ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

দুর্যোগে নারীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। জলবায়ু সংকট ও দুর্যোগের কারণে নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা এবং দুর্যোগকালে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু সঙ্কট এবং নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুর রহমান বলেন, নারীরা কী ধরনের সমস্যায় পড়েন, সেসব এই ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উঠে এসেছে। যেকোনো বন্যা বা দুর্যোগে যেন নারীরা নিরাপদে থাকতে পারেন, কিশোরীরা তাদের অধিকার পায়, সেভাবেই আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকার পরও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড করা হয়েছে। সেখান থাকে আমরা নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগে গৃহহীনদের জন্য ২ লাখ বাড়ি করে দিয়েছেন। ডিসেম্বরে আরও ৪০ হাজার বাড়ি করে দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে নারীদের অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করছি। সামনেও আমরা সে ধারা অব্যাহত রাখব।

১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেছিল। সে সময় নারী ও পুরুষের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১ জন পুরুষের জায়গায় ১৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছিল। আজকের বাংলাদেশের চিত্র কিন্তু তেমনটা আর নেই। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সাইক্লোন সেন্টার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাত হাজার সাইক্লোন সেন্টার ও চার হাজার বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপদ বসবাসের জন্য এই সাইক্লোন সেন্টারগুলোর মান উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা থাকার জায়গা, গর্ভবতী ও মাতৃদুগ্ধ দানকারী নারীদের আলাদা থাকার জায়গা এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩টি করে টয়লেট ও একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট রাখা হয়েছে।

সাইক্লোন সেন্টারে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে ৭৬ হাজার স্বেচ্চাসেবক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার নারী ও ৩৮ হাজার পুরুষ কাজ করছে। এ জন্যই এত বেশি নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যে, যেন নারীদের অধিকার আদায়ে ও দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে সেসব নারী কাজ করতে পারে। নারীরা যখন কাজ করে, তখন তাদের নজর থাকে নারীদের ওপর। নারীরা সহজেই একটা নারীকে সাহায্য করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউএনএফপিএ-র ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মাসাকি ওয়াতাবি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/rvn5

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্যোগে নারীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। জলবায়ু সংকট ও দুর্যোগের কারণে নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা এবং দুর্যোগকালে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু সঙ্কট এবং নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুর রহমান বলেন, নারীরা কী ধরনের সমস্যায় পড়েন, সেসব এই ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উঠে এসেছে। যেকোনো বন্যা বা দুর্যোগে যেন নারীরা নিরাপদে থাকতে পারেন, কিশোরীরা তাদের অধিকার পায়, সেভাবেই আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকার পরও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড করা হয়েছে। সেখান থাকে আমরা নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগে গৃহহীনদের জন্য ২ লাখ বাড়ি করে দিয়েছেন। ডিসেম্বরে আরও ৪০ হাজার বাড়ি করে দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে নারীদের অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করছি। সামনেও আমরা সে ধারা অব্যাহত রাখব।

১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেছিল। সে সময় নারী ও পুরুষের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১ জন পুরুষের জায়গায় ১৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছিল। আজকের বাংলাদেশের চিত্র কিন্তু তেমনটা আর নেই। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সাইক্লোন সেন্টার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাত হাজার সাইক্লোন সেন্টার ও চার হাজার বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপদ বসবাসের জন্য এই সাইক্লোন সেন্টারগুলোর মান উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা থাকার জায়গা, গর্ভবতী ও মাতৃদুগ্ধ দানকারী নারীদের আলাদা থাকার জায়গা এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩টি করে টয়লেট ও একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট রাখা হয়েছে।

সাইক্লোন সেন্টারে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে ৭৬ হাজার স্বেচ্চাসেবক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার নারী ও ৩৮ হাজার পুরুষ কাজ করছে। এ জন্যই এত বেশি নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যে, যেন নারীদের অধিকার আদায়ে ও দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে সেসব নারী কাজ করতে পারে। নারীরা যখন কাজ করে, তখন তাদের নজর থাকে নারীদের ওপর। নারীরা সহজেই একটা নারীকে সাহায্য করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউএনএফপিএ-র ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মাসাকি ওয়াতাবি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/rvn5