ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত পরীক্ষায় আমরা দেখেছিলাম বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে আমরা অভিনব কৌশল গ্রহণ ও কঠোর মনিটরিং করছি। এরপরও কেউ যদি গুজব ছড়ানো বা প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষার সময় আমরা দেখেছিলাম একটি অভিনব কায়দায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার ফাঁস করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।

তিনি বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষার সবকিছু বিশ্লেষণ করে আমরা প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এটি কার্যকর থাকবে। তারপরেও কেউ যদি চেষ্টা করেন আমরা নিশ্চয়ই সেগুলো সবাই মিলে প্রতিরোধ করব।

মন্ত্রী বলেন, এখানে পরীক্ষার কেন্দ্রে দেখলাম। আমরা আশা করি সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ হবে। কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছাড়ায় আমাদের পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হবে। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে অনেক আগে এসেছি পরিবেশ দেখার জন্য। অভিভাবকদের প্রচন্ড ভিড়। বাইরে যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানদের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এত ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের আসতেও দেরি হচ্ছে।

অভিভাবকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে আসতে সমস্যা হবে না।

ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবারই এগুলো নিয়ে নজরদারি চলে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা রয়েছেন তারা বিষয়টা নজরদারি করেন।
তিনি বলেন, এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল, ফেসবুকে যারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে থাকে তারা কখনই সফল হয় না। এ ধরনের গুজব যারা ছড়াবেন চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কোচিং সেন্টার বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।

এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। স্কুল-কলেজগুলোতে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করে। সবার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি।

আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু বন্যার কারণে তা হয়নি। এরপরের বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে সে বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্যগুলোর নেওয়া হবে।

এ বছর দেশের দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত পরীক্ষায় আমরা দেখেছিলাম বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে আমরা অভিনব কৌশল গ্রহণ ও কঠোর মনিটরিং করছি। এরপরও কেউ যদি গুজব ছড়ানো বা প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষার সময় আমরা দেখেছিলাম একটি অভিনব কায়দায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার ফাঁস করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।

তিনি বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষার সবকিছু বিশ্লেষণ করে আমরা প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এটি কার্যকর থাকবে। তারপরেও কেউ যদি চেষ্টা করেন আমরা নিশ্চয়ই সেগুলো সবাই মিলে প্রতিরোধ করব।

মন্ত্রী বলেন, এখানে পরীক্ষার কেন্দ্রে দেখলাম। আমরা আশা করি সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ হবে। কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছাড়ায় আমাদের পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হবে। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে অনেক আগে এসেছি পরিবেশ দেখার জন্য। অভিভাবকদের প্রচন্ড ভিড়। বাইরে যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানদের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এত ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের আসতেও দেরি হচ্ছে।

অভিভাবকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে আসতে সমস্যা হবে না।

ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবারই এগুলো নিয়ে নজরদারি চলে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা রয়েছেন তারা বিষয়টা নজরদারি করেন।
তিনি বলেন, এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল, ফেসবুকে যারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে থাকে তারা কখনই সফল হয় না। এ ধরনের গুজব যারা ছড়াবেন চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কোচিং সেন্টার বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।

এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। স্কুল-কলেজগুলোতে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করে। সবার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি।

আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু বন্যার কারণে তা হয়নি। এরপরের বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে সে বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্যগুলোর নেওয়া হবে।

এ বছর দেশের দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী রয়েছেন।