ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দখলদার যে দলেরই হোক, ছাড় নেই: সালমান এফ রহমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় যতগুলো প্রাচীন স্থাপত্য অন্যের দখলে আছে, তা পর্যায়ক্রমে সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, দখলদার যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নবাবগঞ্জ উপজেলার সদ্য দখলমুক্ত ও সরকারের কর্তৃত্বে আনা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ‘ব্রজ নিকেতন’ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

তার তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় গত ৩১ ডিসেম্বর দীর্ঘদিন বেআইনিভাবে দখলে থাকা পুরনো এ স্থাপত্যটি দখলমুক্ত করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্থাপত্যটি সংস্কার করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় কি না এ জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান সালমান এফ রহমান।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমি যখন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্রজ নিকেতন সর্ম্পকে জানতে চাইলাম, তারা জানালেন, এ নিয়ে অনেক মামলা আছে। আমি বললাম, মামলা থাকতে পারে কিন্তু আদালতের কোনো আদেশ আছে কি না বা তাদের নামে জমি দেওয়া হয়েছে বা ইনজাঙ্কশন আছে কি না। পরে সকল কাগজপত্র দেখে জানতে পারলাম, প্রথমে উনারা বাড়িটি দখল করে আদালতে মামলা করেন। আগে যারা জমিদার ছিলেন, তাদের কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন বলে আদালতে রেকর্ড দেখিয়েছেন। কিন্তু আমরা যখন ভূমি রেকর্ড দেখলাম, তখন জানতে পারলাম বিষয়টি সত্য নয়।

তিনি বলেন, জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী জজবাড়ি খ্যাত ব্রজ নিকেতনের বয়স প্রায় ২০০ বছর। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ খন্দকার আবুল হোসেনের কাছ থেকে জেলা প্রশাসন দখল মুক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি যখন বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা ডিসি এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলি, তাদের জিজ্ঞেস করলাম তারা কীভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে আছেন। আমরা কেন তা ফেরত নিতে পারব না? পরে তাদের সহযোগিতায় ব্রজ নিকেতন উদ্ধার করা হয়।

সালমান এফ রহমান বলেন, নবাবগঞ্জে ছয়টি বাড়ি অন্যের দখল আছে। দোহারে এমন বাড়ির তালিকা করা হচ্ছে। আইন মেনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলমুক্ত করা হবে। গায়ের জোরে কেউ কারো সম্পত্তি দখল করতে পারবে না। পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হবে সরকারি সব সম্পত্তি।

তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তি সরকারের দখলে থাকবে। পুরনো স্থাপত্যগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পর্যটনের হাত ধরে বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন। পর্যটন কাজের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বাড়ায়, যা দেশের মোট আয় ও উৎপাদনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এ সময় সালমান এফ রহমান নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। পরে নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও আন্তঃমাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতিউর রহমান সামীম, দোহার সার্কেল এএসপি আরিফুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া, এম এ বারী বাবুল মোল্লা, ইব্রাহিম খলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবেদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক তাবির হোসেন পাবেল, সাংবাদিক হালিমা আক্তার লাবন্য ভূঁইয়াসহ জেলা, উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দখলদার যে দলেরই হোক, ছাড় নেই: সালমান এফ রহমান

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় যতগুলো প্রাচীন স্থাপত্য অন্যের দখলে আছে, তা পর্যায়ক্রমে সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, দখলদার যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নবাবগঞ্জ উপজেলার সদ্য দখলমুক্ত ও সরকারের কর্তৃত্বে আনা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ‘ব্রজ নিকেতন’ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

তার তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় গত ৩১ ডিসেম্বর দীর্ঘদিন বেআইনিভাবে দখলে থাকা পুরনো এ স্থাপত্যটি দখলমুক্ত করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্থাপত্যটি সংস্কার করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় কি না এ জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান সালমান এফ রহমান।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমি যখন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্রজ নিকেতন সর্ম্পকে জানতে চাইলাম, তারা জানালেন, এ নিয়ে অনেক মামলা আছে। আমি বললাম, মামলা থাকতে পারে কিন্তু আদালতের কোনো আদেশ আছে কি না বা তাদের নামে জমি দেওয়া হয়েছে বা ইনজাঙ্কশন আছে কি না। পরে সকল কাগজপত্র দেখে জানতে পারলাম, প্রথমে উনারা বাড়িটি দখল করে আদালতে মামলা করেন। আগে যারা জমিদার ছিলেন, তাদের কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন বলে আদালতে রেকর্ড দেখিয়েছেন। কিন্তু আমরা যখন ভূমি রেকর্ড দেখলাম, তখন জানতে পারলাম বিষয়টি সত্য নয়।

তিনি বলেন, জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী জজবাড়ি খ্যাত ব্রজ নিকেতনের বয়স প্রায় ২০০ বছর। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ খন্দকার আবুল হোসেনের কাছ থেকে জেলা প্রশাসন দখল মুক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি যখন বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা ডিসি এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলি, তাদের জিজ্ঞেস করলাম তারা কীভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে আছেন। আমরা কেন তা ফেরত নিতে পারব না? পরে তাদের সহযোগিতায় ব্রজ নিকেতন উদ্ধার করা হয়।

সালমান এফ রহমান বলেন, নবাবগঞ্জে ছয়টি বাড়ি অন্যের দখল আছে। দোহারে এমন বাড়ির তালিকা করা হচ্ছে। আইন মেনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলমুক্ত করা হবে। গায়ের জোরে কেউ কারো সম্পত্তি দখল করতে পারবে না। পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হবে সরকারি সব সম্পত্তি।

তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তি সরকারের দখলে থাকবে। পুরনো স্থাপত্যগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পর্যটনের হাত ধরে বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন। পর্যটন কাজের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বাড়ায়, যা দেশের মোট আয় ও উৎপাদনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এ সময় সালমান এফ রহমান নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। পরে নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও আন্তঃমাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতিউর রহমান সামীম, দোহার সার্কেল এএসপি আরিফুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া, এম এ বারী বাবুল মোল্লা, ইব্রাহিম খলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবেদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক তাবির হোসেন পাবেল, সাংবাদিক হালিমা আক্তার লাবন্য ভূঁইয়াসহ জেলা, উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।