ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নড়াইলে রাকিবুলের দেখাদেখিতে কুল বরই চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইল সংবাদদাতা :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় উন্নতজাতের কুল বরই চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন কাশিপুর ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামের মো: জহর শেখের ছেলে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২৭) নামের এক শিক্ষিত যুবক । প্রথমে শখের বশে ও পরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তিনি কুল বড়ই চাষ শুরু করেছেন। নিজের গ্রাম এড়েন্দা এবং মল্লিকপুর গ্রামে লিজ নেওয়া প্রায় পাঁচ একর জমিতে রোপণ করেছেন ১৫ শতাধিক কুলের চারা। চাষ শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগানের কুলগাছে আশাতীত ফলন হয়েছে। কুল বাগানে ছোট ছোট গাছে কুল বরই ভরে গেছে। স্নাতক পাস রাকিবুলের চাষ করা কাশ্মীরি কুল, থাই কুল, বলসুন্দরী কুল ও সিডলেস কুলের বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন। তার দেখাদেখিতে অনেকেই কুল বড়ই চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম গত দুু’বছর আগে শখের বশে কাশ্মীরি কুল, থাই কুল, সিডলেস কুল ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক কুলের চারা মেহেরপুর থেকে এনে রোপণ করেন। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এ বছরও চাষ করেছেন বিভিন্ন জাতের কুল বরই। তিনি বলেন, গত দু’বছর আগে যশোরে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কুল বরইয়ের বাগান দেখি। তখন থেকে কুল বরই চাষে আমার আগ্রহ বাড়ে। প্রথমে তিন বিঘা জমিতে পাঁচ শতাধিক বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুল বরইয়ের চারা রোপণ করি। চারা রোপণের পর ভয়ে ছিলাম কি হয়। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। আমার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আশা করছি উৎপন্ন কুল বড়ই বিক্রি করে নীট খরচ বাদে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা লাভ করতে পারবো।

কুল বাগানে কাজ করে খেয়ে-পরে ভালো আছেন ১০/১২টি পরিবার। উপজেলার অন্য বেকার যুবকরা এ ধরনের কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা রাকিবুলের। বলসুন্দরী কাশ্মিরী, থাই, নারকেল জাতের কুল ছাড়াও বাগানে সিডলেস কুলসহ ৫ প্রকার কুল চাষ করেছেন। এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, এবাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। একুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে চাষ করবেন বলে জানান।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

নড়াইলে রাকিবুলের দেখাদেখিতে কুল বরই চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

নড়াইল সংবাদদাতা :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় উন্নতজাতের কুল বরই চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন কাশিপুর ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামের মো: জহর শেখের ছেলে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২৭) নামের এক শিক্ষিত যুবক । প্রথমে শখের বশে ও পরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তিনি কুল বড়ই চাষ শুরু করেছেন। নিজের গ্রাম এড়েন্দা এবং মল্লিকপুর গ্রামে লিজ নেওয়া প্রায় পাঁচ একর জমিতে রোপণ করেছেন ১৫ শতাধিক কুলের চারা। চাষ শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগানের কুলগাছে আশাতীত ফলন হয়েছে। কুল বাগানে ছোট ছোট গাছে কুল বরই ভরে গেছে। স্নাতক পাস রাকিবুলের চাষ করা কাশ্মীরি কুল, থাই কুল, বলসুন্দরী কুল ও সিডলেস কুলের বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন। তার দেখাদেখিতে অনেকেই কুল বড়ই চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম গত দুু’বছর আগে শখের বশে কাশ্মীরি কুল, থাই কুল, সিডলেস কুল ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক কুলের চারা মেহেরপুর থেকে এনে রোপণ করেন। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এ বছরও চাষ করেছেন বিভিন্ন জাতের কুল বরই। তিনি বলেন, গত দু’বছর আগে যশোরে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কুল বরইয়ের বাগান দেখি। তখন থেকে কুল বরই চাষে আমার আগ্রহ বাড়ে। প্রথমে তিন বিঘা জমিতে পাঁচ শতাধিক বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুল বরইয়ের চারা রোপণ করি। চারা রোপণের পর ভয়ে ছিলাম কি হয়। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। আমার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আশা করছি উৎপন্ন কুল বড়ই বিক্রি করে নীট খরচ বাদে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা লাভ করতে পারবো।

কুল বাগানে কাজ করে খেয়ে-পরে ভালো আছেন ১০/১২টি পরিবার। উপজেলার অন্য বেকার যুবকরা এ ধরনের কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা রাকিবুলের। বলসুন্দরী কাশ্মিরী, থাই, নারকেল জাতের কুল ছাড়াও বাগানে সিডলেস কুলসহ ৫ প্রকার কুল চাষ করেছেন। এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, এবাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। একুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে চাষ করবেন বলে জানান।

বা/খ: এসআর।