ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২৪-২৬ জানুয়ারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২৪ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় ৩ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এদিন সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। সম্মেলন শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এই সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মোট ২৬টি অধিবেশন থাকবে। তার মধ্যে ২০টি থাকবে কার্য অধিবেশন। অর্থাৎ এসব বৈঠক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা হবে বলেও জানান তিনি।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতি বছরই জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়ে আসছে। কোনো কোনো বছর দুবারও হয়। তবে করোনার কারণে দুবছর করতে না পারলেও পরে আমরা এটি চলমান রেখেছি। দুটো চিত্র সামনে রেখে এ সম্মেলন হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রথমটি হলো, সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের জেলা প্রশাসকরা মতবিনিময় করবেন। এরপর তাদের তরফ থেকে নির্দেশনা, অনুশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা, নীতি ও অনুশাসন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে গেলে যে চ্যালেঞ্জের তারা সম্মুখীন হন, যে অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করেন বা মাঠপর্যায়ে যে বাস্তবতার সম্মুখীন তারা হন, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব তারা করেন।

এ সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করবেন – এ কথা জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব পেয়েছি। তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কিত ২৩টি, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৫টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ১৩টি, সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ১১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণায় থেকে ১০টি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১০টি প্রস্তাব এসেছে।

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতার ঐতিহ্য আমাদের আছে। সে অনুসারে সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে এবারের সম্মেলনে ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের সম্মেলন তিন দিনব্যাপী হচ্ছে। গত সম্মেলনও তিন দিনব্যাপী ছিলো। এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নির্দেশনা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন।

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশ নেবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২৪-২৬ জানুয়ারি

আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২৪ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় ৩ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এদিন সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। সম্মেলন শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এই সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মোট ২৬টি অধিবেশন থাকবে। তার মধ্যে ২০টি থাকবে কার্য অধিবেশন। অর্থাৎ এসব বৈঠক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা হবে বলেও জানান তিনি।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতি বছরই জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়ে আসছে। কোনো কোনো বছর দুবারও হয়। তবে করোনার কারণে দুবছর করতে না পারলেও পরে আমরা এটি চলমান রেখেছি। দুটো চিত্র সামনে রেখে এ সম্মেলন হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রথমটি হলো, সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের জেলা প্রশাসকরা মতবিনিময় করবেন। এরপর তাদের তরফ থেকে নির্দেশনা, অনুশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা, নীতি ও অনুশাসন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে গেলে যে চ্যালেঞ্জের তারা সম্মুখীন হন, যে অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করেন বা মাঠপর্যায়ে যে বাস্তবতার সম্মুখীন তারা হন, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব তারা করেন।

এ সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করবেন – এ কথা জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব পেয়েছি। তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কিত ২৩টি, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৫টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ১৩টি, সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ১১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণায় থেকে ১০টি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১০টি প্রস্তাব এসেছে।

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতার ঐতিহ্য আমাদের আছে। সে অনুসারে সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে এবারের সম্মেলনে ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের সম্মেলন তিন দিনব্যাপী হচ্ছে। গত সম্মেলনও তিন দিনব্যাপী ছিলো। এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নির্দেশনা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন।

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশ নেবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।