ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তারেক-মামুনের পাচার করা টাকা ফেরানো যাচ্ছে না : সংসদে হুইপ স্বপন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিদেশে পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার হদিস মিললেও তাদের আই কন্টাক্ট ছাড়া তা দেশে ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সরকারদলীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

তিনি জানিয়েছেন, তারেক-মামুনের পাচার করা টাকা যে ব্যাংকের ভোল্টে রয়েছে সেখান থেকে বের করতে হলে তাদের আই কন্টাক্ট লাগবে। এ কারণে টাকার হদিস পেয়েও তা দেশে ফেরত আনা যাচ্ছে না।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল জানিয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, পরবর্তীকালে বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এসেছে। তারেক ও মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তাদের ৫০০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যে ভোল্টে তারা টাকা রেখেছে তাদের আই কন্টাক্ট ছাড়া সেই ভোল্ট থেকে টাকা বের করা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই তাদের পাচারের টাকা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান তার নিজের মামা এবং মামার বন্ধুদের প্যাদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত পাচার করা টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এই টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তারেক-মামুনের পাচার করা টাকা ফেরানো যাচ্ছে না : সংসদে হুইপ স্বপন

আপডেট সময় : ১০:৫১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিদেশে পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার হদিস মিললেও তাদের আই কন্টাক্ট ছাড়া তা দেশে ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সরকারদলীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

তিনি জানিয়েছেন, তারেক-মামুনের পাচার করা টাকা যে ব্যাংকের ভোল্টে রয়েছে সেখান থেকে বের করতে হলে তাদের আই কন্টাক্ট লাগবে। এ কারণে টাকার হদিস পেয়েও তা দেশে ফেরত আনা যাচ্ছে না।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল জানিয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, পরবর্তীকালে বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এসেছে। তারেক ও মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তাদের ৫০০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যে ভোল্টে তারা টাকা রেখেছে তাদের আই কন্টাক্ট ছাড়া সেই ভোল্ট থেকে টাকা বের করা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই তাদের পাচারের টাকা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান তার নিজের মামা এবং মামার বন্ধুদের প্যাদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত পাচার করা টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এই টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।