ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

থাইল্যান্ডে সংস্কারপন্থীদের জয়, সেনা-সমর্থিত সরকারের ভরাডুবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী দুটি দল-যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তরুণরা। সেনাশাসক ও তাদের সমর্থিত সরকারের প্রতি ব্যাপক অনাস্থা দেখিয়েছে জনগণ। তাই সরকার গঠনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন সংস্কারপন্থীদের মধ্যেই। তবে জোট সরকার গঠনে আগ্রহ দেখিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই দল- মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও ফেউ থাই পার্টি।

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেয়া মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি রয়েছে শীর্ষ অবস্থানে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাট। সেনা-রাজপরিবারের বলয় থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করার বলিষ্ঠ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করেন পেটা।

নির্বাচনের ফলে দেখা গেছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফেউ থাই পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। ধনকুবের এ পরিবারের থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অতীতের নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে।

নির্বাচনে জান্তা সরকারের রাজনৈতিক মূখপাত্র পালং প্রচারাত এবং সেনাসমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির তিনগুণ আসনে জয় পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড ও ফেউ থাই পার্টি।

৫০০ আসনের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) পেয়েছে ১৫১ আসনে জয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফিউ থাই পেয়েছে ১৪১ আসনে জয়।

জোট সরকার গঠন করতে ৫০০ আসনের মধ্যে এমএফপি ও পিউ থাই পার্টির প্রয়োজন ৩৭৬টি আসনে জয়। তারা পেয়েছে ২৯২টি আসনে জয়।

জান্তা সরকারের মূখপাত্র পালং প্রচারাত এবং সেনাসমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি যথাক্রমে জয় পেয়েছে ৪১ ও ৩৬টি আসনে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভুমযাইথাই পার্টি পেয়েছে ৭০ আসনে জয়।

থাইল্যান্ডে মোট ভোটার ৫ কোটি ২০ লাখ। এসব ভোটারের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখ ভোটার নতুন প্রজন্মের। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রথমবার নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন তারা।

এবারের নির্বাচনে সামরিকপন্থী, রক্ষণশীল ও জনতুষ্টিবিরোধী পক্ষ নতুন ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পাননি। তরুণ ভোটারদের রায় এবার এক দশকের জান্তা সরকারের পতন ঘটাতে তুরুপের তাস হয়ে কাজ করেছে।

এদিকে, বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে থাকার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুভ ফরোয়ার্ডের কর্ণধার পিটা লিমজারোয়েনরাট জানিয়েছেন, ফেউ থাই পার্টির সঙ্গে কোয়ালিশন সরকার গঠনে তার আপত্তি নেই।

তবে সংস্কারপন্থীদের নতুন সরকার গঠনে বড় বাধা হয়ে থাকতে পারে সিনেটের ২৫০ সদস্য, যারা নির্বাচিত নন, তবে সামরিক শাসনের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

থাইল্যান্ডে সংস্কারপন্থীদের জয়, সেনা-সমর্থিত সরকারের ভরাডুবি

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী দুটি দল-যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তরুণরা। সেনাশাসক ও তাদের সমর্থিত সরকারের প্রতি ব্যাপক অনাস্থা দেখিয়েছে জনগণ। তাই সরকার গঠনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন সংস্কারপন্থীদের মধ্যেই। তবে জোট সরকার গঠনে আগ্রহ দেখিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই দল- মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও ফেউ থাই পার্টি।

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেয়া মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি রয়েছে শীর্ষ অবস্থানে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাট। সেনা-রাজপরিবারের বলয় থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করার বলিষ্ঠ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করেন পেটা।

নির্বাচনের ফলে দেখা গেছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফেউ থাই পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। ধনকুবের এ পরিবারের থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অতীতের নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে।

নির্বাচনে জান্তা সরকারের রাজনৈতিক মূখপাত্র পালং প্রচারাত এবং সেনাসমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির তিনগুণ আসনে জয় পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড ও ফেউ থাই পার্টি।

৫০০ আসনের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) পেয়েছে ১৫১ আসনে জয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফিউ থাই পেয়েছে ১৪১ আসনে জয়।

জোট সরকার গঠন করতে ৫০০ আসনের মধ্যে এমএফপি ও পিউ থাই পার্টির প্রয়োজন ৩৭৬টি আসনে জয়। তারা পেয়েছে ২৯২টি আসনে জয়।

জান্তা সরকারের মূখপাত্র পালং প্রচারাত এবং সেনাসমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি যথাক্রমে জয় পেয়েছে ৪১ ও ৩৬টি আসনে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভুমযাইথাই পার্টি পেয়েছে ৭০ আসনে জয়।

থাইল্যান্ডে মোট ভোটার ৫ কোটি ২০ লাখ। এসব ভোটারের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখ ভোটার নতুন প্রজন্মের। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রথমবার নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন তারা।

এবারের নির্বাচনে সামরিকপন্থী, রক্ষণশীল ও জনতুষ্টিবিরোধী পক্ষ নতুন ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পাননি। তরুণ ভোটারদের রায় এবার এক দশকের জান্তা সরকারের পতন ঘটাতে তুরুপের তাস হয়ে কাজ করেছে।

এদিকে, বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে থাকার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুভ ফরোয়ার্ডের কর্ণধার পিটা লিমজারোয়েনরাট জানিয়েছেন, ফেউ থাই পার্টির সঙ্গে কোয়ালিশন সরকার গঠনে তার আপত্তি নেই।

তবে সংস্কারপন্থীদের নতুন সরকার গঠনে বড় বাধা হয়ে থাকতে পারে সিনেটের ২৫০ সদস্য, যারা নির্বাচিত নন, তবে সামরিক শাসনের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। সূত্র: রয়টার্স