ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে জিয়া : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছেন’বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোশতাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনীদের মদদ ও আশ্রয় দেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি।

বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে। আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এতো কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের যত নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না৷ এখন কী হলো, ‘আসলে আল্লাহর মার, দুনিয়ার বার!

জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তখন আপনার দায়িত্ব সকলের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জনকল্যাণমূক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে। প্রতিটি মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। শহরের মত গ্রামেও সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশের দিকে।

এর আগে, নবনির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পড়ান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর তফসিল ঘোষিত ৬১টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৫৭টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোলা ও ফেনী জেলার সব কয়টি পদে একক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি।

এ ছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলার ভোট স্থগিত হয়।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5zd1

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে জিয়া : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছেন’বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোশতাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনীদের মদদ ও আশ্রয় দেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি।

বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে। আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এতো কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের যত নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না৷ এখন কী হলো, ‘আসলে আল্লাহর মার, দুনিয়ার বার!

জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তখন আপনার দায়িত্ব সকলের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জনকল্যাণমূক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে। প্রতিটি মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। শহরের মত গ্রামেও সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশের দিকে।

এর আগে, নবনির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পড়ান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর তফসিল ঘোষিত ৬১টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৫৭টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোলা ও ফেনী জেলার সব কয়টি পদে একক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি।

এ ছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলার ভোট স্থগিত হয়।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5zd1