ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

নোবিপ্রবিতে আট দাবিতে তৃতীয় দিনও আন্দোলন অব্যহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে

নোবিপ্রবিতে আট দাবিতে তৃতীয় দিনও আন্দোলন অব্যহত

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অব্যহতি দেওয়াসহ আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনে (বৃহস্পতিবার) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে আন্দোলন কারীরা এই কর্মসূচি পালন করে। গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিন একই দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই স্থানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। তবে জরুরি সেবা, ক্লাস-পরীক্ষায় সহায়তাকারীরা এবং লাইব্রেরি ও পড়ার কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো, বর্তমান রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত স্থায়ী পদে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া, কর্মচারীদের সমিতি-ইউনিয়ন অনুমোদন দেয়া, আগামী সাত দিনের মধ্যে মাস্টাররুল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ীকরণ এবং সদ্য স্থায়ী করা কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নিশ্চিতকরণ।

আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে আগামী এক মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা সংশোধন করা, তিনটি আপগ্রেডেশনসহ টেকনিক্যাল-নন-টেকনিক্যাল পদে নীতিমালা সংশোধন করা, সহকারী রেজিস্ট্রার-সমমান সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার-সমমান পঞ্চম গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেড করার দাপ্তরিক আদেশ বাস্তবায়ন করা। অনতিবিলম্বে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দ্বৈতনীতি বন্ধ করতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, উপ-রেজিস্ট্রার তারেক মো. রাশেদ উদ্দিন, সহকারী রেজিস্ট্রার ইবনে ওয়াজেদসহ আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বক্তারা বলেন, আলটিমেটাম অনুসারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর আগে আট দফা দাবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী গণস্বাক্ষর দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম বলেন, ‘তারা রেজিস্ট্রারের বিষয়ে কিছু অভিযোগ তুলেছে। আমি তাদের বলেছি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য। সেটি এরই মধ্যে দিয়েছে। আমরা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে ডাকব, তাকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব। আগামী শনিবারের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’।

 

বা/খ: জই

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/t5hq

নিউজটি শেয়ার করুন

নোবিপ্রবিতে আট দাবিতে তৃতীয় দিনও আন্দোলন অব্যহত

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অব্যহতি দেওয়াসহ আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনে (বৃহস্পতিবার) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে আন্দোলন কারীরা এই কর্মসূচি পালন করে। গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিন একই দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই স্থানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। তবে জরুরি সেবা, ক্লাস-পরীক্ষায় সহায়তাকারীরা এবং লাইব্রেরি ও পড়ার কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো, বর্তমান রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত স্থায়ী পদে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া, কর্মচারীদের সমিতি-ইউনিয়ন অনুমোদন দেয়া, আগামী সাত দিনের মধ্যে মাস্টাররুল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ীকরণ এবং সদ্য স্থায়ী করা কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নিশ্চিতকরণ।

আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে আগামী এক মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা সংশোধন করা, তিনটি আপগ্রেডেশনসহ টেকনিক্যাল-নন-টেকনিক্যাল পদে নীতিমালা সংশোধন করা, সহকারী রেজিস্ট্রার-সমমান সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার-সমমান পঞ্চম গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেড করার দাপ্তরিক আদেশ বাস্তবায়ন করা। অনতিবিলম্বে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দ্বৈতনীতি বন্ধ করতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, উপ-রেজিস্ট্রার তারেক মো. রাশেদ উদ্দিন, সহকারী রেজিস্ট্রার ইবনে ওয়াজেদসহ আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বক্তারা বলেন, আলটিমেটাম অনুসারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর আগে আট দফা দাবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী গণস্বাক্ষর দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম বলেন, ‘তারা রেজিস্ট্রারের বিষয়ে কিছু অভিযোগ তুলেছে। আমি তাদের বলেছি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য। সেটি এরই মধ্যে দিয়েছে। আমরা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে ডাকব, তাকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব। আগামী শনিবারের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’।

 

বা/খ: জই

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/t5hq