ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঢাকাকে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় সিলেটের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিয়ে আলোচনা ছিল না খুব একটা। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাতে বদলে গেছে সিলেটের ভাগ্য। এর আগের আট আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেখানে তলানিতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছিল, সেই তারা চলতি আসরে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের দৌড়ে এগিয়ে গেছে। বিপিএলের প্রথম পর্বশেষে সবার উপরে আছে তারাই।

তৌহিদ হৃদয়ের টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা এবার হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটরসকে। টানা চার জয়ের স্বস্তি নিয়েই চট্টগ্রামে যাচ্ছে সিলেট।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৬২ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসকে হারায় সিলেট। ৬ বলে ৬ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। ৫৭ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এই দুই ব্যাটার। ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা শান্ত ৩৬ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। কিছুক্ষণ পরেই উইকেটের পেছনে খেলতে গিয়ে শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে ৫৭ রানে বিদায় নেন তিনি।

শান্ত বিদায় নিলেও লড়াই করতে থাকেন হৃদয়। ৩২ বলে পূর্ণ করে অর্ধশতক। তাকে সঙ্গ দিতে এসে একে একে বিদায় নেন জাকির হাসান (১০), মুশফিকুর রহিম (৬), থিসারা পেরেরা (১১) ও ইমাদ ওয়াসিম (১)। দারুণ ব্যাট করতে থাকা হৃদয়ের ইনিংস থামে ৮৪ রানে। আল আমিনের বলে উইকেট হারানোর আগে ৪৬ বলে তিনি এই ইনিংস সাজান ৫ ছক্কা ও ৫ চারে। শেষদিকে আকবর আলীর ৬ ও মাশরাফির অপরাজিত ৭ রানে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট।

ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন আল আমিন। জোড়া উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফুল হক ও আরাফাত সানি।

জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটার আহমেদ শেহজাদকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার দিলশান মুনাবিরাও আউট হয়ে যান। ১ চার ও ছক্কায় ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

দলীয় ৩০ রানের সময় সাজঘরে ফেরত যান সৌম্য সরকার। ৯ বল খেলে ৬ রান করে তিনি আউট হন মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে। এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেনের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৪২ রান করে মিথুন ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়।

৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করে রেজাউর রহমান রাজার বলে আউট হয়ে যান নাসির হোসেনও। এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। দুই উইকেট করে নেন ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আমির।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকাকে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় সিলেটের

আপডেট সময় : ১০:৪০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিয়ে আলোচনা ছিল না খুব একটা। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাতে বদলে গেছে সিলেটের ভাগ্য। এর আগের আট আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেখানে তলানিতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছিল, সেই তারা চলতি আসরে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের দৌড়ে এগিয়ে গেছে। বিপিএলের প্রথম পর্বশেষে সবার উপরে আছে তারাই।

তৌহিদ হৃদয়ের টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা এবার হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটরসকে। টানা চার জয়ের স্বস্তি নিয়েই চট্টগ্রামে যাচ্ছে সিলেট।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৬২ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসকে হারায় সিলেট। ৬ বলে ৬ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। ৫৭ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এই দুই ব্যাটার। ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা শান্ত ৩৬ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। কিছুক্ষণ পরেই উইকেটের পেছনে খেলতে গিয়ে শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে ৫৭ রানে বিদায় নেন তিনি।

শান্ত বিদায় নিলেও লড়াই করতে থাকেন হৃদয়। ৩২ বলে পূর্ণ করে অর্ধশতক। তাকে সঙ্গ দিতে এসে একে একে বিদায় নেন জাকির হাসান (১০), মুশফিকুর রহিম (৬), থিসারা পেরেরা (১১) ও ইমাদ ওয়াসিম (১)। দারুণ ব্যাট করতে থাকা হৃদয়ের ইনিংস থামে ৮৪ রানে। আল আমিনের বলে উইকেট হারানোর আগে ৪৬ বলে তিনি এই ইনিংস সাজান ৫ ছক্কা ও ৫ চারে। শেষদিকে আকবর আলীর ৬ ও মাশরাফির অপরাজিত ৭ রানে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট।

ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন আল আমিন। জোড়া উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফুল হক ও আরাফাত সানি।

জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটার আহমেদ শেহজাদকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার দিলশান মুনাবিরাও আউট হয়ে যান। ১ চার ও ছক্কায় ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

দলীয় ৩০ রানের সময় সাজঘরে ফেরত যান সৌম্য সরকার। ৯ বল খেলে ৬ রান করে তিনি আউট হন মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে। এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেনের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৪২ রান করে মিথুন ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়।

৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করে রেজাউর রহমান রাজার বলে আউট হয়ে যান নাসির হোসেনও। এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। দুই উইকেট করে নেন ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আমির।