ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তদন্ত কাজে সন্তুষ্ট নয় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের বাবা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তে পরিবার সন্তুষ্ট নয় বলে জানান তার বাবা কাজী নূর উদ্দীন।
সোমবার সকাল ১১টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা থানায় জিডি করি। এরপর জিডি থেকে লাশ পাওয়া যাওয়া পর্যন্ত আমরা তদন্তের কোনো অগ্রগতি সম্পর্কে জানি না। এর মাঝে কী হয়েছে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। জিডির প্রেক্ষিতে যে তদন্ত তাতে আমরা সন্তষ্ট না।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে মাদক তো দূরের কথা সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারত না। আমার তিন ছেলের কেউই সিগারেট খায় না। আর তার সম্পর্কে বলা হচ্ছে সে নাকি ফেনসিডিল সেবন করত। এটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। তার হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবিতে যারা মানববন্ধন ও আন্দোলন করছে, তাদের মনোবল, ম্যোরাল বেইসমেন্ট ভেঙে দিতে আমার ছেলের নামে মাদক সেবনের সংশ্লিষ্টতা আনা হয়েছে।

বুশরা ও আয়শার সঙ্গে ফারদিনের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদেরকে আমরা বা আমাদের পরিবারের কেউ চিনত না। বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ, আমার ছেলে ঘর থেকে তার মাকে যা বলে বের হতো তার থেকে এক পয়েন্ট ভিন্ন কিছু করত না। পরদিন তার পরীক্ষা ছিল, সে বলে বেরিয়েছিল হলে গিয়ে গ্রুপ স্টাডি করবে। কিন্তু আমরা জানতে পারি সে নাকি রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে ওই মেয়ের সঙ্গে ছিল। তাই আমাদের সর্বশেষ সাসপেক্ট ছিল সে, রাত ১০টা পর্যন্ত ওই মেয়ের সাথে কী? সে জন্যই আমরা তার কথা বলেছি।

গণমাধ্যম ফারদিন সম্পর্কে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে বলে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সত্য প্রকাশে গণমাধ্যম বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দুঃখজনকভাবে গত কয়েক দিন কিছু গণমাধ্যমে ফারদিনকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারিত হয়েছে, যা আমাদের হতাশ করেছে। বুয়েট সাংবাদিক সমিতির মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি ও সত্য তুলে ধরেছি। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশে সতর্ক হবে। পাশাপাশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের মাধ্যমে যারা ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছেন তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা প্রত্যাশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা ফারদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করবেন।

হত্যাকারীদের শনাক্ত করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে থাকবেন জানিয়ে আরো বলা হয়, ফারদিন আমাদের সহপাঠী, আমাদের ভাই। তার অকালপ্রয়াণ আমাদের করেছে ব্যথিত, তার পরিবারের অসহায়ত্ব আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা, বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ফারদিনের মতো আর কোনো মেধাবী প্রাণ অকালে ঝরে পড়বে না। ফারদিন হত্যার বিচার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বলেন, নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ফেসবুকের কোনো পেজ বা গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে ফারদিন ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

তদন্ত কাজে সন্তুষ্ট নয় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের বাবা

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তে পরিবার সন্তুষ্ট নয় বলে জানান তার বাবা কাজী নূর উদ্দীন।
সোমবার সকাল ১১টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা থানায় জিডি করি। এরপর জিডি থেকে লাশ পাওয়া যাওয়া পর্যন্ত আমরা তদন্তের কোনো অগ্রগতি সম্পর্কে জানি না। এর মাঝে কী হয়েছে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। জিডির প্রেক্ষিতে যে তদন্ত তাতে আমরা সন্তষ্ট না।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে মাদক তো দূরের কথা সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারত না। আমার তিন ছেলের কেউই সিগারেট খায় না। আর তার সম্পর্কে বলা হচ্ছে সে নাকি ফেনসিডিল সেবন করত। এটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। তার হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবিতে যারা মানববন্ধন ও আন্দোলন করছে, তাদের মনোবল, ম্যোরাল বেইসমেন্ট ভেঙে দিতে আমার ছেলের নামে মাদক সেবনের সংশ্লিষ্টতা আনা হয়েছে।

বুশরা ও আয়শার সঙ্গে ফারদিনের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদেরকে আমরা বা আমাদের পরিবারের কেউ চিনত না। বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ, আমার ছেলে ঘর থেকে তার মাকে যা বলে বের হতো তার থেকে এক পয়েন্ট ভিন্ন কিছু করত না। পরদিন তার পরীক্ষা ছিল, সে বলে বেরিয়েছিল হলে গিয়ে গ্রুপ স্টাডি করবে। কিন্তু আমরা জানতে পারি সে নাকি রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে ওই মেয়ের সঙ্গে ছিল। তাই আমাদের সর্বশেষ সাসপেক্ট ছিল সে, রাত ১০টা পর্যন্ত ওই মেয়ের সাথে কী? সে জন্যই আমরা তার কথা বলেছি।

গণমাধ্যম ফারদিন সম্পর্কে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে বলে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সত্য প্রকাশে গণমাধ্যম বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দুঃখজনকভাবে গত কয়েক দিন কিছু গণমাধ্যমে ফারদিনকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারিত হয়েছে, যা আমাদের হতাশ করেছে। বুয়েট সাংবাদিক সমিতির মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি ও সত্য তুলে ধরেছি। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশে সতর্ক হবে। পাশাপাশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের মাধ্যমে যারা ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছেন তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা প্রত্যাশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা ফারদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করবেন।

হত্যাকারীদের শনাক্ত করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে থাকবেন জানিয়ে আরো বলা হয়, ফারদিন আমাদের সহপাঠী, আমাদের ভাই। তার অকালপ্রয়াণ আমাদের করেছে ব্যথিত, তার পরিবারের অসহায়ত্ব আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা, বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ফারদিনের মতো আর কোনো মেধাবী প্রাণ অকালে ঝরে পড়বে না। ফারদিন হত্যার বিচার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বলেন, নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ফেসবুকের কোনো পেজ বা গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে ফারদিন ছিল না।