ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফরিদপুরের খালেক কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশেষ  প্রতিনিধি, ফরিদপুর :

 ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন ‘আলহাজ আবদুল খালেক কলেজ’-এর সভাপতি ও অধ্যক্ষের  দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজের তিন শিক্ষক মোঃ মনজুর হোসেন , মোঃ সাহেব আলী ও মোঃ ইকবাল হোসেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ।
শিক্ষকদের অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে , ফরিদপুর জেলাধীন সদর উপজেলার ‘আলহাজ্ব আবদুল খালেক কলেজ’ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে চলছে।
অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক মিয়াঁ  প্রদত্ত নোটিশ মোতাবেক বিগত ১৫/০৯/২০২২ তারিখ পর্যন্ত মোট ১৩ জন প্রভাষক জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করে ।  বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান কমিটির আহবায়ক সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক । কিন্তু অধ্যক্ষ  জেলা প্রশাসক কে এ বিষয়ে কোনোরূপ অবগতি পত্র প্রেরণ  করেননি এবং শিক্ষকদের  আবেদন পত্র গ্রহণ করার পরে ও পদোন্নতির কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।
কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক মিঞার অনার্স ও মাস্টার্সের  কোনো সনদ নেই। যা ২৭/০৯/২০১৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ প্রতিবেদনের ১-ঝ নং মন্তব্যে বলা হয় অধ্যক্ষ জনাব মো: ফারুক মিঞা নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড প্রদর্শন করেননি। এছাড়া ১-ঞ নং মন্তব্যে বলা হয়েছে সকল শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ প্রদর্শন করলেও অধ্যক্ষ তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদ দেখাতে পার্নেনি । এছাড়া তার স্বাক্ষরিত শিক্ষক বিবরণীতে উল্লেখিত প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণিতে ২ ধরণের তথ্য রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালের ৩১/০৫/২০১০ তারিখে শেখ মোমেনা মনি স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয় । কিন্তু অধ্যক্ষের নিজের কাগজপত্রে ত্রুটি  থাকায় কোনো শিক্ষক-কর্মচারির জন্য এমপিও আবেদন করেননি।  ফলে শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন-যাপন করতে থাকেন। অবশেষে শিক্ষকদের চাপে তিনি ২০১১ সালে নিজের নাম বাদ দিয়ে শিক্ষকদের অনুকূলে এমপিও আবেদন করেন  কিন্তু অদ্যাবধি তিনি নিজের জন্য এমপিও আবেদন করেননি । এটা তার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকারই  প্রমাণ বহন করে। অধ্যক্ষ ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বেতন দেন না কিন্তু তিনি প্রতি মাসে কলেজ থেকে বেতন গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক প্রতি ২,২০০/- (দুই হাজার দুইশত) টাকা ধার্য ছিল আর তার বেতন ধার্য ছিল ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, যা তিনি এখন পর্যন্ত  নিচ্ছেন । এছাড়া আগস্ট ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আয়-ব্যয় রেজিষ্টার খাতায় অধ্যক্ষ এবং তার ছোট ভাই (উপাধ্যক্ষ) ছাড়া কোনো শিক্ষককে টাকা প্রদানের তথ্য নেই । যা ২৭/০৯/২০১৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ অধিদপ্তর এর নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ প্রতিবেদনের ৪-গ নং মন্তব্যে বলা হয়েছে। আয়-ব্যয় রেজিষ্টার খাতা থাকলেও ব্যবহার হয় না।তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিক সনদ না থাকায় ইএমআইএস ব্যানবেইস জরিপের টিচার্স প্যাটার্নে অধ্যক্ষের ঘর কখনই পূরণ করেন না । এমনকি তিনি কলেজ দপ্তরে সংরক্ষণযোগ্য ব্যক্তিগত ফাইলে নিজের নিয়োগ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংরক্ষণ করেন না।
অধ্যক্ষ তার আপন ছোট ভাইকে ডিগ্রি শাখায় প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। তাকে আবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন যদিও তার চেয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কলেজে রয়েছেন।
অধ্যক্ষের  পকেট কমিটির দ্বারা তাকে পদ সমন্বয়পূর্বক এমপিওভুক্ত করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর অনলাইনে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, এমপিও আবেদন ফরমের মামলা আছে কি না?/অভিযোগ আছে কিনা? কলাম ২টি পূরণ করেননি । কেননা তার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেলিম হোসেন (ছাত্রদলের ভিপি সেলিম নামে পরিচিত) এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ।
অধ্যক্ষ  স্বজ্ঞানে তথ্য গোপন করার মতো গর্হিত অপরাধ করেছেন। এসব অপকর্মের মূল হাতিয়ার হলো তার দ্বারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে গঠিত গভর্নিং বডি/এ্যাডহক্ কমিটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০২ সাল) থেকেই ভাই মো: ফিরোজ হায়দার (সভাপতি), দাতা সদস্য আপন ভাই, বিদ্যোৎসাহী সদস্য আপন ছোট চাচা, শিক্ষক প্রতিনিধি ভাগ্নে এবং অধ্যক্ষ মো: ফারুক মিঞা সদস্য সচিক ।
মো: ফিরোজ হায়দার (সভাপতি ও মোহাম্মদ সেলিম হোসেন (ভিপি) শিক্ষকদেরকে মাঝে মাঝে ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক মিয়াঁর সাথে যোগাযোগ করলে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি  করেন । তিনি আরো  জানান , আমি কলেজ নিয়ম তান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করছি।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরের খালেক কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

