ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পদ দিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগ : অডিও ভাইরাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৫০৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ার কথা বলে পদপ্রত্যাশি এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে থেকে ১০হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ওই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে। তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ‘ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান বিষয়টি নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এবং খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় দায়িত্বশীল উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী আশিক রহমান। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। গত ১২ মার্চ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে পদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের ঘনিষ্ঠজন সাগর হোসেন সজিবের মাধ্যমে আশিক রহমানের নিকট অর্থ দাবি করে। পরে ফাইমিন সরদার নিজে পদ দেয়ার কথা বলে আশিককে দশ হাজার টাকা নিয়ে পাইকগাছায় আসতে বলে। পরবর্তীতে ফাইমিনের সাথে মোবাইল কল রেকডিং এর ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়ে পড়লে খোদ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিব্রত বোধ করে নানান মন্তব্য করেন। ঐ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান ব্যাথিত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ দলীয় দায়িত্বশীল উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আজও কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খোদ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান জানান, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘনিষ্ঠজন সাগর হোসেন সজিবের মাধ্যমে প্রথমে আমার নিকট ১২ হাজার টাকা দাবি করে।পরে ফাইমিন সরদার নিজে পদ দেয়ার কথা বলে আমাকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাইকগাছায় আসতে বলে। এ ঘটনায় আমি ব্যথিত হই এবং দলীয় দায়িত্বশীলদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। তবে অভিযোগ জমার দীর্ঘ সময় পেরোলেও অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আজও কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গভীরভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন টাকার বিনিময়ে যদি পদ নিতে হয় তাহলে দীর্ঘ দিন দল করে লাভ কি?
টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ দেয়া বা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে  উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কল রেকডিংটি সম্পূর্ন বানোয়াট, ওখানে আমার নিজস্ব কোন কথা-বার্তা হয়নি।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার কথা সুপার এডিট করে কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে ছড়িয়ে ফায়দা নিতে চাইছে। আশিকের সাথে টানা সাত মিনিটের আমার একটি কথোপকথন আছে। যেখানে তার নিজের স্বীকারোক্তি আছে কে বা কারা তাকে দিয়ে এটা করিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ঐ কল রেকর্ডটির কোন সত্যতা যদি তারা প্রমান করতে পারে আমিতো ওপেনে বলে দিয়েছি আমার লাইফে আমি এরকম কোন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলাম না। আর আমি এ কাজ করিনি। এখনো পর্যন্ত তারা যদি সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান দিতে পারে অর্থাৎ আশিক এসে যদি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে বলতে পারে ফাইমিন ভাই আমার কাছে আবেদনে উল্লেখিত টাকা চেয়েছে তখন তারা আমার বিরুদ্ধে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে আমি সেটা মাথা পেতে নিবো। একদল আমাদের নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। আর টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রয়ের অভিযোগ মিথ্যা।
কল রেকডিং বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতিম চক্রবর্ত্তীর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
কল রেকর্ডের অভিযোগ প্রসঙ্গে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তে প্রমানিত হলে ফাইমিনের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান টিপু বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে অভিযুক্ত ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। কল রেকডিং বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শোনার পরে অভিযুক্ত কে মৌখিকভাবে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় এটা আমার কন্ঠ না। এটা এডিট করা আর এখানে আরো কথা আছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ দোষী প্রমানিত হয় বা জড়িত থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসাইন জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। এটা একটি ষড়যন্ত্র। উপজেলা ছাত্রলীগ নতুন করে ইউনিয়ন কমিটি গুলো করতে চায় এবং তারা যাতে ব্যর্থ প্রমানিত হয় এজন্য তাদের কে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রে ফাসানোর জন্য এই অডিও রেকডিং গুলো সাজানো বা করা এবং যে ছেলেটি পাইকগাছা উপজেলা সাধারন সম্পাদক কে ফোন করেছিলো সে পরবর্তীতে ঐ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের সাথে টানা সাত মিনিট কথা বলেছে। সেখানে তার নিজের স্বীকারোক্তি আছে কে বা কারা তাকে ভয়-ভীতি দিয়ে এটা করিয়েছে বা সে আর কখনো রাজনীতি করবে না। সে রাজনীতির শিকার।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পদ দিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগ : অডিও ভাইরাল

আপডেট সময় : ০২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ার কথা বলে পদপ্রত্যাশি এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে থেকে ১০হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ওই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে। তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ‘ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান বিষয়টি নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এবং খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় দায়িত্বশীল উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী আশিক রহমান। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। গত ১২ মার্চ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে পদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের ঘনিষ্ঠজন সাগর হোসেন সজিবের মাধ্যমে আশিক রহমানের নিকট অর্থ দাবি করে। পরে ফাইমিন সরদার নিজে পদ দেয়ার কথা বলে আশিককে দশ হাজার টাকা নিয়ে পাইকগাছায় আসতে বলে। পরবর্তীতে ফাইমিনের সাথে মোবাইল কল রেকডিং এর ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়ে পড়লে খোদ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিব্রত বোধ করে নানান মন্তব্য করেন। ঐ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান ব্যাথিত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ দলীয় দায়িত্বশীল উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আজও কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খোদ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী আশিক রহমান জানান, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদার চাঁদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘনিষ্ঠজন সাগর হোসেন সজিবের মাধ্যমে প্রথমে আমার নিকট ১২ হাজার টাকা দাবি করে।পরে ফাইমিন সরদার নিজে পদ দেয়ার কথা বলে আমাকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাইকগাছায় আসতে বলে। এ ঘটনায় আমি ব্যথিত হই এবং দলীয় দায়িত্বশীলদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। তবে অভিযোগ জমার দীর্ঘ সময় পেরোলেও অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আজও কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গভীরভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন টাকার বিনিময়ে যদি পদ নিতে হয় তাহলে দীর্ঘ দিন দল করে লাভ কি?
টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ দেয়া বা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে  উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কল রেকডিংটি সম্পূর্ন বানোয়াট, ওখানে আমার নিজস্ব কোন কথা-বার্তা হয়নি।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার কথা সুপার এডিট করে কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে ছড়িয়ে ফায়দা নিতে চাইছে। আশিকের সাথে টানা সাত মিনিটের আমার একটি কথোপকথন আছে। যেখানে তার নিজের স্বীকারোক্তি আছে কে বা কারা তাকে দিয়ে এটা করিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ঐ কল রেকর্ডটির কোন সত্যতা যদি তারা প্রমান করতে পারে আমিতো ওপেনে বলে দিয়েছি আমার লাইফে আমি এরকম কোন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলাম না। আর আমি এ কাজ করিনি। এখনো পর্যন্ত তারা যদি সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান দিতে পারে অর্থাৎ আশিক এসে যদি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে বলতে পারে ফাইমিন ভাই আমার কাছে আবেদনে উল্লেখিত টাকা চেয়েছে তখন তারা আমার বিরুদ্ধে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে আমি সেটা মাথা পেতে নিবো। একদল আমাদের নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। আর টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রয়ের অভিযোগ মিথ্যা।
কল রেকডিং বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতিম চক্রবর্ত্তীর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
কল রেকর্ডের অভিযোগ প্রসঙ্গে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তে প্রমানিত হলে ফাইমিনের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান টিপু বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে অভিযুক্ত ফাইমিন সরদারের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। কল রেকডিং বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শোনার পরে অভিযুক্ত কে মৌখিকভাবে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় এটা আমার কন্ঠ না। এটা এডিট করা আর এখানে আরো কথা আছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ দোষী প্রমানিত হয় বা জড়িত থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসাইন জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। এটা একটি ষড়যন্ত্র। উপজেলা ছাত্রলীগ নতুন করে ইউনিয়ন কমিটি গুলো করতে চায় এবং তারা যাতে ব্যর্থ প্রমানিত হয় এজন্য তাদের কে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রে ফাসানোর জন্য এই অডিও রেকডিং গুলো সাজানো বা করা এবং যে ছেলেটি পাইকগাছা উপজেলা সাধারন সম্পাদক কে ফোন করেছিলো সে পরবর্তীতে ঐ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের সাথে টানা সাত মিনিট কথা বলেছে। সেখানে তার নিজের স্বীকারোক্তি আছে কে বা কারা তাকে ভয়-ভীতি দিয়ে এটা করিয়েছে বা সে আর কখনো রাজনীতি করবে না। সে রাজনীতির শিকার।
বা/খ: এসআর।