ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নাসিমের আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ঘুরে বিপিএল আবার ঢাকায়। এ সময় কতো কিছু ঘটে গেল। বিপিএলের কতো চিত্র পাল্টালো। কিন্তু ঢাকা ডমিনেটর্সের পারফরম্যান্সের নেই কোনো উন্নতি। ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। নির্বিষ বোলিং, বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং। তিন বিভাগেই সুপারফ্লপ। তাই ফলাফলেরও নেই কোনো উন্নতি। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ষষ্ঠ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল ঢাকা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার নাসিম শাহকে খেলার কথা ছিল খুলনা টাইগার্সে। শেষমুহূর্তে দল পাল্টে হয়ে যান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। একদিন আগেই এসেছেন ঢাকায়। কিন্তু নাসিম শাহকে দেখে মনে হলো না কন্ডিশন, ভ্রমণকান্তি কিংবা প্রস্তুতির ঘাটতি বোধ করছেন। বিপিএলে এবার নিজের প্রথম ম্যাচেই রীতিমত আগুনঝরা বোলিং করলেন এই পাকিস্তানি পেসার।

নাসিমের আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা

মিরপুর শেরে বাংলায় নাসিমের আগুনে পুড়ে ছাই হলো ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারলো ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। নাসিম ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

সাত ম্যাচে এটি কুমিল্লার চতুর্থ জয়, এখন তারা আছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ছয় নম্বর হার ঢাকার, নাসিরের দল তলানিতে।।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।

টানা ৬ ম্যাচে হারল ঢাকা

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলীয় ৪ রানে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

তবে দলীয় ৩৫ রানে ফের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। ক্রিজে আসা জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন কায়েস। তবে দলীয় ৬৪ রানে ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন কায়েস।

কায়সের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জনসন চার্লস। তবে দলীয় ৯৩ রানে রান আউটে কাটা পড়েন জনসন চার্লস।

জনসনের বিদায়ের পর ক্রিজের এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন খুশদিল শাহ। এরপর দলীয় ১২২ রানে ১১ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুতই আউট হন খুশদিল শাহ। ১৭ বলে ৩০ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জাকের আলি ১০ বলে ২০ ও রনি ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে নাসির হোসেন নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।

১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। দলীয় ১৬ রানেই তিন ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। ৮ বলে ৫ রান করে ওপেনার মিজানুর রহমান, ৭ বলে ৩ রান করে সৌম্য সরকার ও ১১ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ মিথুন ফিরে যান সাজঘরে।

এরপর অধিনায়ক নাসির হোসেন ও উসমান ঘানি মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৪২ রানে ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন নাসির। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুল হক। দলীয় ৬২ রানে ১৫ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি।

দলীয় ৭৬ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ বলে ৯ রান করে মুক্তার আলি ও ১ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান আমির হামজা। পর পর দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও তা করতে পারেননি কুমিল্লার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাসিম শাহ।

এরপর দলীয় ৭৯ রানে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারে দলীয় ১০১ রানে ৩৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন উসমান ঘানি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নাসিম শাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাসিমের আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা

আপডেট সময় : ১১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ঘুরে বিপিএল আবার ঢাকায়। এ সময় কতো কিছু ঘটে গেল। বিপিএলের কতো চিত্র পাল্টালো। কিন্তু ঢাকা ডমিনেটর্সের পারফরম্যান্সের নেই কোনো উন্নতি। ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। নির্বিষ বোলিং, বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং। তিন বিভাগেই সুপারফ্লপ। তাই ফলাফলেরও নেই কোনো উন্নতি। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ষষ্ঠ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল ঢাকা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার নাসিম শাহকে খেলার কথা ছিল খুলনা টাইগার্সে। শেষমুহূর্তে দল পাল্টে হয়ে যান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। একদিন আগেই এসেছেন ঢাকায়। কিন্তু নাসিম শাহকে দেখে মনে হলো না কন্ডিশন, ভ্রমণকান্তি কিংবা প্রস্তুতির ঘাটতি বোধ করছেন। বিপিএলে এবার নিজের প্রথম ম্যাচেই রীতিমত আগুনঝরা বোলিং করলেন এই পাকিস্তানি পেসার।

নাসিমের আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা

মিরপুর শেরে বাংলায় নাসিমের আগুনে পুড়ে ছাই হলো ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারলো ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। নাসিম ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

সাত ম্যাচে এটি কুমিল্লার চতুর্থ জয়, এখন তারা আছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ছয় নম্বর হার ঢাকার, নাসিরের দল তলানিতে।।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।

টানা ৬ ম্যাচে হারল ঢাকা

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলীয় ৪ রানে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

তবে দলীয় ৩৫ রানে ফের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। ক্রিজে আসা জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন কায়েস। তবে দলীয় ৬৪ রানে ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন কায়েস।

কায়সের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জনসন চার্লস। তবে দলীয় ৯৩ রানে রান আউটে কাটা পড়েন জনসন চার্লস।

জনসনের বিদায়ের পর ক্রিজের এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন খুশদিল শাহ। এরপর দলীয় ১২২ রানে ১১ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুতই আউট হন খুশদিল শাহ। ১৭ বলে ৩০ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জাকের আলি ১০ বলে ২০ ও রনি ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে নাসির হোসেন নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।

১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। দলীয় ১৬ রানেই তিন ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। ৮ বলে ৫ রান করে ওপেনার মিজানুর রহমান, ৭ বলে ৩ রান করে সৌম্য সরকার ও ১১ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ মিথুন ফিরে যান সাজঘরে।

এরপর অধিনায়ক নাসির হোসেন ও উসমান ঘানি মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৪২ রানে ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন নাসির। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুল হক। দলীয় ৬২ রানে ১৫ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি।

দলীয় ৭৬ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ বলে ৯ রান করে মুক্তার আলি ও ১ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান আমির হামজা। পর পর দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও তা করতে পারেননি কুমিল্লার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাসিম শাহ।

এরপর দলীয় ৭৯ রানে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারে দলীয় ১০১ রানে ৩৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন উসমান ঘানি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নাসিম শাহ।