ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। জীবন রক্ষাকারী ওষুধসহ প্রতিদিন খেতে হয় এমন ওষুধের দামও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।খাদ্যের পশাপাশি ওষুধ কিনতে বাড়তি খরচের চাপে পড়ছেন মানুষ। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকার শুধুমাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। বাকিগুলো উৎপাদনকারী বেসরকারি কোম্পানীর চাহিদামতো দাম সমন্বয় করে দেয়া হয়। তবে এই ব্যবস্থাকে অযৌক্তি মনে করেন স্বাস্থ্যখাতের বিশ্লেষকরা।

দেশের প্রায় ১ হাজার ৬৫০টি জেনেরিকের ৩০ হাজারের বেশি ওষুধ তৈরি হয়। এগুলোর অনেকগুলোই রপ্তানী হয়। তবে,দেশের বাজারে মানুষের জন্য জীবনরক্ষাকারী এসব ওষুধের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন, অন্যদিকে ওষুধের বাড়তি দাম। এই দুই প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,গত দেড় মাসে এন্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিনপ্রতিপিস ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে৪০ টাকা হয়েছে। এছাড়া সেফথ্রি প্রতি পাতায় ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ফেক্সোফেনাডিন প্রতি পিস ৮ টাকা থেকে ৯ টাকা, ভিটামিন বি-ওয়ান, বি-সিক্স, বি-টুয়েলভপ্রতি পিসের দাম ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা হয়েছে। এছাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ, প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ওষুধের দামও বেড়েছে।

অনেক সময় বিক্রেতাদের না জানিয়েই ওষুধের দাম বাড়ায় কোম্পানীগুলো, এমন অভিযোগ বিক্রেতাদের। বাড়তি দামের কারণে ভোক্তাদের সাথে প্রায়ই তর্কে জড়াতে হয় বলে জানান তারা।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়,বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয় অধিদপ্তর। বেসরকারি কোম্পানীগুলো কিছুদিন পর পর তাদের ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠায়, সেটা যাচাই বাছাই করে দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এক-একেকটি কোম্পানী বছরে দুইবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে।

তবে,এভাবে দাম বাড়ানোকে নীতিহীন বলে মন্তব্য করছেন জনস্বাস্থ্য খাতের বিশ্লেষকরা। বিএসএমএমইউ ফার্মাকোলজি বিভাগে চেয়ারম্যানসায়েদুর রহমান বলেন, ওষুধকে কাঁচাবাজারের সাথে মেলানো যাবে না।

বেসরকারি খাতে ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম

আপডেট সময় : ০১:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। জীবন রক্ষাকারী ওষুধসহ প্রতিদিন খেতে হয় এমন ওষুধের দামও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।খাদ্যের পশাপাশি ওষুধ কিনতে বাড়তি খরচের চাপে পড়ছেন মানুষ। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকার শুধুমাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। বাকিগুলো উৎপাদনকারী বেসরকারি কোম্পানীর চাহিদামতো দাম সমন্বয় করে দেয়া হয়। তবে এই ব্যবস্থাকে অযৌক্তি মনে করেন স্বাস্থ্যখাতের বিশ্লেষকরা।

দেশের প্রায় ১ হাজার ৬৫০টি জেনেরিকের ৩০ হাজারের বেশি ওষুধ তৈরি হয়। এগুলোর অনেকগুলোই রপ্তানী হয়। তবে,দেশের বাজারে মানুষের জন্য জীবনরক্ষাকারী এসব ওষুধের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন, অন্যদিকে ওষুধের বাড়তি দাম। এই দুই প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,গত দেড় মাসে এন্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিনপ্রতিপিস ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে৪০ টাকা হয়েছে। এছাড়া সেফথ্রি প্রতি পাতায় ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ফেক্সোফেনাডিন প্রতি পিস ৮ টাকা থেকে ৯ টাকা, ভিটামিন বি-ওয়ান, বি-সিক্স, বি-টুয়েলভপ্রতি পিসের দাম ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা হয়েছে। এছাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ, প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ওষুধের দামও বেড়েছে।

অনেক সময় বিক্রেতাদের না জানিয়েই ওষুধের দাম বাড়ায় কোম্পানীগুলো, এমন অভিযোগ বিক্রেতাদের। বাড়তি দামের কারণে ভোক্তাদের সাথে প্রায়ই তর্কে জড়াতে হয় বলে জানান তারা।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়,বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয় অধিদপ্তর। বেসরকারি কোম্পানীগুলো কিছুদিন পর পর তাদের ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠায়, সেটা যাচাই বাছাই করে দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এক-একেকটি কোম্পানী বছরে দুইবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে।

তবে,এভাবে দাম বাড়ানোকে নীতিহীন বলে মন্তব্য করছেন জনস্বাস্থ্য খাতের বিশ্লেষকরা। বিএসএমএমইউ ফার্মাকোলজি বিভাগে চেয়ারম্যানসায়েদুর রহমান বলেন, ওষুধকে কাঁচাবাজারের সাথে মেলানো যাবে না।

বেসরকারি খাতে ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।