ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে: সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কেন্দ্রে বসে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন মনিটর করার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেছি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ বা গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।

আজ সোমবার দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হাওয়ার পর নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টেলিফোনেও সংবাদ পেয়েছি, নির্বাচনটি সুন্দর হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ আমাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনায় একটি নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি আগামীতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে।

নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে— ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কিনা? আপনারা দেখেছেন, আজকে ভোটকক্ষে কোনও দ্বিতীয় ব্যক্তি যায়নি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমরা পর্যবেক্ষণটাকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের বিষয়টি নির্বাচনি সাংস্কৃতিতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিশ্লেষণে আমরা এখনও যাইনি। আর এটা আমাদের বিষয় নয়। এটা রাজনীতিবিদরা বুঝবেন। আমরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হতে সিসিটিভি নিয়মক হিসেবে কাজ করছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, এটা হতে পারে। কারণ, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যেটা হয়ে গেছে, গাইবান্ধায় সিসিটিভির মাধ্যমে আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। তারপর বেশ গুরুতর অনিয়ম আমরা প্রত্যক্ষ করি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছি। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুরো নির্বাচনটাকে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে হয়তো একটা মেসেজ এসেছে। অনেকে দেখেছেন, সিসি ক্যামেরা দিয়ে যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়— প্রার্থী বা ভোটার তারা যদি গুরুতর অনিয়ম করেন, নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয়, একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে।

এমপিরা নির্বাচনি কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে কোনও তথ্য নেই বলেও জানান সিইস।

বড় পরিসরে সিসিটিভির সক্ষমতার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ছোট পরিসরে এবার সিসিটিভি ব্যবহার করেছি। বড় পরিসরে বড় সক্ষমতার দরকার হলে, সেই ধরনের বড় সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা আমাদের নিশ্চয় থাকবে। এটা তখনই দেখা যাবে।

এর আগে সকাল ৯টায় নির্বাচন শুরু হলে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে: সিইসি

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কেন্দ্রে বসে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন মনিটর করার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেছি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ বা গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।

আজ সোমবার দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হাওয়ার পর নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা টেলিফোনেও সংবাদ পেয়েছি, নির্বাচনটি সুন্দর হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ আমাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনায় একটি নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি আগামীতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে।

নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে— ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কিনা? আপনারা দেখেছেন, আজকে ভোটকক্ষে কোনও দ্বিতীয় ব্যক্তি যায়নি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমরা পর্যবেক্ষণটাকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের বিষয়টি নির্বাচনি সাংস্কৃতিতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিশ্লেষণে আমরা এখনও যাইনি। আর এটা আমাদের বিষয় নয়। এটা রাজনীতিবিদরা বুঝবেন। আমরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হতে সিসিটিভি নিয়মক হিসেবে কাজ করছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, এটা হতে পারে। কারণ, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যেটা হয়ে গেছে, গাইবান্ধায় সিসিটিভির মাধ্যমে আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। তারপর বেশ গুরুতর অনিয়ম আমরা প্রত্যক্ষ করি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছি। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুরো নির্বাচনটাকে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে হয়তো একটা মেসেজ এসেছে। অনেকে দেখেছেন, সিসি ক্যামেরা দিয়ে যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়— প্রার্থী বা ভোটার তারা যদি গুরুতর অনিয়ম করেন, নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয়, একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে।

এমপিরা নির্বাচনি কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে কোনও তথ্য নেই বলেও জানান সিইস।

বড় পরিসরে সিসিটিভির সক্ষমতার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ছোট পরিসরে এবার সিসিটিভি ব্যবহার করেছি। বড় পরিসরে বড় সক্ষমতার দরকার হলে, সেই ধরনের বড় সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা আমাদের নিশ্চয় থাকবে। এটা তখনই দেখা যাবে।

এর আগে সকাল ৯টায় নির্বাচন শুরু হলে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।