ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দিনাজপুর মহিলা পরিষদের উদ্যোগে চিরঞ্জীব সুফিয়া কামালের ১১৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

মোঃ খাদেমুল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনেক কথার গুঞ্জন শুনি, অনেক গানের সুর, সবচেয়ে ভালো লাগে যে আমার “মাগো’ ডাক সুমধুর” (জন্মেছি এই দেশে)

এমন অনেক কালজয়ী অসংখ্য কবিতার সৃষ্টি করেছেন বেগম সুফিয়া কামাল। তার কবিতার প্রতি পরতে পরতে যেন শরতের শুভ্র মেঘের আবাসন। সেই সাথে সাহিত্যের জগতেও তার ছিল অবাধ বিচরণ। সাঝের মায়া(১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১) মন ও জীবন (১৯৫৭) প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮) উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪) দিওয়ানা (১৯৬৬) অভিযাত্রিক (১৯৬৯) মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০)।

এই সাহিত্যকর্মগুলো জীবন ও জীবনের ব্যবহারিক প্রয়োগ মন ও জীবনকে কিভাবে ছন্দময় করে তুলে সে বিষয়ে তার লেখনি অনন্য সাধারণ।

আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর মহিলা পরিষদের উদ্যোগে চিরঞ্জীবী সুফিয়া কামালের ১১৩ তম জন্মবার্ষিকীতে নানা আয়োজনের মুখর ছিল দিনাজপুর জেলা মহিলা চত্বর।

কালজয়ী এই কবির জন্মদিনে দিনাজপুর জেলা মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী বিভিন্ন ধরনের আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

দিনাজপুর মহিলা পরিষদের সভাপতি ড.মারুফা বেগমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আকতারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানিজ রহমান বলেন, বেগম সুফিয়া কামাল একটি আত্মশুদ্ধির নাম, বেগম সুফিয়া কামাল একটি আদর্শিক দর্শনের নাম। কবিতা, সাহিত্য, সমাজসেবায় তিনি আজীবন আরাধ্য থেকেছেন।নারীমুক্তি আন্দোলন থেকে তার অবদান মুক্তবুদ্ধিচর্চা, মানবাধিকার পর্যন্ত দিগন্ত বিস্তারি। ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে স্বদেশের নানা প্রয়োজনে তিনি সোচ্চার থেকেছেন, প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছেন জনমানুষের অধিকার আদায়ে।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, সুফিয়া কামাল তার জীবনকাল পরিব্যাপ্ত ছিল প্রায় ৯০ বছর। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি দেহত্যাগ করেন। দীর্ঘজীবনে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, কাজী মোতাহার হোসেন, কাজী আবদুল ওদুদ, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, শেরে বাংলা, সোহারাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীসহ গত শতাব্দীর প্রায় সব যুগপুরুষকেই। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কাজী নজরুল ইসলাম তাকে বোন বানিয়েছিলেন। বেগম রোকেয়াও তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে বড়বোনের মতো শ্রদ্ধা করতেন। দেশভাগোত্তর পূর্ববাংলার অনেক কবি, সাহিত্যিকই তার, স্নেহ-মমতা সান্নিধ্য পেয়েছেন। সব মিলিয়ে কালের সাক্ষী সুফিয়া কামাল।

কালজয়ী এই কবি ও সাহিত্যিক নিয়ে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনতি ঘোষ, রত্না মিত্র, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক গৌরী চক্রবর্তী, অর্থ সম্পাদক শাহানাজ পারভীন, প্রচার সম্পাদক শুক্লা কুন্ডু প্রমুখ।

এর আগে কবির ১১৩তম জন্ম জয়ন্তি উপলক্ষ্যে চিরঞ্জিব বেগম সুফিয়া কামাল এঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

দিনাজপুর মহিলা পরিষদের উদ্যোগে চিরঞ্জীব সুফিয়া কামালের ১১৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

অনেক কথার গুঞ্জন শুনি, অনেক গানের সুর, সবচেয়ে ভালো লাগে যে আমার “মাগো’ ডাক সুমধুর” (জন্মেছি এই দেশে)

এমন অনেক কালজয়ী অসংখ্য কবিতার সৃষ্টি করেছেন বেগম সুফিয়া কামাল। তার কবিতার প্রতি পরতে পরতে যেন শরতের শুভ্র মেঘের আবাসন। সেই সাথে সাহিত্যের জগতেও তার ছিল অবাধ বিচরণ। সাঝের মায়া(১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১) মন ও জীবন (১৯৫৭) প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮) উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪) দিওয়ানা (১৯৬৬) অভিযাত্রিক (১৯৬৯) মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০)।

এই সাহিত্যকর্মগুলো জীবন ও জীবনের ব্যবহারিক প্রয়োগ মন ও জীবনকে কিভাবে ছন্দময় করে তুলে সে বিষয়ে তার লেখনি অনন্য সাধারণ।

আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর মহিলা পরিষদের উদ্যোগে চিরঞ্জীবী সুফিয়া কামালের ১১৩ তম জন্মবার্ষিকীতে নানা আয়োজনের মুখর ছিল দিনাজপুর জেলা মহিলা চত্বর।

কালজয়ী এই কবির জন্মদিনে দিনাজপুর জেলা মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী বিভিন্ন ধরনের আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

দিনাজপুর মহিলা পরিষদের সভাপতি ড.মারুফা বেগমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আকতারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানিজ রহমান বলেন, বেগম সুফিয়া কামাল একটি আত্মশুদ্ধির নাম, বেগম সুফিয়া কামাল একটি আদর্শিক দর্শনের নাম। কবিতা, সাহিত্য, সমাজসেবায় তিনি আজীবন আরাধ্য থেকেছেন।নারীমুক্তি আন্দোলন থেকে তার অবদান মুক্তবুদ্ধিচর্চা, মানবাধিকার পর্যন্ত দিগন্ত বিস্তারি। ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে স্বদেশের নানা প্রয়োজনে তিনি সোচ্চার থেকেছেন, প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছেন জনমানুষের অধিকার আদায়ে।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, সুফিয়া কামাল তার জীবনকাল পরিব্যাপ্ত ছিল প্রায় ৯০ বছর। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি দেহত্যাগ করেন। দীর্ঘজীবনে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, কাজী মোতাহার হোসেন, কাজী আবদুল ওদুদ, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, শেরে বাংলা, সোহারাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীসহ গত শতাব্দীর প্রায় সব যুগপুরুষকেই। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কাজী নজরুল ইসলাম তাকে বোন বানিয়েছিলেন। বেগম রোকেয়াও তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে বড়বোনের মতো শ্রদ্ধা করতেন। দেশভাগোত্তর পূর্ববাংলার অনেক কবি, সাহিত্যিকই তার, স্নেহ-মমতা সান্নিধ্য পেয়েছেন। সব মিলিয়ে কালের সাক্ষী সুফিয়া কামাল।

কালজয়ী এই কবি ও সাহিত্যিক নিয়ে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনতি ঘোষ, রত্না মিত্র, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক গৌরী চক্রবর্তী, অর্থ সম্পাদক শাহানাজ পারভীন, প্রচার সম্পাদক শুক্লা কুন্ডু প্রমুখ।

এর আগে কবির ১১৩তম জন্ম জয়ন্তি উপলক্ষ্যে চিরঞ্জিব বেগম সুফিয়া কামাল এঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা।

 

বাখ//আর