ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

নগরবাড়ি নদীবন্দর নির্মাণে কাজের মেয়াদ ও ব্যয় দুই’ই বাড়ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি :

চট্রগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত সার, কয়লা, পাথর নদীপথে উত্তরাঞ্চলে স্বল্প খরচে পরিবহনে সরকার নগরবাড়ির যমুনা পাড়ে আধুনিক নদীবন্দর নির্মাণ প্রকল্প শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি। ইতোপূর্বে প্রকল্প মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্প ব্যয় ও বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প মেয়াদ আবারও ২ বছর ও ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৫১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরবাড়ি যমুনার পাড়ে তিন বছর মেয়াদি আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ শুরু হয়। শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতায় প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুননির্ধারিত সময়েও কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্প মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে। নির্মাণ সামগ্রির মুল্যবৃদ্ধিতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বৃদ্ধির আবেদন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর নির্মাণ কাজ চলায় এখানে আমদানি পণ্যের সরবরাহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। নগরবাড়ি ঘাটের আমদানিকারক নওয়াপাড়া গ্রুপের প্রতিনিধি মো. আরমান হোসেন জানান, তাদের আমদানিকৃত সার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নগরবাড়ি ঘাটে আনা হয়। এখানে নির্মাণ কাজে ধীরগতি ও পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় এখন বেশিরভাগ পণ্য বিকল্প নৌপথ যশোরের নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও তাতে পরিবহণ খরচ বাড়ছে।
আমদানি প্রতিষ্ঠান দেশ ট্রেডিং প্রতিনিধি মো. রাজিব হোসেন জানান, নগরবাড়ি বন্দর থেকে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় সার, কয়লা, পাথর ও অন্যান্য আমদানি পণ্য সরবরাহ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত এ পণ্য নিজেদের জাহাজে করে নগরবাড়ি ঘাটে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে তা সড়কপথে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় সহজেই পরিবহন করা হয়। কিন্তু এখন বন্দর নির্মাণের ধীরগতির কারণে আমদানি পণ্যের বড় অংশ দক্ষিণের জেলাগুলোয় খালাস করা হচ্ছে। তাই উত্তরাঞ্চলে পণ্য পরিবহণে সময়ের সঙ্গে প্রতিট্রাক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি লাগছে।
নগরবাড়ি নদীবন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিক উল্লাহ জানান, আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বন্দরে ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হত। ৮-১০টি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসত কিন্তু বন্দর নির্মাণের দীর্ঘসুত্রতায় তা এখন একেবারেই কমেছে।
এ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজিম উদ্দিন পাঠান জানান করোনায় কাজে ধীরগতি আর প্রকল্প এলাকায় দীর্ঘমেয়াদে বর্ষার পানি জমায় সময়মতো কাজ শেষ করা যায়নি। তাই আবারও প্রকল্পের সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্পের ব্যয় পুননির্ধারণের জন্য কারিগরি কমিটি কাজ করছে। নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকল্পের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন।
বন্দর কর্মকর্তা মো. ওয়াকিল জানান একটি সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নদীবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ইতোমধ্যে নদীপাড়ের বিভিন্ন স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। তবে জেটি নির্মাণের কাজ এখনো বাকি।তিনি আরও জানান ‘পুরো কাজ শেষ হলে নগরবাড়িতে একসঙ্গে ১০টি জাহাজ পণ্য খালাস করতে পারবে। এখানে অটোমেশন সুবিধায় পণ্য খালাসে গতি বাড়বে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

 

বা/খ: এসআর।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5o6j

নিউজটি শেয়ার করুন

নগরবাড়ি নদীবন্দর নির্মাণে কাজের মেয়াদ ও ব্যয় দুই’ই বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৫:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি :

চট্রগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত সার, কয়লা, পাথর নদীপথে উত্তরাঞ্চলে স্বল্প খরচে পরিবহনে সরকার নগরবাড়ির যমুনা পাড়ে আধুনিক নদীবন্দর নির্মাণ প্রকল্প শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি। ইতোপূর্বে প্রকল্প মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্প ব্যয় ও বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প মেয়াদ আবারও ২ বছর ও ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৫১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরবাড়ি যমুনার পাড়ে তিন বছর মেয়াদি আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ শুরু হয়। শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতায় প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুননির্ধারিত সময়েও কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্প মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে। নির্মাণ সামগ্রির মুল্যবৃদ্ধিতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বৃদ্ধির আবেদন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর নির্মাণ কাজ চলায় এখানে আমদানি পণ্যের সরবরাহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। নগরবাড়ি ঘাটের আমদানিকারক নওয়াপাড়া গ্রুপের প্রতিনিধি মো. আরমান হোসেন জানান, তাদের আমদানিকৃত সার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নগরবাড়ি ঘাটে আনা হয়। এখানে নির্মাণ কাজে ধীরগতি ও পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় এখন বেশিরভাগ পণ্য বিকল্প নৌপথ যশোরের নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও তাতে পরিবহণ খরচ বাড়ছে।
আমদানি প্রতিষ্ঠান দেশ ট্রেডিং প্রতিনিধি মো. রাজিব হোসেন জানান, নগরবাড়ি বন্দর থেকে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় সার, কয়লা, পাথর ও অন্যান্য আমদানি পণ্য সরবরাহ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত এ পণ্য নিজেদের জাহাজে করে নগরবাড়ি ঘাটে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে তা সড়কপথে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় সহজেই পরিবহন করা হয়। কিন্তু এখন বন্দর নির্মাণের ধীরগতির কারণে আমদানি পণ্যের বড় অংশ দক্ষিণের জেলাগুলোয় খালাস করা হচ্ছে। তাই উত্তরাঞ্চলে পণ্য পরিবহণে সময়ের সঙ্গে প্রতিট্রাক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি লাগছে।
নগরবাড়ি নদীবন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিক উল্লাহ জানান, আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বন্দরে ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হত। ৮-১০টি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসত কিন্তু বন্দর নির্মাণের দীর্ঘসুত্রতায় তা এখন একেবারেই কমেছে।
এ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজিম উদ্দিন পাঠান জানান করোনায় কাজে ধীরগতি আর প্রকল্প এলাকায় দীর্ঘমেয়াদে বর্ষার পানি জমায় সময়মতো কাজ শেষ করা যায়নি। তাই আবারও প্রকল্পের সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্পের ব্যয় পুননির্ধারণের জন্য কারিগরি কমিটি কাজ করছে। নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকল্পের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন।
বন্দর কর্মকর্তা মো. ওয়াকিল জানান একটি সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নদীবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ইতোমধ্যে নদীপাড়ের বিভিন্ন স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। তবে জেটি নির্মাণের কাজ এখনো বাকি।তিনি আরও জানান ‘পুরো কাজ শেষ হলে নগরবাড়িতে একসঙ্গে ১০টি জাহাজ পণ্য খালাস করতে পারবে। এখানে অটোমেশন সুবিধায় পণ্য খালাসে গতি বাড়বে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

 

বা/খ: এসআর।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5o6j