ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪, ১১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশ ৫৩ বছরে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্যোগে মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৯৪ থেকে ২৭৮ ডলারে উন্নীত হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছাড়ায় নয় শতাংশ।

পরের তিন দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে তেমন উন্নতি না হলেও গত একযুগের ধারাবাহিক উন্নয়নে এসেছে নতুন মাত্রা। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা সেতু, থার্ড টার্মিনাল, টানেলসহ অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ শেষে মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫৩ বছরে বেড়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, কমেছে দারিদ্র্যের হার। গড় আয়ু, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ছাড়াও অর্থনীতির নানা সূচকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে দেশ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ও দুর্নীতি কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ। বিজয়ের ৫৩ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দুই হাজার ৭৬৫ ডলার। মোট জাতীয় উৎপাদনের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শূন্য শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এরই মধ্যে আমরা দরিদ্রতা, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যু কমানোসহ অনেক কিছুতেই সাফল্য পেয়েছি। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হিংসা ও ধ্বংসের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আর্থ-সামাজিক খাতে উন্নতি করেছে দেশ। তবে রাজনৈতিক বিভাজন আর ব্যক্তিগত দুর্নীতিই উন্নয়নের বড় বাধা।

অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন চিন্তাবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমরা গত এক দশকে অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকেই এগিয়ে গেছি। এখনও অনেকটা ঠিকভাবেই এগোচ্ছি আমরা। তবে রাজনৈতিক বিভাজন বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে সবাই যদি ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে গিয়ে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় তাহলে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত তৈরি করতে পারব।

করোনা মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক সংকট সামাল দিতে হিমশিম উন্নত দেশগুলোও। তবে এসব মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ঠিকই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ৫৩ বছরে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি

আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্যোগে মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৯৪ থেকে ২৭৮ ডলারে উন্নীত হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছাড়ায় নয় শতাংশ।

পরের তিন দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে তেমন উন্নতি না হলেও গত একযুগের ধারাবাহিক উন্নয়নে এসেছে নতুন মাত্রা। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা সেতু, থার্ড টার্মিনাল, টানেলসহ অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ শেষে মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫৩ বছরে বেড়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, কমেছে দারিদ্র্যের হার। গড় আয়ু, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ছাড়াও অর্থনীতির নানা সূচকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে দেশ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ও দুর্নীতি কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ। বিজয়ের ৫৩ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দুই হাজার ৭৬৫ ডলার। মোট জাতীয় উৎপাদনের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শূন্য শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এরই মধ্যে আমরা দরিদ্রতা, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যু কমানোসহ অনেক কিছুতেই সাফল্য পেয়েছি। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হিংসা ও ধ্বংসের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আর্থ-সামাজিক খাতে উন্নতি করেছে দেশ। তবে রাজনৈতিক বিভাজন আর ব্যক্তিগত দুর্নীতিই উন্নয়নের বড় বাধা।

অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন চিন্তাবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমরা গত এক দশকে অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকেই এগিয়ে গেছি। এখনও অনেকটা ঠিকভাবেই এগোচ্ছি আমরা। তবে রাজনৈতিক বিভাজন বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে সবাই যদি ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে গিয়ে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় তাহলে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত তৈরি করতে পারব।

করোনা মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক সংকট সামাল দিতে হিমশিম উন্নত দেশগুলোও। তবে এসব মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ঠিকই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।