বর গুনতে পারেন না টাকা, কনে ভেঙে দিলেন বিয়ে!
- আপডেট সময় : ০৫:২২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৫২৮ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিয়ের আসর থেকে বাধ্য হয়েই খালি হাতে ফিরে যেতে হলো বরকে। কারণ কনে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু কী এমন হলো যে, হুট করে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিলেন কনে।
আমাদের দেশের বিয়েতে এক এক জায়গায় এক এক নিয়ম। কিন্তু মাঝে মধ্যেই বিয়ে চলাকালীন ঘটে যায় নানা রকম ঘটনা। এর জেরেই মুহূর্তেই হয়ে যায় বিয়ে ‘ক্যান্সেল’। সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলায়। সেখানে বিয়ে চলাকালীনই বর হঠাৎ করে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে এবং এতেই যে পুরোহিত বিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁর সন্দেহ হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপর তিনি বেশিক্ষন তাঁর এই সন্দেহের কথা চেপে রাখতে না পেরে কনের বাড়ির লোকদের জানান। তারপরেই কনের পরিবারের লোকেরা উঠেপড়ে লেগে যান এটা জানতে যে বরটি সত্যিই ভারসাম্যহীন বা উন্মাদ কীনা। তাই তারা বরটিকে পরীক্ষা করার উদেশ্য নিয়ে তাঁকে ৩০টি ১০ টাকার নোট গুনতে দেন। এরপরই ঘটে যায় আশ্চর্য ঘটনা। দেখা যায় অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও বর কিছুতেই পারছে না ওই টাকা গুনতে। ব্যস্, তারপর আর কী! বেঁকে বসেন কনের বাড়ির লোকেরা।
এরপর চরম বচসার সৃষ্টি হয় দুই পরিবারের মধ্যে। বরের বাড়ির লোকেরা কনের বাড়ির লোকেদের বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেই বিয়ে ভেঙে দেন কনে। তিনি জানান যে তিনি এই বিয়ে করবেন না। কনের ছোট ভাই মোহিত বলেন যে, তাঁরা বিয়ের আগে বরকে চোখেও দেখেননি। তাঁরা জানতেন না বর কী করে বা কোথায় থাকে। এমনকী তাঁরা বরের বাড়ির লোকজনদেরও ঠিক মতো চিনতেন না।
এ নিয়ে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে তুমুল বিতণ্ডা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তারা দুপক্ষকে নিয়ে সমস্যাটি মিটমাট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনোভাবে কনে বিয়ে করতে রাজি হননি। ফলে বাধ্য হয়েই বরপক্ষকে চলে যেতে হয়।
কনের ভাই জানান, তাদের একজন নিকটাত্মীয় বর ঠিক করেছিলেন। ওই আত্মীয়ের প্রতি বিশ্বাস থাকায় বিয়ের আগে তারা বরকে দেখেননি। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে ছেলের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় তাদের। পরে তাকে ৩০টি ১০ টাকার নোট গুনতে দেওয়া হয়। কিন্তু সে না পারায় তার বোন বিয়ে বাতিল করে দেন।