ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ৮ দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নেতৃত্বে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কমিটি খসড়া চুক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করবে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুদক কার্যালয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মাহবুব হোসেন জানান, বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ট্রিটি) করার জন্য গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুদক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে বিএফআইইউ থেকে একটি জবাবসহ অনুরোধপত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর গত ১ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি সভা হয়। তাতে দুদকসহ অন্যান্য দফতর অংশগ্রহণ করে।

এই চুক্তি হলে পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া সহজ হবে কি না–এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, যদি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্সের আওতায় ওই দেশগুলো একমত হয়, তাহলে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও রেকর্ড সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজ হবে। এর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর পথ আগের তুলনায় সহজ হবে।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিদেশে অর্থ ও সম্পদ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) আওতাধীন কেস টু কেস ভিত্তিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমএলএআর পাঠানোর মাধ্যমে বিদেশ থেকে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, দুদকের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে পাঠানো এমএলএআরের বিপরীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুলে থাকে। এমএলএআরের বিষয় কোনো কোনো রাষ্ট্র প্রাথমিক সাড়া না দেয়ার বিষয়েও অনীহা দেখায়। আবার প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র প্রয়োজনীয় আলামতের তুলনায় পর্যাপ্ত হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ৮ দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নেতৃত্বে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কমিটি খসড়া চুক্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করবে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুদক কার্যালয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মাহবুব হোসেন জানান, বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ট্রিটি) করার জন্য গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুদক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে বিএফআইইউ থেকে একটি জবাবসহ অনুরোধপত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর গত ১ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি সভা হয়। তাতে দুদকসহ অন্যান্য দফতর অংশগ্রহণ করে।

এই চুক্তি হলে পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া সহজ হবে কি না–এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, যদি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্সের আওতায় ওই দেশগুলো একমত হয়, তাহলে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও রেকর্ড সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজ হবে। এর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর পথ আগের তুলনায় সহজ হবে।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিদেশে অর্থ ও সম্পদ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) আওতাধীন কেস টু কেস ভিত্তিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমএলএআর পাঠানোর মাধ্যমে বিদেশ থেকে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, দুদকের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে পাঠানো এমএলএআরের বিপরীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুলে থাকে। এমএলএআরের বিষয় কোনো কোনো রাষ্ট্র প্রাথমিক সাড়া না দেয়ার বিষয়েও অনীহা দেখায়। আবার প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র প্রয়োজনীয় আলামতের তুলনায় পর্যাপ্ত হয় না।