ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে স্পেন

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছিল জর্জিয়া। তবে আজ স্পেনের বিপক্ষে নকআউটে নেমেই জর্জিয়ানদের সেই স্বপ্নযাত্রা থেমে গেছে। আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তারা হজম করেছে ৪ গোল।

শেষ পর্যন্ত জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে অন্যতম ফেবারিট স্পেন। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে তারা।কোলন স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন।

৫ মিনিটে সুযোগ তৈরি লামিনে ইয়ামালের ড্রাইভে দানি কারভাহাল বল পেয়ে ক্রস দেন বক্সের মাঝে। পেদ্রি সেখানে ছিলেন, পা সামনে বাড়িয়ে নেওয়া তার দুর্বল শট সহজে ঠেকান জর্জিয়া কিপার মামারদাশভিলি। ১০ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের ক্রস থেকে দানি কারভাহালের হেড সেভ করে গোল হতে দেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর উল্টো গোল হজম করে চাপে পড়ে স্পেন।

কাকাবাদজে ডান দিক থেকে গোলমুখের সামনে বাড়ান। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জের মুখে লে নরমান্দের কোমরে লেগে জালে জড়ায় বল। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় জর্জিয়া। তিন মিনিট পর ফ্যাবিয়ান রুইজের শট ঠেকিয়ে দেন মামারদাশভিলি। অথচ মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিল না স্পেন। অবশেষে বিরতির আগে সমতা ফেরায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে উইলিয়ামসকে বল দেন রদ্রি। ফিরতি পাস পেয়ে ছোট ডি বক্স থেকে জাল কাঁপান তিনি। ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরায় স্পেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে লিড নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল জর্জিয়া। পেদ্রি বলের দখল হারালে কারাস্তখেলিয়া বল পান। স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনকে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে হাফ লাইন থেকে গোলপোস্টে বল মারেন। বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে বল না গেলে দেখার মতো গোল হতো এটা।

৫১ মিনিটে ইয়ামালের নৈপুণ্যে স্পেন এগিয়ে যায়। তার ফ্রি কিক মামারদাশভিলি ফিরিয়ে দিলেও স্পেন বল ফিরে পায়। ডানদিকে ইয়ামাল বল পেয়ে ক্রস দেন বক্সের মধ্যে রুইজকে, যার শক্তিশালী হেডে স্প্যানিশরা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।

৭৫ মিনিটে রুইজের ভাসানো বল পেয়ে সহজেই জাল কাঁপান উইলিয়ামস। ৫২ মিনিটে পেদ্রির বদলি নামা দানি ওলমো দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন। ৮৩ মিনিটে জর্জিয়া বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নেন তিনি এবং বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন। শেষ দিকে ইয়ামালের দারুণ কয়েকটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। এর মধ্যে মামারদাশভিলি অবিশ্বাস্য সেভে তাকে হতাশ করেন।

পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে স্পেন। ৩৫টি শট নিয়েছে তারা, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে চারবার শট নেওয়া জর্জিয়া লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটিও। বল দখলেও আধিপত্য বি¯ার করে খেলেছে স্পেন। ৭৫ শতাংশ সময় বল তাদের পায়ে ছিল। তাই আরও বড় ব্যবধানে জিততে না পারার আক্ষেপ হয়তো থাকছে লা রোহাদের।

স্পেন শেষ আটে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক জার্মানির। আগামী ৫ জুলাই স্টুটগার্ট এরেনায় হবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই।

নিউজটি শেয়ার করুন

জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে স্পেন

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছিল জর্জিয়া। তবে আজ স্পেনের বিপক্ষে নকআউটে নেমেই জর্জিয়ানদের সেই স্বপ্নযাত্রা থেমে গেছে। আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তারা হজম করেছে ৪ গোল।

শেষ পর্যন্ত জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে অন্যতম ফেবারিট স্পেন। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে তারা।কোলন স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন।

৫ মিনিটে সুযোগ তৈরি লামিনে ইয়ামালের ড্রাইভে দানি কারভাহাল বল পেয়ে ক্রস দেন বক্সের মাঝে। পেদ্রি সেখানে ছিলেন, পা সামনে বাড়িয়ে নেওয়া তার দুর্বল শট সহজে ঠেকান জর্জিয়া কিপার মামারদাশভিলি। ১০ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের ক্রস থেকে দানি কারভাহালের হেড সেভ করে গোল হতে দেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর উল্টো গোল হজম করে চাপে পড়ে স্পেন।

কাকাবাদজে ডান দিক থেকে গোলমুখের সামনে বাড়ান। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জের মুখে লে নরমান্দের কোমরে লেগে জালে জড়ায় বল। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় জর্জিয়া। তিন মিনিট পর ফ্যাবিয়ান রুইজের শট ঠেকিয়ে দেন মামারদাশভিলি। অথচ মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিল না স্পেন। অবশেষে বিরতির আগে সমতা ফেরায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে উইলিয়ামসকে বল দেন রদ্রি। ফিরতি পাস পেয়ে ছোট ডি বক্স থেকে জাল কাঁপান তিনি। ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরায় স্পেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে লিড নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল জর্জিয়া। পেদ্রি বলের দখল হারালে কারাস্তখেলিয়া বল পান। স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনকে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে হাফ লাইন থেকে গোলপোস্টে বল মারেন। বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে বল না গেলে দেখার মতো গোল হতো এটা।

৫১ মিনিটে ইয়ামালের নৈপুণ্যে স্পেন এগিয়ে যায়। তার ফ্রি কিক মামারদাশভিলি ফিরিয়ে দিলেও স্পেন বল ফিরে পায়। ডানদিকে ইয়ামাল বল পেয়ে ক্রস দেন বক্সের মধ্যে রুইজকে, যার শক্তিশালী হেডে স্প্যানিশরা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।

৭৫ মিনিটে রুইজের ভাসানো বল পেয়ে সহজেই জাল কাঁপান উইলিয়ামস। ৫২ মিনিটে পেদ্রির বদলি নামা দানি ওলমো দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন। ৮৩ মিনিটে জর্জিয়া বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নেন তিনি এবং বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন। শেষ দিকে ইয়ামালের দারুণ কয়েকটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। এর মধ্যে মামারদাশভিলি অবিশ্বাস্য সেভে তাকে হতাশ করেন।

পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে স্পেন। ৩৫টি শট নিয়েছে তারা, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে চারবার শট নেওয়া জর্জিয়া লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটিও। বল দখলেও আধিপত্য বি¯ার করে খেলেছে স্পেন। ৭৫ শতাংশ সময় বল তাদের পায়ে ছিল। তাই আরও বড় ব্যবধানে জিততে না পারার আক্ষেপ হয়তো থাকছে লা রোহাদের।

স্পেন শেষ আটে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক জার্মানির। আগামী ৫ জুলাই স্টুটগার্ট এরেনায় হবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই।