তামাক বন্ধ হলে ৮০ লাখ মানুষ বেকার হবে, এটা সত্য নয় : তাজুল
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ০৭:২১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক ক্ষতি ছাড়া জীবনে কোনো অবদান রাখে না। স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সবার জানে। তাই, তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করা অপরিহার্য বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বলা হয় তামাক থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে, কিন্তু সেটা স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় কিছুই না। তামাক চাষাবাদ ও তামাকপণ্য উৎপাদন বন্ধ হলে ৮০ লাখ মানুষ বেকার হবে, এটা সত্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তামাক নিয়ন্ত্রণে জন্য গাইডলাইন করা হয়েছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। আইনও পরিবর্তন হতে পারে। প্রণীত খসড়াটি যেন দ্রুত আইনে রূপান্তরিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, তামাকের চাষাবাদ ও তামাকপণ্য উৎপাদন কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করে। তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একাত্ম থাকলে আমরাও যেকোনো সঙ্কট মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করতে পারবো। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, তামাকের কোনো ভালো দিক নেই। তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভালো থাকবে।
সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪০ সালে তামাক মুক্ত ২০৪১ সালের মধ্যে একটা উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। তামাক মুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন মানুষকে অধিক সচেতন করছে। আইন সংশোধন হলে এ আন্দোলন আরও ফলপ্রসূ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. সেলিম রেজা, প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, আবদুস সালাম মিয়া, গ্রেন্ডস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জালাল আহমেদ এবং দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।