ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে দায় শেখ হাসিনার : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রাতবেদক : 

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন কঠিন দুঃসময়। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে? এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে।
নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াতে চেয়েছিল এই সরকার। এখন চালের কেজি ৬০ টাকা। ডাল, ডিম, চিনিসহ শাক-সবজির দামও আকাশচুম্বী। এসময় সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, কিন্তু আমরা দেখছি আপনারা চিতল মাছ খান। বিদেশে যান। এসি রুমে থাকেন। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন আপনারা।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। যেদিকে তাকাই শুধু চুরি আর চুরি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ করতেও চুরি হয়। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা এমনকী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিতেও টাকা দিতে হয়। এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে কিছু বাকি রাখেনি। এই সরকার সর্বভুক সরকারে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছে দাবি করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দলীয় ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদেরও হয়রানি করতে ছাড়েনি। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ২টায় বিভাগীয় এই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে যায়।
এর আগে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে দায় শেখ হাসিনার : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রাতবেদক : 

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন কঠিন দুঃসময়। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে? এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে।
নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াতে চেয়েছিল এই সরকার। এখন চালের কেজি ৬০ টাকা। ডাল, ডিম, চিনিসহ শাক-সবজির দামও আকাশচুম্বী। এসময় সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, কিন্তু আমরা দেখছি আপনারা চিতল মাছ খান। বিদেশে যান। এসি রুমে থাকেন। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন আপনারা।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। যেদিকে তাকাই শুধু চুরি আর চুরি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ করতেও চুরি হয়। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা এমনকী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিতেও টাকা দিতে হয়। এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে কিছু বাকি রাখেনি। এই সরকার সর্বভুক সরকারে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছে দাবি করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দলীয় ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদেরও হয়রানি করতে ছাড়েনি। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ২টায় বিভাগীয় এই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে যায়।
এর আগে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।