ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় এসপি বাবুলের জামিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন আদালত।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।

গত বছরের ১৯ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও বিদেশে ‘পলাতক’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। চট্রগ্রামের খুলশী থানায় এ মামলা করা হয়।

অপরদিকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এই মামলা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় এসপি বাবুলের জামিন

আপডেট সময় : ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন আদালত।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।

গত বছরের ১৯ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও বিদেশে ‘পলাতক’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। চট্রগ্রামের খুলশী থানায় এ মামলা করা হয়।

অপরদিকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এই মামলা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।