ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জেল দিয়ে আন্দোলন রোধ করা যায় কি না আ.লীগ ভালো জানে : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জেল দিয়ে আন্দোলন রোধ করা যায় কি না আওয়ামী লীগ ভালো জানে। তাদের দলের সর্বোচ্চ নেতাকেও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) জেল দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনামল পাকিস্তানের মতোই। অথচ আমরা পাকিস্তানের কথা বললে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা হয়েছে। সভায় সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ‘সামনের বছর দুর্ভিক্ষ হতে পারে’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করে, এই উক্তিতে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সরকার আপদকালীন খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য-শষ্য আমদানি গত চার মাসে প্রায় ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটা উদ্বেগজনক।

বিএনপিকে নিয়ে জনগণ বিপদে আছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কাকে নিয়ে বিপদে আছে সেটা জনগণ বিবেচনা করবে।

জোবায়দা রহমান একজন পেশাজীবী, তিনি রাজনীতিতে আসবেন এমন আশঙ্কা থেকেই সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিচ্ছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জোবায়দা রহমান রাজনীতিতে আসবেন কি আসবেন না এটা বলার সময় আসেনি। সরকারের মূল ভয় ও আশঙ্কাটাই হচ্ছে জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে নিয়ে। ১/১১ সরকারের সময় বলা হয়েছিল মাইনাস টু কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে মাইনাস ওয়ান।

সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদফতরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে খাদ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন। একই সঙ্গে দুর্নীতির কারণে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয়ের ফলে ডলার সংকটে আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় আমদানিকে ব্যাহত করছে। রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার সরিয়ে নেওয়া, প্রবাসীদের আয় বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে হুন্ডি করে প্রতিবছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করে এই পরিস্থিতিকে জটিল করে ফেলেছে।

সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে সারা দেশে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশষ্য উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। লোডশেডিংয়ের কারণে সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সরকার মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে— অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের বিরুদ্ধে মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই সরকার মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির ১৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে— বিচার ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তাদের টার্গেট হচ্ছে বিএনপিকে নির্মূল করা। সরকার বিএনপিকে নির্মূল করতে চাইলে কি হবে, মানুষ তো বিএনপিকে চায়। তাই শত চেষ্টা করেও বিএনপিকে রোধ করা যাবে না, এটা জনগণের দল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জেল দিয়ে আন্দোলন রোধ করা যায় কি না আ.লীগ ভালো জানে : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জেল দিয়ে আন্দোলন রোধ করা যায় কি না আওয়ামী লীগ ভালো জানে। তাদের দলের সর্বোচ্চ নেতাকেও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) জেল দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনামল পাকিস্তানের মতোই। অথচ আমরা পাকিস্তানের কথা বললে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা হয়েছে। সভায় সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ‘সামনের বছর দুর্ভিক্ষ হতে পারে’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করে, এই উক্তিতে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সরকার আপদকালীন খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য-শষ্য আমদানি গত চার মাসে প্রায় ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটা উদ্বেগজনক।

বিএনপিকে নিয়ে জনগণ বিপদে আছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কাকে নিয়ে বিপদে আছে সেটা জনগণ বিবেচনা করবে।

জোবায়দা রহমান একজন পেশাজীবী, তিনি রাজনীতিতে আসবেন এমন আশঙ্কা থেকেই সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিচ্ছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জোবায়দা রহমান রাজনীতিতে আসবেন কি আসবেন না এটা বলার সময় আসেনি। সরকারের মূল ভয় ও আশঙ্কাটাই হচ্ছে জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে নিয়ে। ১/১১ সরকারের সময় বলা হয়েছিল মাইনাস টু কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে মাইনাস ওয়ান।

সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদফতরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে খাদ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন। একই সঙ্গে দুর্নীতির কারণে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয়ের ফলে ডলার সংকটে আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় আমদানিকে ব্যাহত করছে। রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার সরিয়ে নেওয়া, প্রবাসীদের আয় বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে হুন্ডি করে প্রতিবছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করে এই পরিস্থিতিকে জটিল করে ফেলেছে।

সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে সারা দেশে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশষ্য উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। লোডশেডিংয়ের কারণে সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সরকার মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে— অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের বিরুদ্ধে মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই সরকার মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির ১৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে— বিচার ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তাদের টার্গেট হচ্ছে বিএনপিকে নির্মূল করা। সরকার বিএনপিকে নির্মূল করতে চাইলে কি হবে, মানুষ তো বিএনপিকে চায়। তাই শত চেষ্টা করেও বিএনপিকে রোধ করা যাবে না, এটা জনগণের দল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।