ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের কারো কারো নৈতিকতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণের রাখার চেষ্টা করছে। আশা করছি শিগগিরই বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য মিলবে।

রোববার (২০ নভেম্বর) আইওআরএ বিজনেস ফোরাম লিডারশিপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এজন্য আমরা দায়ী নই। কারণ বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। আর বাংলাদেশ বিশ্বের অংশ। ফলে আমাদের দেশেও উচ্চ দামের প্রভাব পড়ছে। এরপরও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএসের (খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি) মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আশা করি নতুন ফসল আসার পর চালের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। টিপু মুনশী বলেন, বিশ্ববাজারে পামওয়েলের দাম কমেছে। কিন্তু সয়াবিনের দাম বেড়েছে। তবে এতটুকু বলা যায় সরকার এনজয় (খুশি নয়) করছে না। বরং জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে চিনি মিলছে না। এর কারণ কী।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি ঠিক যে ওই দামে চিনি মিলছে না। কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাতারাতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। আশা করছি শিগগিরই নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি সম্ভব হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার কিছুটা অভাব রয়েছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়লে তারা কিছুটা সুযোগ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু জনবলের অভাব রয়েছে। সীমিত সমর্থের মধ্যেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মিডিয়াতে এসব বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে কেন শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন- আমরা শাস্তি দিচ্ছি না, এমনটা নয়। প্রতিনিয়ত জরিমানা করা হচ্ছে। তবে কাউকে জেলে দিতে হবে এমনটা মনে করি না। ব্যবসায়ীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে জেলে দেওয়ার প্রয়োজন হলে তখন সরকার বিবেচনা করবে।

পেয়াঁজের দাম নিয়ে টিপু মুনশী বলেন, যেসব কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন করে, তারা যাতে সঠিক দাম পায় সে বিষয়টিও দেখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের কারো কারো নৈতিকতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণের রাখার চেষ্টা করছে। আশা করছি শিগগিরই বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য মিলবে।

রোববার (২০ নভেম্বর) আইওআরএ বিজনেস ফোরাম লিডারশিপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এজন্য আমরা দায়ী নই। কারণ বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। আর বাংলাদেশ বিশ্বের অংশ। ফলে আমাদের দেশেও উচ্চ দামের প্রভাব পড়ছে। এরপরও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএসের (খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি) মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আশা করি নতুন ফসল আসার পর চালের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। টিপু মুনশী বলেন, বিশ্ববাজারে পামওয়েলের দাম কমেছে। কিন্তু সয়াবিনের দাম বেড়েছে। তবে এতটুকু বলা যায় সরকার এনজয় (খুশি নয়) করছে না। বরং জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে চিনি মিলছে না। এর কারণ কী।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি ঠিক যে ওই দামে চিনি মিলছে না। কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাতারাতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। আশা করছি শিগগিরই নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি সম্ভব হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার কিছুটা অভাব রয়েছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়লে তারা কিছুটা সুযোগ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু জনবলের অভাব রয়েছে। সীমিত সমর্থের মধ্যেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মিডিয়াতে এসব বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে কেন শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন- আমরা শাস্তি দিচ্ছি না, এমনটা নয়। প্রতিনিয়ত জরিমানা করা হচ্ছে। তবে কাউকে জেলে দিতে হবে এমনটা মনে করি না। ব্যবসায়ীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে জেলে দেওয়ার প্রয়োজন হলে তখন সরকার বিবেচনা করবে।

পেয়াঁজের দাম নিয়ে টিপু মুনশী বলেন, যেসব কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন করে, তারা যাতে সঠিক দাম পায় সে বিষয়টিও দেখতে হবে।