ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনগণের কাছে যেতে হলে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যে অপরাজনীতি করেছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুর বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে। এ জন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করতো, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে, সম্ভবত তারা কারও কাছ থেকে নকল করছে। আপনারা একটু চোখ দেখুন, কারও কাছ থেকে নকল করছে কি না? বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যে যাত্রা করুক না কেন তাদের এই যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা তাদের সাধারণ কর্মীরাও শামিল হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে বিএনপি দাবি তুলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই দেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার সরকারই তখন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপির এই পদযাত্রা, কিংবা কদিন পরে বসার যাত্রা করবে যেই যাত্রায় করুক না কেন, এগুলো করে কোনও লাভ হবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোনও দল বা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মানুষের সমর্থনের ওপর বিশ্বাস করে তারা যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বিএনপি বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছে কি না আমি জানি না। যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে তারা মানুষের কাছ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তবে আমি আশা করি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা চাই, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি শুভ ও আনন্দের দিন। কারণ চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে চট্টগ্রামের মানুষও অনেকে ভাবেনি, এটি আমার জন্যও আনন্দের দিন। বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে বহুবার নিবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে কোরিয়ান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হতে যাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কী পরিমাণ গুরুত্ব দেন, সেটি একটি প্রজেক্টের কথা আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটা প্রজেক্ট মিলিয়ে ১.২ মিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার একটা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দিয়েছেন। সেই কাজগুলো চলছে, তিনটা প্রজেক্টের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় আমি আশা করি, আগামী বছর থেকে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবে না।

তিনি বলেন, অনেকগুলো পাহাড় কাটা হয়েছে, পাহাড় কাটার কারণে নান্দনিকতা ও পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরকে আরও নান্দনিক করার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রজেক্টটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই শহরের লোক সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী ১০ বছর পর এই শহরের লোক সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই শহর ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সুতরাং এখানে মেট্রোরেলের কোনও বিকল্প নেই।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝাং কিউন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব শরিফা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং-আহ দোহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণের কাছে যেতে হলে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যে অপরাজনীতি করেছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুর বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে। এ জন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করতো, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে, সম্ভবত তারা কারও কাছ থেকে নকল করছে। আপনারা একটু চোখ দেখুন, কারও কাছ থেকে নকল করছে কি না? বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যে যাত্রা করুক না কেন তাদের এই যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা তাদের সাধারণ কর্মীরাও শামিল হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে বিএনপি দাবি তুলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই দেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার সরকারই তখন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপির এই পদযাত্রা, কিংবা কদিন পরে বসার যাত্রা করবে যেই যাত্রায় করুক না কেন, এগুলো করে কোনও লাভ হবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোনও দল বা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মানুষের সমর্থনের ওপর বিশ্বাস করে তারা যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বিএনপি বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছে কি না আমি জানি না। যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে তারা মানুষের কাছ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তবে আমি আশা করি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা চাই, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি শুভ ও আনন্দের দিন। কারণ চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে চট্টগ্রামের মানুষও অনেকে ভাবেনি, এটি আমার জন্যও আনন্দের দিন। বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে বহুবার নিবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে কোরিয়ান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হতে যাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কী পরিমাণ গুরুত্ব দেন, সেটি একটি প্রজেক্টের কথা আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটা প্রজেক্ট মিলিয়ে ১.২ মিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার একটা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দিয়েছেন। সেই কাজগুলো চলছে, তিনটা প্রজেক্টের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় আমি আশা করি, আগামী বছর থেকে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবে না।

তিনি বলেন, অনেকগুলো পাহাড় কাটা হয়েছে, পাহাড় কাটার কারণে নান্দনিকতা ও পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরকে আরও নান্দনিক করার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রজেক্টটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই শহরের লোক সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী ১০ বছর পর এই শহরের লোক সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই শহর ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সুতরাং এখানে মেট্রোরেলের কোনও বিকল্প নেই।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝাং কিউন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব শরিফা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং-আহ দোহ প্রমুখ।