ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ৮ জন রোগী এসেছেন। এদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছে। এ ভাইরাসে ৭০ শতাংশ মারা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সুস্থ ব্যক্তিরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর কোনো প্রতিষেধক নেই। কাচা রস ও পাখিদের খাওয়া ফল খেলে এ রোগ হয়। বাদুড় এ ভাইরাস বহন করে। বাদুড়ের পান করা খেজুরের রস যদি কোনো ব্যক্তি পান করেন তাহলে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে গেলেও দ্রুত এ ভাইরাস ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি (সচেতনতামূলক ভিডিও) করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এজন্য কাচা রস পান করা যাবে না। পাখিদের খাওয়া ফল কোনো খাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো ভ্যাকসিন নেই, ওষুধও নেই। সিম্পটমেটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেভাবে আমরা করোনার চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম।

নিপাহ ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথমে মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করা। এজন্য আমরা টিভিসিও তৈরি করেছি। পত্রপত্রিকায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, আজকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আমরা একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছি, আইসিইউ ইউনিট যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী চিকিৎসা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তারা কাজ করছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি কার্যকর হবে।

নিপাহ ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চেষ্টায় আছি, এটি যাতে ছড়িয়ে না যায়। সেদিকে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আল্লাহর রহমতে এটি সেভাবে ছড়ায়নি। আটজনের মধ্যে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন, এজন্য আমাদের সতর্ক হওয়াটা খুবই জরুরি।

গত বছরের চেয়ে এবার নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণটা বেশি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংক্রমণ কেন বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ বলা মুশকিল। হয়তো এবার খেজুরের রসের উৎপাদন বাড়ছে, গাছের সংখ্যা বাড়ছে, সেজন্য হয়তো এটা বেশি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ৮ জন রোগী এসেছেন। এদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছে। এ ভাইরাসে ৭০ শতাংশ মারা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সুস্থ ব্যক্তিরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর কোনো প্রতিষেধক নেই। কাচা রস ও পাখিদের খাওয়া ফল খেলে এ রোগ হয়। বাদুড় এ ভাইরাস বহন করে। বাদুড়ের পান করা খেজুরের রস যদি কোনো ব্যক্তি পান করেন তাহলে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে গেলেও দ্রুত এ ভাইরাস ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি (সচেতনতামূলক ভিডিও) করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এজন্য কাচা রস পান করা যাবে না। পাখিদের খাওয়া ফল কোনো খাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো ভ্যাকসিন নেই, ওষুধও নেই। সিম্পটমেটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেভাবে আমরা করোনার চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম।

নিপাহ ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথমে মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করা। এজন্য আমরা টিভিসিও তৈরি করেছি। পত্রপত্রিকায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, আজকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আমরা একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছি, আইসিইউ ইউনিট যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী চিকিৎসা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তারা কাজ করছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি কার্যকর হবে।

নিপাহ ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চেষ্টায় আছি, এটি যাতে ছড়িয়ে না যায়। সেদিকে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আল্লাহর রহমতে এটি সেভাবে ছড়ায়নি। আটজনের মধ্যে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন, এজন্য আমাদের সতর্ক হওয়াটা খুবই জরুরি।

গত বছরের চেয়ে এবার নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণটা বেশি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংক্রমণ কেন বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ বলা মুশকিল। হয়তো এবার খেজুরের রসের উৎপাদন বাড়ছে, গাছের সংখ্যা বাড়ছে, সেজন্য হয়তো এটা বেশি হচ্ছে।