ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশি চ্যানেলে রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানোর প্রস্তাব : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, বিভিন্ন টেলিভিশনে তা দেখানো হয়। এখন রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানো যায় কি না, তার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত। কারণ এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, আকাশ সংস্কৃতির যুগ।

বুধবার (২ নভেম্বর) তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সচিবালয়ে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতায়েৎসকি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। প্রথমত খবর আদান-প্রদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা তাসের মধ্যে একটি সমঝোতা সই হয়েছিল। সেই সমঝোতাকে একটি চুক্তিতে রূপ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের সঙ্গেও বাসসের সংবাদ আদান-প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় তিনি (মানতায়েৎসকি) আলোচনা করেছেন, সেটি হচ্ছে, আমাদের দেশে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, বিভিন্ন টেলিভিশনে তা দেখানো হয়। এখন রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানো যায় কি না, তা বলেছেন তিনি। কারণ এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, আকাশ সংস্কৃতির যুগ।

তিনি বলেন, আমি বলেছি, আপনারা সে প্রস্তাব প্রাইভেট টেলিভিশনগুলোর কাছে রাখতে পারেন। কারণ প্রাইভেট টেলিভিশনগুলো তো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রস্তাব রাখলে তারা যদি আগ্রহী হয়। সেক্ষেত্রে তা হতে পারে। তবে আমরা একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল কাউকে দেখাতে দেই না। একই সময়ে শুধু একটিই দেখাতে পারবে।

সাংস্কৃতিক আদান প্রদান নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আগে রাশিয়া থেকে বহু সাংস্কৃতিক দল আসত। বারবার আসত। আগের তুলনায় এখন কম আসে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে কালই তার বাসায় একটি আয়োজন আছে। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা এগুলো করবে। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথাও এসেছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, সরেকারের অবস্থান তাকে জানিয়েছি। তাকে জিজ্ঞেস করেছি, যুদ্ধ কখন শেষ হতে পারে, তিনি বলেছেন সহসা শেষ হবে বলে আশা করছি।

সহসা শেষ হবে বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন, জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন। যুদ্ধ শেষ হবে। তাকে বলেছি, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এটা তো মানুষের জন্য কষ্ট বয়ে এনেছে। কেবল আপনাদের অঞ্চলেই না, সমস্ত পৃথিবীতে কষ্ট বয়ে এনেছে। আমার এ বক্তব্যের সঙ্গে তিনি তো দ্বিমত পোষণ করেননি।

রাশিয়াকে পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া যে ভূমিকা রেখেছে, একইসঙ্গে যুদ্ধের পরে আমাদের দেশ গঠনে রাশিয়া যে ভূমিকা রেখেছে, সেটি আমরা স্মরণ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশি চ্যানেলে রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানোর প্রস্তাব : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, বিভিন্ন টেলিভিশনে তা দেখানো হয়। এখন রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানো যায় কি না, তার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত। কারণ এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, আকাশ সংস্কৃতির যুগ।

বুধবার (২ নভেম্বর) তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সচিবালয়ে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতায়েৎসকি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। প্রথমত খবর আদান-প্রদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা তাসের মধ্যে একটি সমঝোতা সই হয়েছিল। সেই সমঝোতাকে একটি চুক্তিতে রূপ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের সঙ্গেও বাসসের সংবাদ আদান-প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় তিনি (মানতায়েৎসকি) আলোচনা করেছেন, সেটি হচ্ছে, আমাদের দেশে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে, বিভিন্ন টেলিভিশনে তা দেখানো হয়। এখন রাশিয়ার সিরিয়াল দেখানো যায় কি না, তা বলেছেন তিনি। কারণ এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, আকাশ সংস্কৃতির যুগ।

তিনি বলেন, আমি বলেছি, আপনারা সে প্রস্তাব প্রাইভেট টেলিভিশনগুলোর কাছে রাখতে পারেন। কারণ প্রাইভেট টেলিভিশনগুলো তো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রস্তাব রাখলে তারা যদি আগ্রহী হয়। সেক্ষেত্রে তা হতে পারে। তবে আমরা একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল কাউকে দেখাতে দেই না। একই সময়ে শুধু একটিই দেখাতে পারবে।

সাংস্কৃতিক আদান প্রদান নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আগে রাশিয়া থেকে বহু সাংস্কৃতিক দল আসত। বারবার আসত। আগের তুলনায় এখন কম আসে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে কালই তার বাসায় একটি আয়োজন আছে। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা এগুলো করবে। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথাও এসেছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, সরেকারের অবস্থান তাকে জানিয়েছি। তাকে জিজ্ঞেস করেছি, যুদ্ধ কখন শেষ হতে পারে, তিনি বলেছেন সহসা শেষ হবে বলে আশা করছি।

সহসা শেষ হবে বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন, জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন। যুদ্ধ শেষ হবে। তাকে বলেছি, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এটা তো মানুষের জন্য কষ্ট বয়ে এনেছে। কেবল আপনাদের অঞ্চলেই না, সমস্ত পৃথিবীতে কষ্ট বয়ে এনেছে। আমার এ বক্তব্যের সঙ্গে তিনি তো দ্বিমত পোষণ করেননি।

রাশিয়াকে পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া যে ভূমিকা রেখেছে, একইসঙ্গে যুদ্ধের পরে আমাদের দেশ গঠনে রাশিয়া যে ভূমিকা রেখেছে, সেটি আমরা স্মরণ করছি।