বিশেষ  প্রতিনিধি, ফরিদপুর :

 ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন ‘আলহাজ আবদুল খালেক কলেজ’-এর সভাপতি ও অধ্যক্ষের  দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজের তিন শিক্ষক মোঃ মনজুর হোসেন , মোঃ সাহেব আলী ও মোঃ ইকবাল হোসেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ।
শিক্ষকদের অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে , ফরিদপুর জেলাধীন সদর উপজেলার ‘আলহাজ্ব আবদুল খালেক কলেজ’ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে চলছে।
অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক মিয়াঁ  প্রদত্ত নোটিশ মোতাবেক বিগত ১৫/০৯/২০২২ তারিখ পর্যন্ত মোট ১৩ জন প্রভাষক জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করে ।  বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান কমিটির আহবায়ক সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক । কিন্তু অধ্যক্ষ  জেলা প্রশাসক কে এ বিষয়ে কোনোরূপ অবগতি পত্র প্রেরণ  করেননি এবং শিক্ষকদের  আবেদন পত্র গ্রহণ করার পরে ও পদোন্নতির কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।
কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুক মিঞার অনার্স ও মাস্টার্সের  কোনো সনদ নেই। যা ২৭/০৯/২০১৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ প্রতিবেদনের ১-ঝ নং মন্তব্যে বলা হয় অধ্যক্ষ জনাব মো: ফারুক মিঞা নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড প্রদর্শন করেননি। এছাড়া ১-ঞ নং মন্তব্যে বলা হয়েছে সকল শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ প্রদর্শন করলেও অধ্যক্ষ তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদ দেখাতে পার্নেনি । এছাড়া তার স্বাক্ষরিত শিক্ষক বিবরণীতে উল্লেখিত প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণিতে ২ ধরণের তথ্য রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালের ৩১/০৫/২০১০ তারিখে শেখ মোমেনা মনি স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয় । কিন্তু অধ্যক্ষের নিজের কাগজপত্রে ত্রুটি  থাকায় কোনো শিক্ষক-কর্মচারির জন্য এমপিও আবেদন করেননি।  ফলে শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন-যাপন করতে থাকেন। অবশেষে শিক্ষকদের চাপে তিনি ২০১১ সালে নিজের নাম বাদ দিয়ে শিক্ষকদের অনুকূলে এমপিও আবেদন করেন  কিন্তু অদ্যাবধি তিনি নিজের জন্য এমপিও আবেদন করেননি । এটা তার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকারই  প্রমাণ বহন করে। অধ্যক্ষ ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বেতন দেন না কিন্তু তিনি প্রতি মাসে কলেজ থেকে বেতন গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক প্রতি ২,২০০/- (দুই হাজার দুইশত) টাকা ধার্য ছিল আর তার বেতন ধার্য ছিল ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, যা তিনি এখন পর্যন্ত  নিচ্ছেন । এছাড়া আগস্ট ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আয়-ব্যয় রেজিষ্টার খাতায় অধ্যক্ষ এবং তার ছোট ভাই (উপাধ্যক্ষ) ছাড়া কোনো শিক্ষককে টাকা প্রদানের তথ্য নেই । যা ২৭/০৯/২০১৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ অধিদপ্তর এর নিরীক্ষা ও পরিদর্শণ প্রতিবেদনের ৪-গ নং মন্তব্যে বলা হয়েছে। আয়-ব্যয় রেজিষ্টার খাতা থাকলেও ব্যবহার হয় না।তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিক সনদ না থাকায় ইএমআইএস ব্যানবেইস জরিপের টিচার্স প্যাটার্নে অধ্যক্ষের ঘর কখনই পূরণ করেন না । এমনকি তিনি কলেজ দপ্তরে সংরক্ষণযোগ্য ব্যক্তিগত ফাইলে নিজের নিয়োগ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংরক্ষণ করেন না।
অধ্যক্ষ তার আপন ছোট ভাইকে ডিগ্রি শাখায় প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। তাকে আবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন যদিও তার চেয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কলেজে রয়েছেন।
অধ্যক্ষের  পকেট কমিটির দ্বারা তাকে পদ সমন্বয়পূর্বক এমপিওভুক্ত করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর অনলাইনে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, এমপিও আবেদন ফরমের মামলা আছে কি না?/অভিযোগ আছে কিনা? কলাম ২টি পূরণ করেননি । কেননা তার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেলিম হোসেন (ছাত্রদলের ভিপি সেলিম নামে পরিচিত) এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ।
অধ্যক্ষ  স্বজ্ঞানে তথ্য গোপন করার মতো গর্হিত অপরাধ করেছেন। এসব অপকর্মের মূল হাতিয়ার হলো তার দ্বারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে গঠিত গভর্নিং বডি/এ্যাডহক্ কমিটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০২ সাল) থেকেই ভাই মো: ফিরোজ হায়দার (সভাপতি), দাতা সদস্য আপন ভাই, বিদ্যোৎসাহী সদস্য আপন ছোট চাচা, শিক্ষক প্রতিনিধি ভাগ্নে এবং অধ্যক্ষ মো: ফারুক মিঞা সদস্য সচিক ।
মো: ফিরোজ হায়দার (সভাপতি ও মোহাম্মদ সেলিম হোসেন (ভিপি) শিক্ষকদেরকে মাঝে মাঝে ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক মিয়াঁর সাথে যোগাযোগ করলে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি  করেন । তিনি আরো  জানান , আমি কলেজ নিয়ম তান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করছি।

বা/খ: এসআর।