ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করেন : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিকে পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। বিএনপির আন্দোলনে লাল কার্ড। বিএনপির সবই ভুয়া। পথ হারা হয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রা করছে। তারা শুরু করেছেন বিক্ষোভ দিয়ে, এখন করছেন নিরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায়। আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এটা আর হবে না। আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন। ইলেকশনে যদি হারাতে পারেন আমরা বিদায় নেবো!

সরকারবিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। মাত্র শুরু হয়েছে উদ্বোধন। এই উন্নয়ন দেখে বিরোধী দলের জ্বালা করছে, অন্তর জ্বালা। কত জ্বালা? এই উদ্বোধনের জ্বালা, পদ্মাসেতুর জ্বালা,মেট্রোরেলের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, জ্বালায় জ্বালায় অন্তর্জালায় পুড়ে মরে যাচ্ছে।সামনে আছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয় এই সবই শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জন। এই অর্জন তারা সইতে পারে না। ফলে তারা অন্তর জ্বালায় ভুগছে। উন্নয়ন থেমে থাকবে না।

দলের নেতাকর্মীদের সামনের নির্বাচনে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। লাল কার্ড দেখবেন না? ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, তারেক রহমানের আগমন সবই ভুয়া। ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা, ১৪ দল সব ভুয়া। ডান আর বাম সব এককাতারে একাকার। ভয় পাচ্ছেন আপনারা (তৃণমূল কর্মী)? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকেন, সামনে খেলা হবে, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অস্ত্রপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে? প্রস্তুত আছেন আপনারা? প্রস্তুত থাকবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‌আজকের এ শুভ দিনে উড়াল থেকে আমরা পাতালে নামলাম। পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১, যেটা ২০৩১ এর মধ্যে ২১ কিলোমিটার পাতাল রেল এবং ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড; দুটি রুটের উদ্বোধন আজ।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ইতিহাসে গণপরিবহনে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প পাতাল মেট্রোরেলের প্রকল্প। পদ্মা সেতুর ব্যয় ছিল একত্রিশ হাজার কোটি টাকা, আর পাতাল রেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এই ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জাপান।  জাপান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। এই জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার উড়াল মেট্রো রেলের পর পাতাল মেট্রোরেল, পাতাল মেট্রোরেলের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে কিছু বলতে গিয়ে আমি প্রথমে স্মরণ করছি জাতির পিতাকে। এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার জন্য… তিনি আমাদের মাঝে নেই, তার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবেন। তারই পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মেট্রোরেলের আকর্ষণ দুর্দমনীয়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল এই বছরই চালু করা হবে। মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন মেতে উঠেছে। লুঙ্গি পরে মেট্রোরেলে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এটায় একবার উঠতে এসছে। কী আকর্ষণ, কী ক্রেজ! চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। মেট্রোরেল আরও আসবে। ছয়টি মেট্রোরেল চালু হলে ২০৩০ সালে ঢাকার আশপাশ নতুন সাজে সাজবে।

তিনি বলেন, এ মাটি ও মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা ভাবেন। তার পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এর জন্য দরকার সুশৃঙ্খল স্মার্ট কর্মী বাহিনী। খেলার জন্য স্কিলড কর্মী হতে হবে। বেশি নেতার দরকার নাই। নেতা একজন শেখ হাসিনা। সবাই কর্মী হতে পারলে কাজে-চেতনায়, বিজয় হবেই।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক এবং জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করেন : কাদের

আপডেট সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিকে পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। বিএনপির আন্দোলনে লাল কার্ড। বিএনপির সবই ভুয়া। পথ হারা হয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রা করছে। তারা শুরু করেছেন বিক্ষোভ দিয়ে, এখন করছেন নিরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায়। আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এটা আর হবে না। আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন। ইলেকশনে যদি হারাতে পারেন আমরা বিদায় নেবো!

সরকারবিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। মাত্র শুরু হয়েছে উদ্বোধন। এই উন্নয়ন দেখে বিরোধী দলের জ্বালা করছে, অন্তর জ্বালা। কত জ্বালা? এই উদ্বোধনের জ্বালা, পদ্মাসেতুর জ্বালা,মেট্রোরেলের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, জ্বালায় জ্বালায় অন্তর্জালায় পুড়ে মরে যাচ্ছে।সামনে আছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয় এই সবই শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জন। এই অর্জন তারা সইতে পারে না। ফলে তারা অন্তর জ্বালায় ভুগছে। উন্নয়ন থেমে থাকবে না।

দলের নেতাকর্মীদের সামনের নির্বাচনে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। লাল কার্ড দেখবেন না? ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, তারেক রহমানের আগমন সবই ভুয়া। ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা, ১৪ দল সব ভুয়া। ডান আর বাম সব এককাতারে একাকার। ভয় পাচ্ছেন আপনারা (তৃণমূল কর্মী)? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকেন, সামনে খেলা হবে, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অস্ত্রপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে? প্রস্তুত আছেন আপনারা? প্রস্তুত থাকবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‌আজকের এ শুভ দিনে উড়াল থেকে আমরা পাতালে নামলাম। পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১, যেটা ২০৩১ এর মধ্যে ২১ কিলোমিটার পাতাল রেল এবং ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড; দুটি রুটের উদ্বোধন আজ।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ইতিহাসে গণপরিবহনে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প পাতাল মেট্রোরেলের প্রকল্প। পদ্মা সেতুর ব্যয় ছিল একত্রিশ হাজার কোটি টাকা, আর পাতাল রেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এই ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জাপান।  জাপান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। এই জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার উড়াল মেট্রো রেলের পর পাতাল মেট্রোরেল, পাতাল মেট্রোরেলের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে কিছু বলতে গিয়ে আমি প্রথমে স্মরণ করছি জাতির পিতাকে। এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার জন্য… তিনি আমাদের মাঝে নেই, তার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবেন। তারই পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মেট্রোরেলের আকর্ষণ দুর্দমনীয়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল এই বছরই চালু করা হবে। মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন মেতে উঠেছে। লুঙ্গি পরে মেট্রোরেলে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এটায় একবার উঠতে এসছে। কী আকর্ষণ, কী ক্রেজ! চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। মেট্রোরেল আরও আসবে। ছয়টি মেট্রোরেল চালু হলে ২০৩০ সালে ঢাকার আশপাশ নতুন সাজে সাজবে।

তিনি বলেন, এ মাটি ও মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা ভাবেন। তার পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এর জন্য দরকার সুশৃঙ্খল স্মার্ট কর্মী বাহিনী। খেলার জন্য স্কিলড কর্মী হতে হবে। বেশি নেতার দরকার নাই। নেতা একজন শেখ হাসিনা। সবাই কর্মী হতে পারলে কাজে-চেতনায়, বিজয় হবেই।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক এবং জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি।