ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

বরগুনায় আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে খাল খনন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// বরগুনা জেলা প্রতিনিধি //

আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ থাকার পরেও সকল আইন-কানুন, রীতি-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে সগৌরবে বেকু দিয়ে রাতের আঁধারে বরগুনার আমতলীর একটি খাল খনন কাজ চলছে। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই খাল খননের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী মৌজার এস এ ১ নং খতিয়ানের মালিক বরগুনা জেলা প্রশাসক মজা খালটি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেন। মজা খালটি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার গ্রহন করেন। ঠিকাদার ওই খালটি সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছে হস্তান্তর করেন। সাব-কন্ট্রাক্টর বেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করলে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীনরা তাকে বাঁধা দেয়। সরকার এই মজা খালটি ১৯৮৬-৮৭, ১৯৯৫-৯৬ সালে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। ভূমিহীনরা খালের এইসব জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে নিজেদের নামে নতুন খতিয়ান সৃজন করে। সম্প্রতি ভূমিহীনদের নামে সৃজিত খতিয়ানভূক্ত এই জমি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার প্রদান করেন।

ভূমিহীনরা জানান, তারা তাদের নামে রেকর্ডকৃত জমিতে ঘর-বাড়ি, পুকুর, বাগ-বাগিচা, কবরেস্থান ইত্যাদির উপর দিয়ে ঠিকাদার খনন কাজ শুরু করলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি এর প্রতিকারে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি)’র কাছে গেলে তিনিও কোন প্রকার সহযোগীতা প্রদান করেননি। বাধ্য হয়ে আ: জব্বার হাং, সফুরা বেগম, মেনাজ ও ছাহেরা বিবি ভূমিহীন কৃষকরা বাদী হয়ে (১) নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) বরগুনা, (২) উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) আমতলী, (৩) মো: মোতাহার হোসেন মৃধা, চেয়ারম্যান ৬নং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ, (৪) ডেপুটি কমিশনার, বরগুনা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) আমতলী এই ৫ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আমতলী সহকারী জজ আদালত বরগুনায় চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করলে (মামলা নং ১৩৪/২৩) বিজ্ঞ আদালত ভূমিহীনদের অনুকূলে স্টাট্যাসকো অর্থাৎ স্থিতাবস্থা’র আদেশ জারি করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নেই নির্দেশকে উপেক্ষা ও  অমান্য করে রাতের আঁধারে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞমহলের মতে, “আদালত বিচারপ্রার্থীদের সুবিচার পাবার শ্রেষ্ঠ ও শেষ ভরসাস্থল। সেই আদালতের নির্দেশ যখন অমান্য করা হয়; তখন বিচারপ্রার্থী সাধারন মানুষের যাবার আর কোন আশ্রয়স্থল থাকে না। তাই বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ যারা অমান্য করে তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যে ভবিষ্যতে এটা দেখে আর কেউ যেন এহেন কাজ করার সাহস না পায়। ভুক্তভোগীরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্যকারীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন।

 

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/2gau

নিউজটি শেয়ার করুন

বরগুনায় আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে খাল খনন

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

// বরগুনা জেলা প্রতিনিধি //

আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ থাকার পরেও সকল আইন-কানুন, রীতি-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে সগৌরবে বেকু দিয়ে রাতের আঁধারে বরগুনার আমতলীর একটি খাল খনন কাজ চলছে। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই খাল খননের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী মৌজার এস এ ১ নং খতিয়ানের মালিক বরগুনা জেলা প্রশাসক মজা খালটি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেন। মজা খালটি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার গ্রহন করেন। ঠিকাদার ওই খালটি সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছে হস্তান্তর করেন। সাব-কন্ট্রাক্টর বেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করলে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীনরা তাকে বাঁধা দেয়। সরকার এই মজা খালটি ১৯৮৬-৮৭, ১৯৯৫-৯৬ সালে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। ভূমিহীনরা খালের এইসব জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে নিজেদের নামে নতুন খতিয়ান সৃজন করে। সম্প্রতি ভূমিহীনদের নামে সৃজিত খতিয়ানভূক্ত এই জমি এলজিইডি খননের জন্য টেন্ডার প্রদান করেন।

ভূমিহীনরা জানান, তারা তাদের নামে রেকর্ডকৃত জমিতে ঘর-বাড়ি, পুকুর, বাগ-বাগিচা, কবরেস্থান ইত্যাদির উপর দিয়ে ঠিকাদার খনন কাজ শুরু করলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি এর প্রতিকারে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি)’র কাছে গেলে তিনিও কোন প্রকার সহযোগীতা প্রদান করেননি। বাধ্য হয়ে আ: জব্বার হাং, সফুরা বেগম, মেনাজ ও ছাহেরা বিবি ভূমিহীন কৃষকরা বাদী হয়ে (১) নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) বরগুনা, (২) উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) আমতলী, (৩) মো: মোতাহার হোসেন মৃধা, চেয়ারম্যান ৬নং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ, (৪) ডেপুটি কমিশনার, বরগুনা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) আমতলী এই ৫ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আমতলী সহকারী জজ আদালত বরগুনায় চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করলে (মামলা নং ১৩৪/২৩) বিজ্ঞ আদালত ভূমিহীনদের অনুকূলে স্টাট্যাসকো অর্থাৎ স্থিতাবস্থা’র আদেশ জারি করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নেই নির্দেশকে উপেক্ষা ও  অমান্য করে রাতের আঁধারে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞমহলের মতে, “আদালত বিচারপ্রার্থীদের সুবিচার পাবার শ্রেষ্ঠ ও শেষ ভরসাস্থল। সেই আদালতের নির্দেশ যখন অমান্য করা হয়; তখন বিচারপ্রার্থী সাধারন মানুষের যাবার আর কোন আশ্রয়স্থল থাকে না। তাই বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ যারা অমান্য করে তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যে ভবিষ্যতে এটা দেখে আর কেউ যেন এহেন কাজ করার সাহস না পায়। ভুক্তভোগীরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্যকারীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন।

 

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/2gau