ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের প্রেরণা হিসেবে আজও প্রতিফলিত : রবি উপাচার্য 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সেলিম রেজা  :
আজ ৭ই মার্চ সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে  আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিষয়ে তরুণদের নতুন করে বিশ্লেষণ করার এবং পুনরীজ্জিবিত হবার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।
প্রফেসর শাহ্ আজম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত। জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ একারণেই যে, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি শুধু প্রতিটি বাঙ্গালীকে উজ্জীবিত করেছে এমনটি নয়, আজও তা বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের প্রেরণা হিসেবে আজও প্রতিফলিত হয়। এই ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন, বাঙ্গালীকে বিশ্বজনীন করেছেন।
প্রফেসর শাহ্ আজম উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে আমরা জুলিয়াস সিজার, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, আব্রাহাম লিংকনসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় নেতার বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করতাম। আব্রাহাম লিংকন ৩ মিনিট ভাষণ (দ্য গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস) দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ছিল লিখিত, আর বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল প্রবল দেশাত্মবোধ এবং তাৎক্ষণিকভাবে উৎসারিত।  তাই, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ। এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ  ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের ভাষণে সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করে নাই, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিটি বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই ভাষণের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম এবং অর্জন করেছি স্বাধীনতা।
এছাড়া, মহান স্বাধীনতার মাসে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ। ৭ই মার্চ সকাল ১১ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের রবি প্রাঙ্গণে অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত ‘ইকোন স্পোর্টস ফেস্ট’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের প্রেরণা হিসেবে আজও প্রতিফলিত : রবি উপাচার্য 

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
সেলিম রেজা  :
আজ ৭ই মার্চ সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে  আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিষয়ে তরুণদের নতুন করে বিশ্লেষণ করার এবং পুনরীজ্জিবিত হবার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।
প্রফেসর শাহ্ আজম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত। জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ একারণেই যে, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি শুধু প্রতিটি বাঙ্গালীকে উজ্জীবিত করেছে এমনটি নয়, আজও তা বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের প্রেরণা হিসেবে আজও প্রতিফলিত হয়। এই ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন, বাঙ্গালীকে বিশ্বজনীন করেছেন।
প্রফেসর শাহ্ আজম উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে আমরা জুলিয়াস সিজার, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, আব্রাহাম লিংকনসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় নেতার বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করতাম। আব্রাহাম লিংকন ৩ মিনিট ভাষণ (দ্য গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস) দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ছিল লিখিত, আর বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল প্রবল দেশাত্মবোধ এবং তাৎক্ষণিকভাবে উৎসারিত।  তাই, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ। এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ  ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের ভাষণে সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করে নাই, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিটি বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই ভাষণের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম এবং অর্জন করেছি স্বাধীনতা।
এছাড়া, মহান স্বাধীনতার মাসে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ। ৭ই মার্চ সকাল ১১ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের রবি প্রাঙ্গণে অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত ‘ইকোন স্পোর্টস ফেস্ট’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
বা/খ: এসআর।