স্পোর্টস ডেস্ক :
মিরপুরের শের-ই-বাংলার একাডেমী মাঠকে 'কই মাছের প্রাণ'এর সঙ্গে তুলনা করা যায় অনায়াসেই। সারা বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, নারী ক্রিকেট দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা হাইপারফরম্যান্স দল সবার অনুশীলনের চাপ সামলে যাচ্ছে সমানতালে। এবার বোধহয় কিছুটা বিশ্রাম পেতে যাচ্ছে শের-ই-বাংলার এই একাডেমী মাঠ। জাতীয় নারী দল আর অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য দুটি আলাদা অনুশীলন মাঠ ঠিক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জ্যোতি-সালমাদের জন্য খুলনা স্টেডিয়াম আর অনুর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য রাজশাহী স্টেডিয়ামকে অনুশীলন ভেন্যু হিসেবে নিশ্চিত করেছে বিসিবি। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
মাহবুব আনাম বলেন, আগে শুধু জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল অনুশীলন করত মিরপুরে। এখন অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল হয়েছে, জাতীয় নারী দলের এফটিপি হয়েছে। তাই মাঠ যেমন প্রয়োজন, অনুশীলনের সুবিধাও প্রয়োজন। আগে বলেছিলাম, একেকটা সেন্টার ধরে কাজে হাত দেবো। আমি রাজশাহী ঘুরে এসেছি। আমরা এরই মধ্যে সেখানকার কাজে হাত দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে ইনডোর সুবিধাটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। ওখানে মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও সিলেটে আমরা যেভাবে অনুশীলন সুবিধা তৈরি করেছি, একইভাবে আমরা রাজশাহীতেও কাজটা করব। আমরা আশা করছি এই বর্ষার মধ্যেই রাজশাহীর অনুশীলন সুবিধা প্রস্তুত করব। অনুর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের জন্য একটা স্থায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করব। একইভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে খুলনাকে আমরা নারী দলের অনুশীলনের জন্য তৈরি করব। আমাদের সার্ভেয়াররা এখন রাজশাহীতে কাজ করছে। রাজশাহীর কাজ শেষ করে তারা খুলনার কাজটা ধরবে। খুলনার পর আমরা বরিশালেও কাজ শুরু করবো।
বিপিএলও কি কখনও এসব মাঠে হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম জানান, বিসিবি চেষ্টা করছেন সবগুলো মাঠের মানোন্নয়ন এবং পরিচরর্যা করার। এবং নানা কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির।
প্রকাশক
মানিক কুমার সরকার
সম্পাদক
শামছুর রহমান শিশির
Copyright © 2024 বাংলা খবর. All rights reserved.