ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, প্রমাণ গাইবান্ধা : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১ হাজার ৩৮০টা সিসি ক্যামেরা ছিল, পর্যাপ্ত নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র‌্যাব পাহারায় ছিল, তারপর ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

আজ শনিবার  বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজ শনিবার দুপুর ২টা বাজার কিছুক্ষণ আগে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্য দিয়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। ২টা ২০ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। একটা বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেটা প্রমাণ হয়েছে।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করে বিএনপি।

এর আগে সমাবেশ সফল করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দূরদূরান্ত থেকে নগরের পলিটেকনিক মাঠে এসে রাত্রি যাপন করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে শুরু করেন। ময়মনসিংহের চার বিভাগ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশ যোগদান করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও যানবাহন থেকে নামিয়ে দেয়ার পরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠ। স্লোগান, মিছিল আর বাদ্যের তালে তালে মুখরিতে হয়ে উঠছে পুরো এলাকা।

কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহগামী কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সমাবেশ স্থলমুখী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জলপথে নৌকা-ট্রলারে করে সমাবেশ যোগ দেন। এ ছাড়া রাস্তায় একাধিক কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, প্রমাণ গাইবান্ধা : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১ হাজার ৩৮০টা সিসি ক্যামেরা ছিল, পর্যাপ্ত নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র‌্যাব পাহারায় ছিল, তারপর ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

আজ শনিবার  বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজ শনিবার দুপুর ২টা বাজার কিছুক্ষণ আগে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্য দিয়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। ২টা ২০ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। একটা বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেটা প্রমাণ হয়েছে।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করে বিএনপি।

এর আগে সমাবেশ সফল করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দূরদূরান্ত থেকে নগরের পলিটেকনিক মাঠে এসে রাত্রি যাপন করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে শুরু করেন। ময়মনসিংহের চার বিভাগ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশ যোগদান করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও যানবাহন থেকে নামিয়ে দেয়ার পরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠ। স্লোগান, মিছিল আর বাদ্যের তালে তালে মুখরিতে হয়ে উঠছে পুরো এলাকা।

কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহগামী কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সমাবেশ স্থলমুখী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জলপথে নৌকা-ট্রলারে করে সমাবেশ যোগ দেন। এ ছাড়া রাস্তায় একাধিক কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।