ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

আবারো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন। শহরের কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি বিএনপির ষষ্ঠ বিভাগীয় সমাবেশ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী। পরিচালনা করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সংবিধানের কথা বলেন, বলেন সংবিধানে যেমনটি আছে তেমনটি হবে। কী আছে সংবিধানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে ছিল, ১৯৯০ সালের পরে ৪-৫টি নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তখন সবাই ভোট দিতে পেরেছিল। সংবিধানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। একবার করেছিল ১৯৭৫ সালে। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে, সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল চালু করেছিল।

আর কোনো অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করা হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা রুখে দাঁড়াবো। তরুণদের জেগে উঠতে হবে। সমস্ত মানুষকে জেগে উঠতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে ৩৫ লাখ মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে দেশের আলেম-ওলামাদেরকে পর্যন্ত তারা হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলায় আসামি করে তাদেরকে জেলে পাঠাচ্ছে। তাদেরকে জামিনও দিচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশে যেতে পুলিশ বাধা দেয়। আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে! ভূতের মুখে রাম নাম। তাদের গণতন্ত্র মানে গুম, খুন, মামলা, হামলা করা। তাদের এত ভয় কেন?

তিনি বলেন, ক্যাসিনো সম্রাট মুক্তি পান আর খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়। তারেক রহমানকে সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছেন। দেশে আসতে দেওয়া হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার সময় এসেছে নতুন করে যুদ্ধ করার। আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা আর ওদের হাতে শৃঙ্খলের জিঞ্জির। তারা মনে করেন এদেশ তাদের। এদেশ তাদের বাপের দেশ। গুম, খুন করে রেহাই পাবেন না। আজ আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, গণতন্ত্র আপনারা শেষ করে দিয়েছেন। তাদের ভাবটা এমন তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। কিন্তু এবার আর তা হবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। এবার আর রাতের ভোট হবে না।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জোর করে কোনোদিন মানুষের সংগ্রামকে বন্ধ করা যাবে না। ফেরাউন পারেনি, নমরুদ পারেনি, মুসোলিনি পারেনি, আইয়ুব খান পারেনি, আপনারাও পারবেন না। ইতিহাস ভুলে যান কেন? ভুলে যাবেন না ইতিহাস। একনায়কতন্ত্র করে জোর করে, মানুষকে গুম করে, খুন করে আপনার রেহাই পাবেন না।

আর অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রুখে দাঁড়াবো। তরুণদের জেগে উঠতে হবে, সমস্ত মানুষকে জেগে উঠতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে ৩৫ লাখ মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আমরা এখানে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করতে চাই বাংলাদেশকে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এরা মনে করে দেশটা তাদের বাপের, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সাধারণ মানুষকে তারা চাকর-বাকর ভাবে, মনে করে যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যবহার করা যাবে।

ক্রসফায়ারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবার ক্রসফায়ার শুরু করেছেন। তারা (সরকার) মনে করেন আমরা কেউ না। আমরা চাকর-বাকর। আমরা রুখে দাঁড়াবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো। আমাদের এক দফা এক দাবি, ফয়সালা হবে রাজপথে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির দুই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান ও মো. সেলিমুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে। চট্টগ্রাম দিয়ে শুরু করা এই বিভাগীয় কর্মসূচি ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে সম্পন্ন করেছে দলটি। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে দলটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

আবারো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন। শহরের কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি বিএনপির ষষ্ঠ বিভাগীয় সমাবেশ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী। পরিচালনা করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সংবিধানের কথা বলেন, বলেন সংবিধানে যেমনটি আছে তেমনটি হবে। কী আছে সংবিধানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে ছিল, ১৯৯০ সালের পরে ৪-৫টি নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তখন সবাই ভোট দিতে পেরেছিল। সংবিধানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। একবার করেছিল ১৯৭৫ সালে। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে, সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল চালু করেছিল।

আর কোনো অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করা হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা রুখে দাঁড়াবো। তরুণদের জেগে উঠতে হবে। সমস্ত মানুষকে জেগে উঠতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে ৩৫ লাখ মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে দেশের আলেম-ওলামাদেরকে পর্যন্ত তারা হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলায় আসামি করে তাদেরকে জেলে পাঠাচ্ছে। তাদেরকে জামিনও দিচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশে যেতে পুলিশ বাধা দেয়। আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে! ভূতের মুখে রাম নাম। তাদের গণতন্ত্র মানে গুম, খুন, মামলা, হামলা করা। তাদের এত ভয় কেন?

তিনি বলেন, ক্যাসিনো সম্রাট মুক্তি পান আর খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়। তারেক রহমানকে সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছেন। দেশে আসতে দেওয়া হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার সময় এসেছে নতুন করে যুদ্ধ করার। আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা আর ওদের হাতে শৃঙ্খলের জিঞ্জির। তারা মনে করেন এদেশ তাদের। এদেশ তাদের বাপের দেশ। গুম, খুন করে রেহাই পাবেন না। আজ আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, গণতন্ত্র আপনারা শেষ করে দিয়েছেন। তাদের ভাবটা এমন তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। কিন্তু এবার আর তা হবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। এবার আর রাতের ভোট হবে না।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জোর করে কোনোদিন মানুষের সংগ্রামকে বন্ধ করা যাবে না। ফেরাউন পারেনি, নমরুদ পারেনি, মুসোলিনি পারেনি, আইয়ুব খান পারেনি, আপনারাও পারবেন না। ইতিহাস ভুলে যান কেন? ভুলে যাবেন না ইতিহাস। একনায়কতন্ত্র করে জোর করে, মানুষকে গুম করে, খুন করে আপনার রেহাই পাবেন না।

আর অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রুখে দাঁড়াবো। তরুণদের জেগে উঠতে হবে, সমস্ত মানুষকে জেগে উঠতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে ৩৫ লাখ মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আমরা এখানে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করতে চাই বাংলাদেশকে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এরা মনে করে দেশটা তাদের বাপের, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সাধারণ মানুষকে তারা চাকর-বাকর ভাবে, মনে করে যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যবহার করা যাবে।

ক্রসফায়ারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবার ক্রসফায়ার শুরু করেছেন। তারা (সরকার) মনে করেন আমরা কেউ না। আমরা চাকর-বাকর। আমরা রুখে দাঁড়াবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো। আমাদের এক দফা এক দাবি, ফয়সালা হবে রাজপথে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির দুই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান ও মো. সেলিমুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে। চট্টগ্রাম দিয়ে শুরু করা এই বিভাগীয় কর্মসূচি ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে সম্পন্ন করেছে দলটি। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে দলটি।