ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই ১০০ সেতু উদ্বোধন : ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।

আজ রোববার বেলা ১২টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, একটা প্রকল্প আমাদের গলার কাটা হয়েছে। সেটি হলো বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এটা আমি আসার আগেই নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, তাতে ভাবনার ঘাটতি ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি, সবাই কানেক্টেড (উদ্বোধনের সময়) থাকবে। যেখানে সেতু বেশি, যেমন ৫০টির বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা-এ তিনটি বিভাগে প্রধানমন্ত্রী কানেক্টেড হবেন। অন্যান্যরা কানেক্টেড থাকবে, যাদের ব্রিজ আছে। তিনটি জায়গায় সমাবেশ হবে, উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশ।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি বছরের প্রান্তিকে আমাদের বহুপ্রতিক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প এমআরটি লাইন ৬ (মেট্রো রেল) এর ফাস্ট পেজের উদ্বোধন হবে এবং চট্টগ্রামের সাউথ এশিয়ার নদীর তলদেশের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, এটাও বছরের শেষে খুলে দেওয়া হবে। আর অন্যান্য যে কাজ আছে, সেগুলো এগিয়ে চলেছে। আমি ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্লিনের কথা বারবার বলেছি। এখানে মনিটরিং জোরদার করতে বলেছি। কাজের ব্যাপারে আরও কমিটম্যান্ট নিয়ে কাজ করতে বলেছি। বিআরটির যে সমস্যাটি ছিল, সেটা এখন অনেকটা ট্রেকে এসেছে। এ ধারা বজায় রাখতে বলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইভিএমের বিপরীতে কথা বলা বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট হবে। এ জন্য সরকার চায় শতভাগ ইভিএমে ভোট হোক। বিএনপি কোন যুক্তিতে এর বিরোধিতা করছে?

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না। মানুষ কষ্টে আছে, এটা ঠিক। তবে একজন মানুষও না খেয়ে কষ্টে মারা যায়নি। এর মধ্যেই চলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের রিজার্ভ নিয়ে খুব চিন্তিত নই। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাস চলা সম্ভব। এ সংকট কাটাতেই কিছু বেগ পেতে হচ্ছে। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ চাইতে হবে- এমন কথা নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই ১০০ সেতু উদ্বোধন : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৩:৩১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।

আজ রোববার বেলা ১২টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, একটা প্রকল্প আমাদের গলার কাটা হয়েছে। সেটি হলো বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এটা আমি আসার আগেই নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, তাতে ভাবনার ঘাটতি ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি, সবাই কানেক্টেড (উদ্বোধনের সময়) থাকবে। যেখানে সেতু বেশি, যেমন ৫০টির বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা-এ তিনটি বিভাগে প্রধানমন্ত্রী কানেক্টেড হবেন। অন্যান্যরা কানেক্টেড থাকবে, যাদের ব্রিজ আছে। তিনটি জায়গায় সমাবেশ হবে, উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশ।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি বছরের প্রান্তিকে আমাদের বহুপ্রতিক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প এমআরটি লাইন ৬ (মেট্রো রেল) এর ফাস্ট পেজের উদ্বোধন হবে এবং চট্টগ্রামের সাউথ এশিয়ার নদীর তলদেশের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, এটাও বছরের শেষে খুলে দেওয়া হবে। আর অন্যান্য যে কাজ আছে, সেগুলো এগিয়ে চলেছে। আমি ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্লিনের কথা বারবার বলেছি। এখানে মনিটরিং জোরদার করতে বলেছি। কাজের ব্যাপারে আরও কমিটম্যান্ট নিয়ে কাজ করতে বলেছি। বিআরটির যে সমস্যাটি ছিল, সেটা এখন অনেকটা ট্রেকে এসেছে। এ ধারা বজায় রাখতে বলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইভিএমের বিপরীতে কথা বলা বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট হবে। এ জন্য সরকার চায় শতভাগ ইভিএমে ভোট হোক। বিএনপি কোন যুক্তিতে এর বিরোধিতা করছে?

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না। মানুষ কষ্টে আছে, এটা ঠিক। তবে একজন মানুষও না খেয়ে কষ্টে মারা যায়নি। এর মধ্যেই চলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের রিজার্ভ নিয়ে খুব চিন্তিত নই। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাস চলা সম্ভব। এ সংকট কাটাতেই কিছু বেগ পেতে হচ্ছে। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ চাইতে হবে- এমন কথা নয়।