ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়নের ঘরে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। পাশাপাশি কোরিয়া, বিশ্বব্যাংক, আইডিবির উৎস থেকে ৯০ কোটি ডলার এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ গণনার পদ্ধতি ধরলে এই অঙ্ক বেড়ে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে।

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়। পরে বৃহস্পতিবার ঋণের সেই অর্থ আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। তারও আগে গত ডিসেম্বরে এ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ।

দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। তবে আমদানি দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, ঋণ পরিশোধের চাপসহ নানা কারণে পরবর্তীতে তা কমতে থাকে।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। পরে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে এই ঋণের অর্থ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম কিস্তি বাবদ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত আইএমএফের ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়নের ঘরে

আপডেট সময় : ০৯:০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। পাশাপাশি কোরিয়া, বিশ্বব্যাংক, আইডিবির উৎস থেকে ৯০ কোটি ডলার এসেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ গণনার পদ্ধতি ধরলে এই অঙ্ক বেড়ে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে।

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়। পরে বৃহস্পতিবার ঋণের সেই অর্থ আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। তারও আগে গত ডিসেম্বরে এ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ।

দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। তবে আমদানি দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, ঋণ পরিশোধের চাপসহ নানা কারণে পরবর্তীতে তা কমতে থাকে।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। পরে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে এই ঋণের অর্থ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম কিস্তি বাবদ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত আইএমএফের ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।