ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন মানে না কাঁটাতারের বেড়া : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না বলেছেন কলকাতা সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী আটশ’ বছরের পুরনো শহর কলকাতার রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মৈত্রীর কথা বলেন।

বাঙালিরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতবর্ষ থেকে যারা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে তাদের অধিকাংশই বাঙ্গালি। মেধায় বাঙ্গালিরা বিশ্বের অনেককে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলোর অন্যতম। ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম- সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমারা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও।

বিশেষ অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সরকার বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোন দূরত্ব নেই।

সভাপতির বক্তৃতায় ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনো কমেনি। দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। শেষে দু’দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। কলকাতার নন্দন ১,২ ও ৩ প্রেক্ষাগৃহে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৫টি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী চলছে।

উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গণ্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মত মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।

এসময় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, বাংলাদেশ হাই কমিশন, নয়াদিল্লীর প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/rdi2

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন মানে না কাঁটাতারের বেড়া : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না বলেছেন কলকাতা সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী আটশ’ বছরের পুরনো শহর কলকাতার রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মৈত্রীর কথা বলেন।

বাঙালিরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতবর্ষ থেকে যারা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে তাদের অধিকাংশই বাঙ্গালি। মেধায় বাঙ্গালিরা বিশ্বের অনেককে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলোর অন্যতম। ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম- সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমারা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও।

বিশেষ অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সরকার বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোন দূরত্ব নেই।

সভাপতির বক্তৃতায় ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনো কমেনি। দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। শেষে দু’দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। কলকাতার নন্দন ১,২ ও ৩ প্রেক্ষাগৃহে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৫টি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী চলছে।

উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গণ্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মত মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।

এসময় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, বাংলাদেশ হাই কমিশন, নয়াদিল্লীর প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/rdi2