নওগাঁয় ফাইলেরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত রনি কর্মসংস্থান করে বেঁচে থাকতে চায়
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ০৮:১৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
ফাইলেরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত রনি (৩৯) নিবাস প্রথম শ্রেণির পৌরসভা নওগাঁ মাস্টার পাড়াই পেশাই একজন লন্ডি দোকানি, আজ প্রায় দীর্ঘ দিন যাবত নওগাঁর প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারের অপজিটে, বাবা ছেলেসহ ছোট্ট একটি ঘরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন বাবা ছেলেরা মিলে।
কিছু দিন আগে তার মা মারা যান, তার জীবনের কালো অধ্যায় শুরু হয় নেমে আসে ভয়াবহ অন্ধকার। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুই সন্তান সহ স্বামী-স্ত্রীর তিন বেলা দুমুঠো অন্ন যোগানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পক্ষে। সংসারের টানাটানি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া পোশাক আশাক পুষ্টিকর খাবার যোগান বিষয় সে ব্যর্থ।
এটা শুধুমাত্র রনির ক্ষেত্রে না সমাজে এখন সিংঘভাগ মানুষেরই নাবিশ্বাস উঠে গেছে সংসার পরিচালনায় দায়ভার অনেক বহন করতে পারছেন না সামাজিকতা ও চক্ষু লজ্জার কারণে তা সামনে আনতে পারছেন না দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই আছে সব পরিবারে। এক পর্যায়ে রনির স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে, যতদিন সে সুস্থ হবেনা পরিশ্রম করে আয় উপার্জন বাড়াবে না ততদিন সে আর তার কাছে আসবে না। রনি সন্তান দের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ভুক্তভোগী রনি বলেন, পৃথিবীতে জন্মই যেন আমার পাপ, জন্মেছি গরিব পরিবারে রোগ হয়েছে ব্যয়বহুল, সাধ আছে সাধ্য নাই, আমার পোশাক বাজারে মিলে না, জুতা পায়ে ঢোকে না সবাই আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রই, আমি সুস্থ হয়ে পরিশ্রম করে সমাজে বেঁচে থাকতে চাই।
এর জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, সমাজের বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংগঠন বৃত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানাই, কেউ একজন আমাকে একটি টমটম চার্জার রিক্সা দান করলে অথবা একটি দোকান করে দিলে আমি পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারতাম।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ফাইলেরিয়াসিস রোগ এটা মশা বাহিত রোগ শুরুতেই যদি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেওয়া যেত তাহলে সেরে ওঠা সম্ভব ছিল, রনীর এটা অনেক দেরি হয়েছে ব্যপক আকার ধারণ করেছে তার জন্য এখন ব্যয়বহুল। তবে তার জন্য কতটা করা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করছি, কিছু সহযোগি সংগঠনের সাথে কথা বলেছি তারা রনির জন্য কিছু করবে বলে আশাবাদী যদীও এই জেলাতে সেই সংগঠন নেই।
সমাজসেবা উপ-পরিচালক নূর মুহাম্মদ বলেন আমরা সাধারণত যে ছয়টি রোগের অনুদান দিয়ে থাকি তার মধ্যে এটা পড়ছে না, জেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদ বরাবর দরখাস্ত করলে তাকে কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করব।
বাখ//আর