপির উদ্দেশ্য ভিন্ন, একটি গণ্ডগোল লাগানো। সরকার তো গণ্ডগোল লাগানোর জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য সারা দেশ থেকে অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে ঢাকা শহরে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অনুমতি দিতে পারে না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার স্বার্থে, শান্তি-স্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রেও তারা যদি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করে নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে, সেক্ষেত্রে সরকার এবং আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আগেই বলেছি আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমরা অনুরোধ জানিয়েছি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। আমরা আওয়ামী লীগও দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য সতর্ক পাহারায় থাকবো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে।