ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রতিদিন ৪২ মিলিয়ন বার বাজে অলকার গান!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিনোদন ডেস্ক : 

আশির দশকে আত্মপ্রকাশ, নব্বই দশকে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, সেই ধারা টেনে এনেছেন পরবর্তী সময়েও। বয়সের কারণে এখন অবশ্য খুব বেশি নতুন গানে তাকে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন সব গান সুরেলা কণ্ঠে উপহার দিয়েছেন তিনি, সেগুলোতে এখনও নিয়মিত বুঁদ হয়ে থাকে শ্রোতারা।

তার গলার মিষ্টি সুর, মন কেড়েছে আট থেকে আশির। তিন দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীতের ময়দানে যিনি দাপিয়ে শাসন করেছেন। সেই প্রতিভার নাম অলকা ইয়াগনিক।

কখনো কুমার শানুর সঙ্গে জুটি বেঁধে, কখনো উদিত নারায়ণের সঙ্গে জুটিতে। আবার কখনো সোলো। বহু হিট সিনেমার হিট গান গেলেছেন তিনি। সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অগুনতি বার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন আলকা। তাকে বলা হত ‘কুইন অফ প্লে ব্য়াক সিঙ্গিং’।

যদিও বয়সের কারণে এখন অবশ্য খুব বেশি নতুন গানে তাকে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন সব গান সুরেলা কণ্ঠে উপহার দিয়েছেন তিনি, যা এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বহু পুরস্কার, সম্মাননা পেয়েছেন। এবার ৫৬ বছর বয়সী এই শিল্পী করলেন বিশ্বরেকর্ড। ২০২২ সালের হিসাবে ইউটিউবে তার গানই সবচেয়ে বেশিবার বেজেছে।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে তথ্যটি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গেলো বছর ইউটিউবে অলকা ইয়াগনিকের গান ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন বার বেজেছে! অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ মিলিয়ন বার বেজেছে তার গান। এর ফলে গেলো বছরের ‘মোস্ত স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ খেতাবটি দেওয়া হয়েছে অলকাকে।

আরও চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, গত তিন বছর ধরেই এই রেকর্ড নিজের করে রেখেছেন অলকা ইয়াগনিক। ২০২০ সালে তার গান বেজেছিলো ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন বার। ২০২১ সালে সেটা ছিলো ১৭ বিলিয়ন!

২০২২ সালের পরিসংখ্যানে অলকা ইয়াগনিকের পরের অবস্থানে রয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর শিল্পী ব্যাড বানি। তার গান স্ট্রিম হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বার।

সেরা পাঁচের বাকি তিনজনও ভারতের। তারা হলেন উদিত নারায়ণ (১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন), অরিজিৎ সিং (১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ও কুমার শানু (৯ দশমিক ০৯ বিলিয়ন)।

দক্ষিণ কোরিয়ার তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিটিএস’ অবশ্য কিছুটা পিছিয়েই আছে এই তালিকায়। তাদের গান বেজেছে ৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বার। একই দেশের নারী ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক পিংক’র গান স্ট্রিম হয়েছে ৭ দশমিক ০৩ বিলিয়ন বার।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবেদনে অলকা ইয়াগনিকের সম্পর্কে বলা হয়েছে, কুইন অব প্লেব্যাক সিংগিং’ খ্যাত এই শিল্পী বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক কণ্ঠ। তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন এবং তার ক্যারিয়ার চার দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত।

উল্লেখ্য, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা অলকা ইয়াগনিক বিভিন্ন ভাষায় গেয়েছেন। তবে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন হিন্দি সিনেমার গানে। তার গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘দিল লাগা লিয়া’, ‘রাব কারে তুঝকো ভি’, ‘দেখনে ওয়ালে’, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘পেয়ার কি কাশতি মে’, ‘গোরে গোরে মুখড়ে পে’, ‘কিসি ডিসকো মে’, ‘ওড়নি’, ‘চান্দ ছুপা বাদাল মে’, ‘টিপ টিপ বারসা পানি’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’, ‘রাহ মে উনসে’, ‘লাল দুপাট্টা’, ‘মেরা দিল ভি কিতনা পাগাল হ্যায়’, ‘আগার তুম সাথ হো’ ইত্যাদি।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিদিন ৪২ মিলিয়ন বার বাজে অলকার গান!

আপডেট সময় : ১০:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

আশির দশকে আত্মপ্রকাশ, নব্বই দশকে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, সেই ধারা টেনে এনেছেন পরবর্তী সময়েও। বয়সের কারণে এখন অবশ্য খুব বেশি নতুন গানে তাকে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন সব গান সুরেলা কণ্ঠে উপহার দিয়েছেন তিনি, সেগুলোতে এখনও নিয়মিত বুঁদ হয়ে থাকে শ্রোতারা।

তার গলার মিষ্টি সুর, মন কেড়েছে আট থেকে আশির। তিন দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীতের ময়দানে যিনি দাপিয়ে শাসন করেছেন। সেই প্রতিভার নাম অলকা ইয়াগনিক।

কখনো কুমার শানুর সঙ্গে জুটি বেঁধে, কখনো উদিত নারায়ণের সঙ্গে জুটিতে। আবার কখনো সোলো। বহু হিট সিনেমার হিট গান গেলেছেন তিনি। সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অগুনতি বার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন আলকা। তাকে বলা হত ‘কুইন অফ প্লে ব্য়াক সিঙ্গিং’।

যদিও বয়সের কারণে এখন অবশ্য খুব বেশি নতুন গানে তাকে পাওয়া যায় না। কিন্তু এমন সব গান সুরেলা কণ্ঠে উপহার দিয়েছেন তিনি, যা এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বহু পুরস্কার, সম্মাননা পেয়েছেন। এবার ৫৬ বছর বয়সী এই শিল্পী করলেন বিশ্বরেকর্ড। ২০২২ সালের হিসাবে ইউটিউবে তার গানই সবচেয়ে বেশিবার বেজেছে।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে তথ্যটি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গেলো বছর ইউটিউবে অলকা ইয়াগনিকের গান ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন বার বেজেছে! অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ মিলিয়ন বার বেজেছে তার গান। এর ফলে গেলো বছরের ‘মোস্ত স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ খেতাবটি দেওয়া হয়েছে অলকাকে।

আরও চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, গত তিন বছর ধরেই এই রেকর্ড নিজের করে রেখেছেন অলকা ইয়াগনিক। ২০২০ সালে তার গান বেজেছিলো ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন বার। ২০২১ সালে সেটা ছিলো ১৭ বিলিয়ন!

২০২২ সালের পরিসংখ্যানে অলকা ইয়াগনিকের পরের অবস্থানে রয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর শিল্পী ব্যাড বানি। তার গান স্ট্রিম হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বার।

সেরা পাঁচের বাকি তিনজনও ভারতের। তারা হলেন উদিত নারায়ণ (১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন), অরিজিৎ সিং (১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ও কুমার শানু (৯ দশমিক ০৯ বিলিয়ন)।

দক্ষিণ কোরিয়ার তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিটিএস’ অবশ্য কিছুটা পিছিয়েই আছে এই তালিকায়। তাদের গান বেজেছে ৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বার। একই দেশের নারী ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক পিংক’র গান স্ট্রিম হয়েছে ৭ দশমিক ০৩ বিলিয়ন বার।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবেদনে অলকা ইয়াগনিকের সম্পর্কে বলা হয়েছে, কুইন অব প্লেব্যাক সিংগিং’ খ্যাত এই শিল্পী বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক কণ্ঠ। তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন এবং তার ক্যারিয়ার চার দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত।

উল্লেখ্য, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা অলকা ইয়াগনিক বিভিন্ন ভাষায় গেয়েছেন। তবে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন হিন্দি সিনেমার গানে। তার গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘দিল লাগা লিয়া’, ‘রাব কারে তুঝকো ভি’, ‘দেখনে ওয়ালে’, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘পেয়ার কি কাশতি মে’, ‘গোরে গোরে মুখড়ে পে’, ‘কিসি ডিসকো মে’, ‘ওড়নি’, ‘চান্দ ছুপা বাদাল মে’, ‘টিপ টিপ বারসা পানি’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’, ‘রাহ মে উনসে’, ‘লাল দুপাট্টা’, ‘মেরা দিল ভি কিতনা পাগাল হ্যায়’, ‘আগার তুম সাথ হো’ ইত্যাদি।