ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৪৪ মি. ইফতার ৬:১৩ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:০৭ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৫০ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৪৮ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৪৫ মি. ইফতার ৬:১৩ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:০৭ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৪৮ মি. ইফতার ৬:১৮ মি. :: ময়মনসিংহে মসেহেরি ৪:৪৩ মি. ইফতার ৬:১৩ মি. ::::

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে : মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভা কক্ষ থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মোট ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরকারের কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নারী উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নারীবান্ধব বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সুযোগ চায় না, সমান সুযোগ চায়। বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে রাষ্ট্র হবে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত, যে রাষ্ট্রের নারী-পুরুষ সমানভাবে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে নারীরা আজ পুরুষের সমান যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশি যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী ও সংসদ উপনেতা নারী। যা সারা বিশ্বে বিরল। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

এ সময় ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ গ্রহণ করেন ফেনীর লায়লা আক্তার ও মৌলভীবাজারের শাহেনা আক্তার।

চট্টগ্রাম বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সাতকানিয়া উপজেলার নাছরিন সোলতানা জেরিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রাঙামাটি জেলার সপ্তর্ষি চাকমা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে খাগড়াছড়ি জেলার ইন্দিরা দেবী চাকমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা ফেনীর লায়লা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় কক্সবাজার জেলার মনোয়ারা পারভীন।

সিলেট বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জের সৈয়দা ফারহানা ইমা, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মার্গ্রেট সুমের, সফল জননী ক্যাটাগরিতে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার সালেহা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে মৌলভীবাজার জেলার শাহেনা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট জেলার খুশি চৌধুরী।

চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/03gw

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে : মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভা কক্ষ থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মোট ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরকারের কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নারী উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নারীবান্ধব বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সুযোগ চায় না, সমান সুযোগ চায়। বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে রাষ্ট্র হবে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত, যে রাষ্ট্রের নারী-পুরুষ সমানভাবে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে নারীরা আজ পুরুষের সমান যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশি যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী ও সংসদ উপনেতা নারী। যা সারা বিশ্বে বিরল। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

এ সময় ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ গ্রহণ করেন ফেনীর লায়লা আক্তার ও মৌলভীবাজারের শাহেনা আক্তার।

চট্টগ্রাম বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সাতকানিয়া উপজেলার নাছরিন সোলতানা জেরিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রাঙামাটি জেলার সপ্তর্ষি চাকমা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে খাগড়াছড়ি জেলার ইন্দিরা দেবী চাকমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা ফেনীর লায়লা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় কক্সবাজার জেলার মনোয়ারা পারভীন।

সিলেট বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জের সৈয়দা ফারহানা ইমা, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মার্গ্রেট সুমের, সফল জননী ক্যাটাগরিতে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার সালেহা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে মৌলভীবাজার জেলার শাহেনা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট জেলার খুশি চৌধুরী।

চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/03gw