ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছায় মৎস্য আড়ৎ ইজারা নিয়ে ইজারাদার মহাবিপাকে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় মৎস্য আড়ৎ ইজারা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। ইজারা গ্রহণের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন আড়ৎ থেকে একটি টাকাও আদায় করতে পারেননি তিনি। একাধিকবার বিভিন্ন আড়তে আদায় করতে গেলেও ব্যবসায়ীরা ইজারার টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। তবে দেড় মাস পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আড়ৎ এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ইজারাদারকে বুঝে দেননি এমন অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পৌরসভা এবং মৎস্য আড়ৎ এর মধ্যকার সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন ইজারাদার। লাভের স্থলে এখন বিনিয়োগ করা সাড়ে ৬ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
ইজারাদার সাইফুল বলেন, গত ২৯ জানুয়ারিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৪৩০ সনের জন্য পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার আহবান করা হয়। যার মধ্যে ৬নং ক্রমিকে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎ উল্লেখ থাকে। আমি মৎস্য আড়তের অনুকূলে টেন্ডারে অংশ নেই । সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪১ হাজার ১শ’ টাকা দরদাতা হিসেবে আমি মৎস্য আড়তের ইজারাদার বিবেচিত হই। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল পৌরসভা থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইজারার মূল্য পরিশোধ করার জন্য পৌরসভা থেকে আমাকে চিঠি দেয়া হয় । আমি এনআরবিসি ব্যাংকের বিডি’র মাধ্যমে ১ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ ৩০ টাকা এবং পৌরসভার আদায় রশিদের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭শ’ ৭০ টাকা ও প্রয়োজনীয় ভ্যাট এবং আয়করসহ সর্বমোট ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩শ’ ২০ টাকা পরিশোধ করি। এরপর আমাকে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ সন থেকে সংশ্লিষ্ট আড়ৎ থেকে ইজারার টাকা আদায় করার জন্য পৌরসভা থেকে বলা হয়। আমি যথারীতি ইজারার টাকা আদায় করতে আড়তে গেলে আড়তের সভাপতি-সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীরা উচ্চ আদালতের বরাত দিয়ে আমাকে ইজারার টাকা আদায় করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করে। এভাবেই আমি একাধিকবার ইজারা আদায় করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে বর্তমানে চরম বিপাকে রয়েছি।
এ ব্যাপারে মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, মৎস্য আড়ৎটি কোন পেরিফেরি জায়গার উপর নয়, এটি সম্পূর্ণ আমাদের নিজেদের জায়গার উপর । পৌরসভা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে টেন্ডার আহবান করেনি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র কার্যালয়ে বসাবসি হয়েছে। ইউএনও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।
চলতি দায়িত্বে থাকা মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু বলেন, উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে আড়ৎ কর্তৃপক্ষ পৌরসভাসহ সকলকে বিভ্রান্ত করছে । আমরা বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা থেকে জেলা প্রশাসক ও ডিডিএলজি কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চেয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাবে বলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, পৌরসভার মেয়র, ইজারাদার ও মৎস্য আড়ৎ এর সদস্যদের নিয়ে অতিদ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছায় মৎস্য আড়ৎ ইজারা নিয়ে ইজারাদার মহাবিপাকে 

আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
// আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় মৎস্য আড়ৎ ইজারা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। ইজারা গ্রহণের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন আড়ৎ থেকে একটি টাকাও আদায় করতে পারেননি তিনি। একাধিকবার বিভিন্ন আড়তে আদায় করতে গেলেও ব্যবসায়ীরা ইজারার টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। তবে দেড় মাস পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আড়ৎ এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ইজারাদারকে বুঝে দেননি এমন অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পৌরসভা এবং মৎস্য আড়ৎ এর মধ্যকার সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন ইজারাদার। লাভের স্থলে এখন বিনিয়োগ করা সাড়ে ৬ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
ইজারাদার সাইফুল বলেন, গত ২৯ জানুয়ারিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৪৩০ সনের জন্য পৌরসভার হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার আহবান করা হয়। যার মধ্যে ৬নং ক্রমিকে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎ উল্লেখ থাকে। আমি মৎস্য আড়তের অনুকূলে টেন্ডারে অংশ নেই । সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪১ হাজার ১শ’ টাকা দরদাতা হিসেবে আমি মৎস্য আড়তের ইজারাদার বিবেচিত হই। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল পৌরসভা থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইজারার মূল্য পরিশোধ করার জন্য পৌরসভা থেকে আমাকে চিঠি দেয়া হয় । আমি এনআরবিসি ব্যাংকের বিডি’র মাধ্যমে ১ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ ৩০ টাকা এবং পৌরসভার আদায় রশিদের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭শ’ ৭০ টাকা ও প্রয়োজনীয় ভ্যাট এবং আয়করসহ সর্বমোট ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩শ’ ২০ টাকা পরিশোধ করি। এরপর আমাকে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ সন থেকে সংশ্লিষ্ট আড়ৎ থেকে ইজারার টাকা আদায় করার জন্য পৌরসভা থেকে বলা হয়। আমি যথারীতি ইজারার টাকা আদায় করতে আড়তে গেলে আড়তের সভাপতি-সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীরা উচ্চ আদালতের বরাত দিয়ে আমাকে ইজারার টাকা আদায় করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করে। এভাবেই আমি একাধিকবার ইজারা আদায় করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে বর্তমানে চরম বিপাকে রয়েছি।
এ ব্যাপারে মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, মৎস্য আড়ৎটি কোন পেরিফেরি জায়গার উপর নয়, এটি সম্পূর্ণ আমাদের নিজেদের জায়গার উপর । পৌরসভা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে টেন্ডার আহবান করেনি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র কার্যালয়ে বসাবসি হয়েছে। ইউএনও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।
চলতি দায়িত্বে থাকা মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু বলেন, উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে আড়ৎ কর্তৃপক্ষ পৌরসভাসহ সকলকে বিভ্রান্ত করছে । আমরা বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা থেকে জেলা প্রশাসক ও ডিডিএলজি কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চেয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাবে বলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, পৌরসভার মেয়র, ইজারাদার ও মৎস্য আড়ৎ এর সদস্যদের নিয়ে অতিদ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।