ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দিনে ‘পুলিশ’, রাতে গার্মেন্টসকর্মী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতারক নাসির ফকির

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় রাতের শিফটে কাজ করেন। দিনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। হুমকি দেওয়ার জন্য কোমরে রাখতেন ওয়াকিটকি। আর মানিব্যাগে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ছবি।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মচারী নাসির ফকিরকে (৩৭) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের মাসকট প্লাজার সামনে একজন ডিপ্লোমা দন্ত চিকিৎসককে তল্লাশির নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় নাসির ফকিরকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। নাসির গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় রাতের শিফটে কাজ করেন।

নাসিরের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার আরোয়াকান্দি গ্রামে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নাসির আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। সেখানে তিনি প্রতিদিন রাতে কাজ করতেন। দিনে পুলিশের এসআইয়ের বেশ ধারণ করে সরল ব্যক্তিদের আটক করে তল্লাশির নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। সবাই যেন পুলিশ মনে করে, এজন্য মাথার চুল ছোট রাখতেন এবং মানিব্যাগে রাখতেন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইনুল ইসলাম নামের একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে তার গতিরোধ করেন নাসির। প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান। এরপর তার ব্যাগ নিয়ে তল্লাশি করেন। তখন টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

পুলিশকে দেখে ভুক্তভোগী মাইনুল সব খুলে বলেন। এরপর টহল পুলিশ নাসিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের ভুয়া পুলিশ পরিচয় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

দিনে ‘পুলিশ’, রাতে গার্মেন্টসকর্মী

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় রাতের শিফটে কাজ করেন। দিনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। হুমকি দেওয়ার জন্য কোমরে রাখতেন ওয়াকিটকি। আর মানিব্যাগে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ছবি।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মচারী নাসির ফকিরকে (৩৭) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের মাসকট প্লাজার সামনে একজন ডিপ্লোমা দন্ত চিকিৎসককে তল্লাশির নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় নাসির ফকিরকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। নাসির গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় রাতের শিফটে কাজ করেন।

নাসিরের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার আরোয়াকান্দি গ্রামে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নাসির আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। সেখানে তিনি প্রতিদিন রাতে কাজ করতেন। দিনে পুলিশের এসআইয়ের বেশ ধারণ করে সরল ব্যক্তিদের আটক করে তল্লাশির নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। সবাই যেন পুলিশ মনে করে, এজন্য মাথার চুল ছোট রাখতেন এবং মানিব্যাগে রাখতেন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইনুল ইসলাম নামের একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে তার গতিরোধ করেন নাসির। প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান। এরপর তার ব্যাগ নিয়ে তল্লাশি করেন। তখন টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

পুলিশকে দেখে ভুক্তভোগী মাইনুল সব খুলে বলেন। এরপর টহল পুলিশ নাসিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের ভুয়া পুলিশ পরিচয় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।