ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার নাকি জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতংকে ভুগছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।

বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ফখরুলের এ মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫’ এর আগস্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। আর বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চান বলেই সন্তান হারানোর শোকে সান্ত্বনা দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন কি আপনারা মানবিক আচরণ করেছিলেন? নির্বাচন সামনে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। তখনও আপনারা কী ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন? এরপরও বিএনপির সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করলেও দেশের ও জনগণের স্বার্থে তাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছি আমরা। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি।

জিয়া পরিবারকে নিয়ে সরকার আতঙ্কে ভুগছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস সবাই জানে। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।

সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির অভাস ও সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এটি আইনগত প্রক্রিয়া। এখানে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা হয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই : কাদের

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার নাকি জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতংকে ভুগছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।

বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ফখরুলের এ মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫’ এর আগস্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। আর বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চান বলেই সন্তান হারানোর শোকে সান্ত্বনা দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন কি আপনারা মানবিক আচরণ করেছিলেন? নির্বাচন সামনে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। তখনও আপনারা কী ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন? এরপরও বিএনপির সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করলেও দেশের ও জনগণের স্বার্থে তাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছি আমরা। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি।

জিয়া পরিবারকে নিয়ে সরকার আতঙ্কে ভুগছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস সবাই জানে। দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতি।

সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির অভাস ও সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এটি আইনগত প্রক্রিয়া। এখানে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা হয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।