ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নামি স্কুলেই পড়তে হবে, এই মানসিকতা বদলাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নামি স্কুলেই পড়তে হবে, এই মানসিকতা বদলানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে (পিএমও) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বহু জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, নেতা, পাকিস্তান আমলের বহু সিএসপি অফিসার জেলা স্কুল থেকে পাস করেই হয়েছে। এখন কোথা থেকে একটা ধারণা মাত্র কয়েকটা স্কুল- ওইসব স্কুলে না পড়লে নাকি পড়াশোনাই করা হয় না। এই যে মানসিকতা, এটা বদলাতে হবে।

তিনি বলেন, আর জেলাগুলোতে সব সময়ই খুব ভালো স্কুল ছিল। সেখান থেকেই তো আমাদের এখনো যারা আছে, বেশিরভাগই তো ওখান থেকে পাস করে আসছে। তাহলে সেই স্কুলকে খাটো করে দেখা বা দুই একটা নামের ওপরে চলা বাদ দিতে হবে।

প্রত্যেকটা স্কুলেই যেন ভালোভাবে পড়াশোনা হয় সেটা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, সব থেকে ভালো ছেলে-মেয়েরা যেখানে ভর্তি হবে সেখান থেকে তো ভালো রেজাল্ট আসবেই। যদি কেউ গাধা পিটিয়ে মানুষ করতে পারে তাকে আমি ক্রেডিট দেই। যে কিছু জানে না তাকে শিক্ষাটা ভালো করে দিচ্ছে। যে কিছু জানে না তাকে ভালো শিক্ষা যে দিতে পারবে আমার মনে হয় তাদের একটু বিশেষভাবে সমর্থন দেওয়া, পুরস্কৃত করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো ভালো শিক্ষার্থী নিয়ে ভালো রেজাল্ট করা এটা তো খুব সহজ ব্যাপার। কিন্তু যারা খুব ইয়ে…তাদের যারা পাস করাতে পারে তাদেরই তো ক্রেডিটটা বেশি। আমার মনে হয় এ মানসিকতাগুলোর আমাদের একটু পরিবর্তন হওয়া একান্তভাবে দরকার।

শিক্ষায় বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না থাকে সরকার তা নিশ্চিত করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ছাড়া আমরা দারিদ্র বিমোচন করতে পারি না। আমরা এমডিজি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি, এসডিজিও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তাছাড়া আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা যখন আমরা পেয়েছি তখন এ উন্নয়নশীল দেশের পরিচালনা, উন্নয়নশীল দেশের যে কার্যক্রম তার জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে যেন আমরা যে অর্জনটা করেছি এটার কিছুতে আমরা পিছিয়ে না পড়ি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, যখনই এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শুরু হবে আমাদের দেশেও যেন আমরা সেই ধরনের দক্ষ জনবল পাই, তার জন্য এখন থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সরকার নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এবং যুদ্ধ আমাদের জন্য অনেক বাধা তৈরি করেছে। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। তবে আমাদের আরও সতর্ক এবং সাশ্রয়ী হতে হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে পিছিয়ে না যায় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি দরকার আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে সবাইকে। আমরা যে অর্জনটুকু করেছি সেখান থেকে যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ি। করোনাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

সংক্ষিপ্ত এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য এখন মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়লেও বিএনপির শাসনামলে সেই হার কেন কমে গিয়েছিল সেই প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

পড়াশোনার দিকে ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে নিরক্ষরমুক্ত জেলা প্রকল্পও বাতিল করা হয়েছিল।
এবার এসএসসিতে কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আজকে পরীক্ষার ফলাফলে যারা পাস করবে তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। কিন্তু যারা হয়তো পাস করতে পারেনি তাদেরও আমি বলবো তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, কেন ছেলে-মেয়েরা ফেল করবে, ফেল করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। না পড়লে তো ফেল করবেই। কাজেই এটা মাথায় রেখে সবাইকেই পড়তে হবে।

করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে এ বছর বিলম্বে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও ফল প্রকাশ করা হলো সময়মতোই। রীতি অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সমন্বিত ফল সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল বেলা ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলি হলে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। ফলাফল থেকে জানা যায়, এ বছর মোট পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৫৮ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯০.০৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৬ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ।

এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নামি স্কুলেই পড়তে হবে, এই মানসিকতা বদলাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নামি স্কুলেই পড়তে হবে, এই মানসিকতা বদলানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে (পিএমও) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বহু জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, নেতা, পাকিস্তান আমলের বহু সিএসপি অফিসার জেলা স্কুল থেকে পাস করেই হয়েছে। এখন কোথা থেকে একটা ধারণা মাত্র কয়েকটা স্কুল- ওইসব স্কুলে না পড়লে নাকি পড়াশোনাই করা হয় না। এই যে মানসিকতা, এটা বদলাতে হবে।

তিনি বলেন, আর জেলাগুলোতে সব সময়ই খুব ভালো স্কুল ছিল। সেখান থেকেই তো আমাদের এখনো যারা আছে, বেশিরভাগই তো ওখান থেকে পাস করে আসছে। তাহলে সেই স্কুলকে খাটো করে দেখা বা দুই একটা নামের ওপরে চলা বাদ দিতে হবে।

প্রত্যেকটা স্কুলেই যেন ভালোভাবে পড়াশোনা হয় সেটা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, সব থেকে ভালো ছেলে-মেয়েরা যেখানে ভর্তি হবে সেখান থেকে তো ভালো রেজাল্ট আসবেই। যদি কেউ গাধা পিটিয়ে মানুষ করতে পারে তাকে আমি ক্রেডিট দেই। যে কিছু জানে না তাকে শিক্ষাটা ভালো করে দিচ্ছে। যে কিছু জানে না তাকে ভালো শিক্ষা যে দিতে পারবে আমার মনে হয় তাদের একটু বিশেষভাবে সমর্থন দেওয়া, পুরস্কৃত করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো ভালো শিক্ষার্থী নিয়ে ভালো রেজাল্ট করা এটা তো খুব সহজ ব্যাপার। কিন্তু যারা খুব ইয়ে…তাদের যারা পাস করাতে পারে তাদেরই তো ক্রেডিটটা বেশি। আমার মনে হয় এ মানসিকতাগুলোর আমাদের একটু পরিবর্তন হওয়া একান্তভাবে দরকার।

শিক্ষায় বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না থাকে সরকার তা নিশ্চিত করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ছাড়া আমরা দারিদ্র বিমোচন করতে পারি না। আমরা এমডিজি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি, এসডিজিও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তাছাড়া আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা যখন আমরা পেয়েছি তখন এ উন্নয়নশীল দেশের পরিচালনা, উন্নয়নশীল দেশের যে কার্যক্রম তার জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে যেন আমরা যে অর্জনটা করেছি এটার কিছুতে আমরা পিছিয়ে না পড়ি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, যখনই এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শুরু হবে আমাদের দেশেও যেন আমরা সেই ধরনের দক্ষ জনবল পাই, তার জন্য এখন থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সরকার নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এবং যুদ্ধ আমাদের জন্য অনেক বাধা তৈরি করেছে। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। তবে আমাদের আরও সতর্ক এবং সাশ্রয়ী হতে হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে পিছিয়ে না যায় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি দরকার আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে সবাইকে। আমরা যে অর্জনটুকু করেছি সেখান থেকে যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ি। করোনাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

সংক্ষিপ্ত এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য এখন মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়লেও বিএনপির শাসনামলে সেই হার কেন কমে গিয়েছিল সেই প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

পড়াশোনার দিকে ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে নিরক্ষরমুক্ত জেলা প্রকল্পও বাতিল করা হয়েছিল।
এবার এসএসসিতে কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আজকে পরীক্ষার ফলাফলে যারা পাস করবে তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। কিন্তু যারা হয়তো পাস করতে পারেনি তাদেরও আমি বলবো তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, কেন ছেলে-মেয়েরা ফেল করবে, ফেল করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। না পড়লে তো ফেল করবেই। কাজেই এটা মাথায় রেখে সবাইকেই পড়তে হবে।

করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে এ বছর বিলম্বে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও ফল প্রকাশ করা হলো সময়মতোই। রীতি অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সমন্বিত ফল সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল বেলা ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলি হলে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। ফলাফল থেকে জানা যায়, এ বছর মোট পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৫৮ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯০.০৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৬ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ।

এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ।